Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। এমন আশঙ্কাও আছে, ২০ বছর আগে বাজপেয়ি সরকারের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র মর্মান্তিক পরিণতির মতো বিসর্জনের বাজনা না বেজে ওঠে ৪ জুন ফল ঘোষণার দ্বিপ্রহরে। তবু সব জেনেও সকাল বিকেল এক ডজন কিংবা তারও বেশিবার একই স্লোগান তুলছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘আব কি বার ৪০০ পার’। সজ্ঞানে সচেতনভাবে বুক চিতিয়ে। ৭৩ বছর বয়সের অদম্য জীবনীশক্তিতে ভর করে বিরোধীদের ফিনিশ করার নেশায়। উপস্থিত জনতাকেও ওই শব্দবন্ধের জাদুতে উদ্বেলিত করার চেষ্টা চলছে ষোলো আনার উপর আঠারো আনা। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, আমরা কি ‘মহামান্য’ হিটলার ও তাঁর প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী গোয়েবলসের গন্ধ পাচ্ছি এই উচ্চকিত প্রচারে? বার বার অলীক স্বপ্নের জাল বুনে বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া এবং শেষে মিথ্যেকে আপাত সত্যিতে বদলে প্রতিপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করাই এই কৌশলের মূল কথা। সঙ্গে ফাউ মেরুকরণ। যাতে বিপক্ষের নিশ্চিত জয়ী প্রার্থীও ভয়ে নতজানু হতে বাধ্য হন রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই!
বেকারত্ব থেকে মুক্তি নয়। মূল্যবৃদ্ধির আঁচ 
এড়িয়ে পরিত্রাণের শপথ নয়। কাজ নয়, কারখানা নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নয় গরিবের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট আর্থিক আশ্বাসও নয়, শ্রমিক, কৃষকের দাবি পূরণ নয়, শুধু এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রসার, সঙ্গে ডিজিটাল উন্নয়নের শুকনো গ্যারান্টি ফেরি করে যাচ্ছেন সকাল বিকেল। কে না জানে, এআইয়ের দৌলতে আগামীতে চাকরির সুযোগ আরও কমবে। আইটি সেক্টর অচিরেই ধসে যাবে। চাকরি গেলে স্টার্ট আপ খুলে সফল হতে পারেন ক’জন? বেকারের কত শতাংশ? 
তবে দেশবাসী এখন গেরুয়া বাহিনীর সৌজন্যে নেশার ঘোরে। আর নেশাড়ুকে বাস্তবের কথা মনে করালে একটাই অভিব্যক্তি বেরিয়ে আসে, সব চুলোয় যাক! সেই মৌতাতেই গেরুয়া নেতারা মশগুল শুধু দেদার দল ভাঙানোয়। প্রচারে প্রতিদিন রুটিন করে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম হাওয়াই জাহাজে চেপে তাঁর মৃগয়া অভিযানে আর কোনও ইস্যু নেই, ইস্যুও সীমিত। এক চামচ পরিবারবাদ। এক চামচ কংগ্রেসকে খতম করার আস্ফালন। বিরোধীদের দুর্নীতি নিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের চোর-পুলিস খেলা। মন্দির ও ধর্ম নামক আফিমের মিশেল এবং ব্যাগ ভর্তি গ্যারান্টির ক্লান্তিহীন পরিবেশন! সবশেষে ‘আব কি বার ৪০০ পার’! ক্লিশে শব্দবন্ধের একঘেয়ে পুনরাবৃত্তি। ব্যস মঞ্চ থেকে নেমে ধুলো উড়িয়ে অন্য কোনও রাজ্যে উড়ে যাওয়া। আবার একই স্বপ্ন ফেরি। প্রতিশ্রুতির ওই ফানুসে গরিবের পেট ভরবে তো? না সমাজে বৈষম্যই আরও প্রকট হবে বিশ্বগুরুর জি ২০-র আকাশছোঁয়া সাফল্য আর চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অতুল কীর্তি গায়ে মেখে।
একটা জিনিস স্পষ্ট, তিনি গরিবের ঘর থেকে উঠে এসে সযত্নে গরিবকেই আঘাত করছেন। তবে তাঁর প্রোপাগান্ডা মেশিনারিকে সপ্তমে নিয়ে যাওয়ার মরিয়া প্রয়াস চালালেও বাস্তবের দেওয়াল লিখনটাও বুঝতে পারছেন হাড়ে হাড়ে। সময় যত এগচ্ছে সেই দুশ্চিন্তা থেকেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। তিনি বিলক্ষণ জানেন, দক্ষিণ ভারতের ১৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে পদ্ম ফুটিয়ে ৪০০ কেন, ২৫০ আসন জেতাও বিরাট ঝক্কির কাজ। ৬ বার কেন আরও ৬০ বার গেলেও তামিলনাড়ু ও কেরলে বিজেপির পদ্ম ফোটানো এবারও নামুমকিন। 
ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাস যদি ফিরে দেখি তাহলে হালে মাত্র একবারই কোনও দল ৪০০ অতিক্রম করতে পেরেছিল। সালটা ছিল ১৯৮৪। আজ থেকে ৪০ বছর আগে। নিজের বাড়িতে রক্ষীর হাতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী খুন হওয়ার তিনমাসের মধ্যে অষ্টম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেবার। রাষ্ট্রনেত্রীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশে শোকের দাবানল। সরকার, বিরোধী কেউ সেই ভয়ঙ্কর অভিঘাত এড়াতে পারেননি। নেহরু-কন্যার মর্মান্তিক পরিণতির ধাক্কায় দু’চোখ বেয়ে নেমে আসা অশ্রুসজল আবেগই জনসমর্থনের সুনামিতে বদলে জাতীয় কংগ্রেসকে চারশো আসনের ম্যাজিক ফিগার পার করেছিল। সেবার সারা দেশের সঙ্গে পাঞ্জাব ও অসমে ভোট হয়নি। ওই দুই রাজ্য বাদে প্রথম দফাতেই জাতীয় কংগ্রেস পায় ৪০৪টি আসন। পরে একবছর বাদে বাকি দুই রাজ্যে ভোট হলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪১৪-তে। তামিলনাড়ুতে সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৭টি। কেরলে ২০টির মধ্যে ১৮টি। কর্ণাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে ২৬টি। অর্থাৎ শুধু দক্ষিণ ভারত থেকেই তারা ৮১টিরও বেশি আসনে জেতে। একমাত্র অন্ধ্রে তেলুগু দেশম ছাড়া আর কোথাও কোনও বিরোধী শক্তি দাঁত ফোটাতে পারেনি সেবার। 
অথচ বিগত ২০১৯ সালে যেবার বিজেপি ৩০৩ আসন জিতে ক্ষমতায় আসে সেবারও দক্ষিণ ভারতে তারা ১৩০টির মধ্যে ৩০টির বেশি আসন পায়নি। ওই ৩০টি আসনের মধ্যে শুধু কর্ণাটক থেকেই এসেছিল ২৫টি। ৪টি আসে তেলেঙ্গানা থেকে। তামিলনাড়ু ও কেরল থেকে প্রাপ্তি ছিল শূন্য। এবারও তামিলনাড়ু ও কেরলে শূন্যের কলঙ্ক মেটানো সম্ভব হবে কি? তেলেঙ্গানায় এখন শাসন ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। সেখানে বিজেপির ৪টি আসন জেতাও কঠিন। নতুন ঝাঁ চকচকে সংসদের গৃহপ্রবেশে তামিল ঐতিহ্য মেনে সেঙ্গল স্থাপন, গত ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক রামমন্দির উদ্বোধনের আগে তামিলনাড়ুর একের পর এক মন্দিরে সপ্তাহব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর পুজোঅর্চনা, সবই আঞ্চলিক ভাবাবেগকে উস্কে দেওয়ারই মরিয়া চেষ্টার নামান্তর। নতুন বছরে তিনি বারবার তামিলনাড়ু ও কেরল গিয়েছেন উত্তর ভারতের কোনও রাজ্যে আসন কমে গেলে তা ক্ষতিপূরণ করার তাগিদেই। এজন্য কোয়েম্বাটোরে রোড শো পর্যন্ত করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
তবু এতকিছু করেও কপালে চিন্তার ভাঁজ কিন্তু ঢাকতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদি। উদ্বেগের কারণ বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, অন্ধ্র, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অবশ্যই উত্তরপ্রদেশ। ইন্দিরার মৃত্যুর পর ভোটে কংগ্রেস সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ উত্তরপ্রদেশে ৮৫টির মধ্যে ৮৩ আসনে জয়ী হয়েছিল। এখন উত্তরপ্রদেশে মোট আসন সংখ্যা কমে ৮০। ৬৫ আসন মিলবে তো বিজেপির! আরও দু’তিনটি বড় রাজ্য যেমন বিহার ও মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এবার জটিল চেহারা নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে গতবারের মতো ৪৮-এর মধ্যে ৪১ আসন জেতা কিংবা বিহারে ৪০-এর মধ্যে ৩৯ জেতা প্রায় অসম্ভব। দু’রাজ্যেই সিট কমতে বাধ্য। পাঞ্জাব এবারও বিজেপির উপর সদয় হবে বলে মনে হয় না। তেলেঙ্গানা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস সুবিধাজনক অবস্থায়। কর্ণাটকে বিজেপির পক্ষে গতবারের মতো ২৫ আসন জেতা সম্ভব হবে না। আসন কমবেই। সিএএ’র প্রভাবে অসমে বিজেপির আসন ক’টা কমে তাও ভোট পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। অন্ধ্রের রাজনীতি বিজেপির পক্ষে, একথা কোনও পাগলেও বলবে না। কেরল ও তামিলনাড়ুতে শূন্যেই থামতে হতে পারে আবার। 
সবচেয়ে বিস্ময়কর, পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহ নিজেই টার্গেট কমাচ্ছেন, ৩৫ থেকে ৩০ করেছেন নিজেই। টার্গেট কমতে কমতে আবার ২৫-এ। এখনও সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। একের পর এক জেলায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ চরমে। 
একেই সংগঠন তলানিতে তার উপর প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের আগুনে প্রচার বহু জায়গায় থমকে 
যাচ্ছে। অর্ধেক জেলায় বুথওয়াড়ি সংগঠন নেই। তাই বাংলায় গতবারের জেতা আসনও হাতছাড়া হওয়ার ভয় চেপে বসছে ক্রমাগত। কমতে কমতে তা কোথায় দাঁড়ায়, দু’অঙ্কের আগেই থেমে যায় কি না তা জানা যাবে ৪ জুন, তার আগে শুধু টিভির পর্দাজুড়ে আলোচনা আর আলোচনা!
তবু মোদিজি জেতেন কিংবা জেতার কথা সদর্পে বলেন, কারণ তিনি স্বপ্ন বুনতে এবং সেই খোয়াবে দেশবাসীকে বুঁদ করে দিতে জানেন। নতুন নতুন অলীক টার্গেট। একটার পর একটা। কখনও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি হওয়ার ঘোর। আবার কখনও রামমন্দির নির্মাণের স্বপ্ন সাকার করার দু’শো কৃতিত্ব। ৫০০ বছর পর নাকি ঘর পেলেন রাম, যা দেখেই ছুটছে ভক্তিতে গদগদ দেশবাসী। এখন আবার রামের নিজের বাড়িতে রামনবমী পালনের বর্ণাঢ্য পার্বণ পালনের অপেক্ষা, প্রথম দফার ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। ষোলো সালে ছিল কালো টাকার লেনদেন বন্ধের হুঙ্কার, যা উপহার দিয়েছিল নোট বাতিলের ফ্লপ শো। মানুষের দুর্দশা ছাড়া বিনিময়ে আর কিচ্ছু মেলেনি। সময় যায়, স্বপ্ন বদলায়। কারণ ভোটে চাই নতুন হুজুগ। কৃষকের আয় কতগুণ হল, কে খবর রাখে আজ? বছরে দু’কোটি চাকরি হল কি না, গরিবের খাতায় টাকা ঢুকল কি না, কারও মনে নেই। হিসেব বুঝে নেওয়ার সময়ও নেই। ক্ষোভ আছে, অসন্তোষ তীব্র তবে তাকে চাপা দিতে নতুন মনোহারি আকাশকুসুম স্বপ্নও এসে গিয়েছে বাজারে। পুরনোটা হারিয়ে গিয়েছে আস্তাকুঁড়ে। গেরুয়া অভিযানে এবার হিন্দুরাষ্ট্রের অঙ্গীকার। সঙ্গে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট’। ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’। আর বিরোধীদের বেছেবেছে গারদে ভরার বর্ণময় প্রস্তুতি। তাঁর নয়া স্বপ্নকে সবাই ছুঁতে পারবেন না, সাকার হতেও দেখবেন না। অনেকেই কালের নিয়মে অতীত হয়ে যাবেন। এখন তাঁর লক্ষ্য ২০৪৭। ২৪×৭ ফর ২০৪৭। আজ যাঁরা ভোট দেবেন তাঁদের মধ্যে প্রবীণরা অনেকেই ওই পর্যন্ত বেঁচেই থাকবেন না। গোলপোস্টটা ২৩ বছর দূরে ওই কারণেই। 
তবু প্রার্থনা করি, ভারত সমৃদ্ধ হোক, প্রথম তিনটি দেশের তালিকায় স্থান পাক। শুধু এই ভোট বৈতরণী পার করার জন্য নয়, প্রকৃত অর্থেই। ৪ জুন ফল বেরলেই যেন স্বপ্ন ফেরি শেষ হয়ে না যায়। নতুন সরকারের শপথ নিয়ে মন্ত্রীসান্ত্রিরা প্রচারের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার যেন পাঁচবছরের জন্য না ভুলে যান। স্বপ্ন সাকার করতে যেন তাঁরা প্রাণপাত করেন। 
ইতিহাস কিন্তু কোনওদিনই গোয়েবলসদের ক্ষমা করে না। মিথ্যে অভিনয়ও না-পসন্দ। নাটক ছেড়ে সবাই বাস্তবের মাটিতে আসুন, গরিবের পাশে দাঁড়ান।
14th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
একনজরে
আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM