Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতি, গিমিক ও একটি ‘দুর্ঘটনা’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড়া পাবে না।— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
সিগন্যালিংয়ে ইন্টারফেয়ারেন্স হয়েছে। অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।— জয়া ভার্মা সিনহা (রেলবোর্ডের সদস্য)
দুর্ঘটনার কারণ এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। এর বেশি এখনই বলা যাবে না।— রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
গাঢ় নীলরঙা চুড়িদার পরা মহিলা গত তিনদিন ধরে রেল ট্র্যাকের পাশেই বসে আছেন। কখনও ছুটছেন লাশকাটা ঘরে, কখনও হাসপাতালে... নম্বর মেলাচ্ছেন। তারপর আবার এসে বসছেন রেললাইনের ধারে। কাছের মানুষের খোঁজ যে এখনও মেলেনি! আশায় আছেন, ফিরবে তারা। খুঁজবে তাঁকে 
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কামরার কঙ্কালের আশপাশেই। তাই এখানে বসে আছেন তিনি। একের পর এক নেতানেত্রী আসছেন... এলাকায় ঘুরছেন, টিভি চ্যানেলে বাইট দিচ্ছেন, তারপর ফিরে যাচ্ছেন। রেলমন্ত্রী বারবার এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু হুঁশ নেই তাঁর। বসে আছেন অপেক্ষায়। হেলিকপ্টারের ব্লেডের হাওয়ায় চুল উড়ছে তাঁর। এসপিজি এসে তাড়া দিচ্ছে। তাও তিনি ভাবলেশহীন। একটা ভোট, একটা আসন কিংবা শাসকের কুর্সি হারানোর থেকেও অনেক বেশি যন্ত্রণা বুকের মধ্যে বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিস্ফোরণ এখনও ঘটেনি। কিন্তু সেটাও হবে। পরিজনরা নিখোঁজ থেকে গেলে। 
যে কোনও বড় ট্রেন দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডি এটাই—নিখোঁজের সংখ্যা। দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিনের আলো টার্মিনাল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দেখা মাত্র অদ্ভুত একটা উত্তেজনার স্রোত এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। অসংরক্ষিত কামরায় ওঠার লড়াইয়ের বাঁশিটা বেজে যায় ওই মুহূর্তেই। বন্ধ দরজা ধরে ঝুলে পড়ে চার-পাঁচটা শরীর। আর তারপর শুরু হয় সেই দরজা খোলার মরিয়া চেষ্টা এবং জানালা দিয়ে ব্যাগ রাখার যুদ্ধ। আগে ঢুকতে পারলে বসার একফালি জায়গা মিলবে। তাই এই লড়াই। ১২ ঘণ্টা, ২৪ বা ৩৬ ঘণ্টা... দীর্ঘ যাত্রায় ওটাই একমাত্র স্বস্তির ছোঁয়া। তিনজনের সিটে বসে ছ’জন, দু’জনের আসনে চারজন। এটাই নিয়ম। অলিখিত। এরা কারা? কেউ যাচ্ছে কাজের খোঁজে, আবার কেউ প্রাণান্ত পরিশ্রম শেষে বাড়ি ফিরছে স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখবে বলে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসেও এমন অনেকে ছিলেন। তাঁদের পরিচয় কী? শুধুই টিকিটের নম্বর। আসন সংরক্ষণ করে যাত্রাশুরুর টাকা ছিল না তাঁদের কাছে। অথচ, আমাদের দেশে এই সংখ্যাটাই সবচেয়ে বেশি। এদের অনেকেরই উপার্জন দিনে ১০০ টাকার আশপাশে। তাদের পক্ষে আসন রিজার্ভ করে সফর করা মানে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে শুক্রবার রাত থেকে যে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে, তাতে প্রাথমিকভাবে জায়গা হচ্ছে না এই আম ভারতীয় নাগরিকদের। এই প্রবণতা চিরকালীন। সরকার বদলেছে, প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে, কিন্তু উদাসীনতার এই মেগা সিরিয়ালের চিত্রনাট্য বদলায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস আমলে যা হয়েছে, সব খারাপ। অথচ, যে খারাপ প্রবণতা সমাজ এবং সরকারের হাড়েমজ্জায় ঢুকে পড়েছে, তা বদলের চেষ্টা কি তিনি করেছেন? মোদিজি নিজেই পৌঁছে গেলেন ঘটনাস্থলে। এব্যাপারে প্রশাসনের হর্তাকর্তারা খানিকটা নিমরাজিই ছিলেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যাওয়া মানে উদ্ধারকাজে কিছুটা হলেও ছেদ পড়বে। তাঁর নিরাপত্তা, হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং, আশপাশের ‘অবাঞ্ছিত’ লোকজনকে সরানোর কাজে বেশি মন দিতে হবে। তাও প্রধানমন্ত্রী গেলেন। আগামী বছর ভোট। এমন সুযোগ কি ছাড়া যায়? উদ্ধারকাজে তিনি হাত লাগাবেন না, দাঁড়িয়ে থেকে বগির স্তূপ সরানোর নির্দেশ দেবেন না, ট্র্যাক সারানোর প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেবেন না। তাও তিনি গিয়েছেন। তাঁকে আর দোষ দিয়ে লাভ কী? এটাই তো বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ হয়ে এসেছে। যে কংগ্রেসকে তিনি মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই যে মোদিজি চলছেন! কংগ্রেস বা ভারতীয় রাজনীতির এই প্রথা-প্রবণতা থেকে তিনি বেরতে পারেননি। বলা ভালো বেরতে চাননি। কারণ, এটাই যে প্রচারের মূলমন্ত্র! গোটা দেশ দেখবে, আমাদের শাসক কতটা সহানুভূতিশীল। তবেই না ভোটের যন্ত্রে তার ছায়া দেখা যাবে! তিনি তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বললেন, তারপর ফোন কানে একধারে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরা দেখলাম, খুব সিরিয়াস হয়ে ফোনের ওপারে কাউকে কিছু বলছেন তিনি। হয়তো দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার কথা, দুর্ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছনোর কথা, শেষ দেখবার কথা। গোটা দেশ সাধু সাধু করে উঠল। ভক্তকুল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে শুরু করল, এই তো হল নেতা। দেশের অভিভাবক। যেভাবে পৌঁছে গেলেন তিনি দুর্ঘটনার এপিসেন্টারে, তা শিক্ষণীয়। অন্য কোন দলের কোন নেতানেত্রী এমনটা পারেন না... ইত্যাদি। কিন্তু তাঁরা কি দেখলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসার পর দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৮৮ থেকে কমে ২৭৫ হয়ে গিয়েছে? শেষ বগি ক্রেন দিয়ে তোলার পরও বেরিয়েছে মৃতদেহের স্তূপ। তারা কি হিসেবের আওতায় এসেছে? অকুস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কারও হাত, কারও পা, কারও বা দেহের কোনও একটা অংশ। কালো ব্যাগে ভরে সেই সব ছুড়ে তোলা হয়েছে ট্রাকের পিছনে। দু’টি দেহ মিলেমিশে একটা তালে পরিণত হয়েছে। ছবি ওঠেনি তাদের। চেনার সম্ভাবনা নেই। পরিজন যাঁরা জানতেন, তাঁদের ছেলে-মেয়ে-বাবা এই ট্রেনে যাচ্ছিলেন, তাঁরা উদভ্রান্তের মতো ঘুরছেন স্টেশনে। লাশকাটা ঘরে। মোদিজি, এঁরা কি ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন? আপনারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন অন্তর্ঘাতের। বলে দিচ্ছেন, ঠিক কী কারণে হয়েছে এই ‘দুর্ঘটনা’। এমনকী কে বা কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, সেটাও নাকি আপনাদের সরকার চিহ্নিত করে ফেলেছে। তারপরও সিবিআই তদন্তের সুপারিশ হচ্ছে। কেন? সবই যদি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আর এজেন্সি নিয়ে টানাহেঁচড়া কেন? নাকি সবটাই গাফিলতি ঢাকা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা?আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলছেন, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বা কবচ প্রযুক্তি এক্ষেত্রে কাজ করত না। তাহলে কোন প্রযুক্তি কার্যকরী হতো? আপনারা তো নতুন ভারতের, উন্নততর ভারতের স্লোগানে ভারতের আকাশ-বাতাস গেরুয়া করে তুলেছেন। অথচ এমন একটা প্রযুক্তি ১০ বছরে আবিষ্কার করতে পারলেন না... যাতে এই ৩০০ লোকের প্রাণ বাঁচানো যায়? ওড়িশার পুলিস আধিকারিক ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, মৃতের সংখ্যাটা ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। আন্দাজে ঢিল ছোড়ার শিক্ষা নিয়ে তিনি ওই চেয়ারে বসেননি। রাজনীতির গিমিকও তাঁকে আইপিএস বানায়নি। যে কোনও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ নিশ্চিতভাবে রাজনীতির কারবারিদের থেকে এই আইপিএসকেই বেশি বিশ্বাস করবেন। তারপরও অবশ্য নিখোঁজের রং ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। জ্ঞানেশ্বরী নাশকতার এক যুগ পরও অনেকে এভাবে বেহদিশ হয়ে থেকে গিয়েছেন। আত্মীয়রা কেউ এখনও তাঁদের খুঁজে চলেছেন, অনেকে হাল ছেড়ে মেনে নিয়েছেন নিয়তিকে। সাধারণ ভোটারের এটাই যে ভবিতব্য। তারপরও তাঁরা ট্রেনে চড়বেন। বেরিয়ে পড়বেন কাজের খোঁজে। কাতারে কাতারে। কেন? কাকতালীয়ভাবে বেঁচে ফেরা বাংলার ওই মানুষগুলোকে মোদিজি একবার প্রশ্নটা করতেই পারতেন। কিন্তু তিনি করবেন না। কারণ, উত্তরটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জানা। প্রায় দেড় বছর পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। আবাসের কাজ হচ্ছে না। যাঁরা এই প্রকল্পে গতর খাটিয়ে দিন গুজরান করতেন, তাঁরা আজ নিরুপায়। বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে। উঠে পড়ছেন ট্রেনে। মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু... যেখানে যা কাজ পাওয়া যায়। পেটটা তো চালাতে হবে! যে অর্থনৈতিক অবরোধ নরেন্দ্র মোদির সরকার বাংলার বিরুদ্ধে শুরু করেছে, তার ফল মৃত্যু ছাড়া কিছু নয়। কেউ মারা যাচ্ছেন করমণ্ডলের দুর্ঘটনায়, কেউ হয়তো মারা যাবেন অপুষ্টিতে। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করে বেড়াবেন। দেখাবেন, তাঁরা কত উদ্যোগী। দেশ কত উন্নত। কিন্তু গিমিকের রাজনীতির এই প্রদীপের নীচেই থেকে যাবে অপ্রাপ্তি, অবিচারের অন্ধকার। এই অন্ধকারে ঠেলাঠেলি করে জীবন কাটিয়ে চলেছেন আম আদমি। দেশের মন্ত্রীদের তাঁরা ভোট দিয়ে রাজধানীর ওই কুর্সিতে বসিয়েছেন। এখন তাঁরা বিস্মৃত। তবে মনে পড়বে তাঁদের, মাস ছয়েক পরেই। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। জোরকদমে।
আসলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কপাল বেশ চওড়া। বারবার তার প্রমাণ পেয়েছে এই দেশ। ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী সংঘর্ষের পর মনে করা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক কেরিয়ারটাই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু না। মানুষের বিপুল 
সমর্থনে ভোটে জিতে এসেছিলেন তিনি। মাথার উপর ছিল আরএসএসের বিরাট ছাতা। অটলবিহারী বাজপেয়ির মতো ব্যক্তিত্বের সমালোচনাও তাঁকে টলাতে পারেনি। ক্যালেন্ডারের বছর বদলেছে, কিন্তু সেই সমর্থন বা আচ্ছাদনে খামতি আসেনি। বরং তা বেড়েই চলেছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির এজেন্ডায় শক্ত হচ্ছে তাঁর মাটির তলার জমি। বর্তমানের দিকে পিছন ফিরে তিনি ভবিষ্যতের জন্য দেশের নিলাম ডাকছেন। আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আস্থা মিশে যাচ্ছে ধুলোয়। পাশের বাড়ির মানুষ, সাধারণের দুঃখ বোঝার মতো মনের অধিকারী এখন বদলে গিয়েছেন শুধুই শাসকে। ভক্তকুলের প্রতি আবেদন, গেরুয়া জামা আর সর্বাধিনায়কের চশমাটা খুলে একবার মানুষের মধ্যে এসে দাঁড়ান। প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে খুঁজে পাবেন নীল চুড়িদার পরা ওই মহিলাকে... যিনি খুঁজে চলেছেন ভরসা... নিরাপত্তা। তার আজকের নতুন ভারতে বড় অভাব।
06th  June, 2023
অভিষেককে ভয় পাচ্ছে বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

অশ্বডিম্ব থেকে শূন্য এবং তারপর মাইনাস ২। ইডির তলবে ৩ অক্টোবর যদি অভিষেক যানও রাত ৯টার আশপাশে আবার সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বেরিয়ে তাঁকে বলতেই হবে, এবার জিজ্ঞাসাবাদের নিটফল মাইনাস ৪। হতেও পারে মাইনাস ৬। কিন্তু মমতার মতোই অভিষেকও চিরদিন আন্দোলন ও প্রতিবাদে অনড়।
বিশদ

চিচিং ফাঁক: এ কেমন চৌকিদার?
তন্ময় মল্লিক

তমলুক শহরের ধারিন্দার বাসিন্দা সোমনাথ দাস একজন কাঠমিস্ত্রি। কোনও রকমে সংসার চলে। ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর দু’বছরের মেয়ের। কী করে মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাবেন, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে। সম্বল বলতে ব্যাঙ্কে জমানো অল্প কিছু টাকা। বিশদ

30th  September, 2023
জল্পনার আড়ালে কি স্মৃতি ইরানি এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সুরাতে চালু হবে নতুন একটি জুয়েলারি ব্র্যান্ড। সেই প্রথম আউটলেট উদ্বোধন করবেন স্মৃতি ইরানি। মিডিয়ার ভিড়। তবে সিংহভাগ‌ই এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল। তাদের আগ্রহ হল, তুলসীর হাতে পিস্তল দেখা গিয়েছে। তাহলে কি তুলসী নিজের ছেলেকেই গুলি করবে? বিশদ

29th  September, 2023
ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে বিশ্বমঞ্চে একা ট্রুডো
মৃণালকান্তি দাস

সবরমতী আশ্রমে চরকা কাটা থেকে মুম্বইয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে ছবি তোলা কিংবা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে রুটি বেলা— এতকিছুর পরও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফর ছিল মূষিক প্রসব! বিশদ

28th  September, 2023
পুরীর মন্দিরের রাজনীতি ও অভুক্ত জগন্নাথ
সন্দীপন বিশ্বাস

সামান্য একটা তুচ্ছ কারণে পুরীর মন্দিরে প্রভু জগন্নাথদেবকে ব্রেকফাস্ট করতে হল সেই বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সারা বিশ্বের জগন্নাথ ভক্তদের মানসিকভাবে আহত করেছে।  ২০১৭ সালে মন্দিরের এক সেবায়েত অসবর্ণ বিবাহ করেছিলেন। বিশদ

27th  September, 2023
রাজ্যভাগ, পুনর্বিন্যাস ও একনায়কতন্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চলতি বছরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ছবির নাম কী? আপনি হয়তো বলবেন ‘জওয়ান’। কারণ, এই ছবিতে অস্ত্র দুর্নীতি আছে, কৃষক মৃত্যু, সিস্টেমের সর্বত্র কাটমানি খাওয়া, বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ইভিএম এমনকী ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার নামে ভোট না দেওয়ার আবেদনও রয়েছে। বিশদ

26th  September, 2023
মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ ক্রমাগত পিছচ্ছে
পি চিদম্বরম

ভারতের সাংবিধানিক এবং সংসদীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলির মধ্যে তিনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬: প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সরকার সংবিধান (৮১তম সংশোধন) বিল সংসদে পেশ করেছিল। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিলটির মাধ্যমে। কিন্তু তারপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।
বিশদ

25th  September, 2023
দেশে অসন্তোষ, বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

কৃষি বিল পাশ হয়েছে, কিন্তু কৃষক খুশি হওয়ার বদলে বিদ্রোহ করেছে। এক বছর ঠায় রাস্তায় বসে থাকতে বাধ্য হয়েছে ফসল ফলানোর কারিগররা।
বিশদ

24th  September, 2023
বিল যখন স্বপ্নপূরণের ‘গাজর’
তন্ময় মল্লিক

শাস্ত্রে আছে, শুভস্য শীঘ্রম অশুভস্য কাল হরণং। যে কোনও শুভ কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা উচিত। দেরি করলে সেই কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বিশদ

23rd  September, 2023
নতুন সংসদ ভবনে উদারতার আলো আসবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরনো সংসদ ভবন এবং নতুন সংসদ ভবনের মধ্যে পার্থক্য কী? অসংখ্য। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে প্রধান পার্থক্য হল, আলো এবং বাতাস! সূর্যের আলো। প্রাকৃতিক বাতাস।
বিশদ

22nd  September, 2023
চীনকে চিনতে ভুল করেননি রবীন্দ্রনাথ
মৃণালকান্তি দাস

উত্তাল সময়ে চীনে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯২৪ সালে। ভ্রমণ করেছিলেন ৪৯ দিন। বক্তৃতা করেছিলেন একাধিক জায়গায়। আর পরিবর্তনের সেই ঝোড়ো হাওয়ায় কী বলবেন কবি, সেই দ্বিধা ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতাতেই: ‘আপনাদের ধর্ম এবং প্রথা সম্পর্কে এত বিরোধী মতামতের কথা আমি পড়েছি যে, ভাবছিলাম এঁরা আমাকে কিসের জন্য আমন্ত্রণ করেছেন, এঁদের কল্যাণের জন্য কোন বাণী বহন করে নিয়ে যাওয়া আমার কর্তব্য।’ বিশদ

21st  September, 2023
রাম বাম শ্যাম সেই এক ছাদেরই নীচে
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, বাঙালি কলকাতায় না গেলে কুলীন হয় না। তেমনি ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলার গুরুত্ব। কেন্দ্রীয় ক্ষমতা পেয়েও একটা রাজনৈতিক দল জাতে ওঠে না, যদি না বাংলার ক্ষমতা অন্তত একবার দখলের কৃতিত্ব তার ঝুলিতে থাকে। বিশদ

20th  September, 2023
একনজরে
খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এর মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনার ও কনসাল জেনারেলকে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে ঢুকতে বাধা দিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ...

মাত্র ১৪০০ টাকার জন্য নিজের বন্ধুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে চাকদহের ঘোড়াস্ট্যান্ড এলাকায়। মদের আসরেই বচসার মধ্যে কুপিয়ে ...

তৃণমূল স্তরের ফুটবল উন্নতিতে বিশেষ উদ্যোগ ডেসদে কাসা এফসি’র। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন কোচ এডুকেটর পল নিয়ারির সঙ্গে হাত ...

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়  ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় দিনটি শুভ। স্বামী/ পত্নী/ সন্তানের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস
১৮৫৪: চালু হল সর্বভারতীয় পোস্টাল স্ট্যাম্প
১৮৬১: বিশিষ্ট চিকিৎসক নীলরতন সরকারের জন্ম
১৯০৬: গায়ক শচীনদেব বর্মনের জন্ম
১৯১৯: গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরির জন্ম
১৯৩৫: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৯৫: শিল্পপতি আদিত্য বিড়লার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৩৩ টাকা ৮৪.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৭৮ টাকা ১০৩.২২ টাকা
ইউরো ৮৬.৪১ টাকা ৮৯.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৭,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৮,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৫,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আশ্বিন ১৪৩০, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩। দ্বিতীয়া ১০/২৭ দিবা ৯/৪২। অশ্বিনী নক্ষত্র  ৩৪/৫১ রাত্রি ৭/২৮। সূর্যোদয় ৫/৩১/২৭, সূর্যাস্ত ৫/২১/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে, ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ  ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ৯/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৩ আশ্বিন ১৪৩০, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩। দ্বিতীয়া দিবা ১২/১৩। অশ্বিনী নক্ষত্র  রাত্রি ১১/৯।  সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে  ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
১৫ রবিউল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৪ ঘণ্টায় বাংলাজুড়ে রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সারা বাংলাজুড়েই ব্যাপক বৃষ্টি চলছে। ...বিশদ

10:51:06 AM

নারায়ণগড়ে উল্টে গেল পর্যটক বোঝাই বাস, জখম ৪০
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার উকুনমারীতে জাতীয় সড়কের ধারে নিয়ন্ত্রণ ...বিশদ

10:50:03 AM

শিশুহারা পরিবারের সদস্যদের দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল
বিষ্ণুপুরের বরামারায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত তিন শিশুর পরিবারের চারজনকে ...বিশদ

10:40:26 AM

এশিয়াডে শ্যুটিংয়ে ফের সোনা ভারতের
এশিয়ান গেমসে আবারও বড় সাফল্য পেল ভারত। রেকর্ড ভাঙা স্কোরের ...বিশদ

10:33:45 AM

বাঁকুড়ায় ফের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু
গতকালই বিষ্ণুপুরের বরমারায় একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে ...বিশদ

10:29:55 AM

এশিয়ান গেমস:শ্যুটিংয়ে ফের পদক ভারতের
এশিয়ান গেমসে শ্যুটিংয়ে আবারও পদক জিতল ভারত। মহিলাদের ট্র্যাপ ইভেন্টে ...বিশদ

10:18:13 AM