Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। এছাড়া আর একটি দাবি হল, মেইনটেন্যান্স অফ দ্য ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (মিসা) যথেচ্ছভাবে প্রয়োগ করে রাজনৈতিক বিরোধীদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। মোরারজি দেশাইয়ের বয়স তখনই ৮০ বছর স্পর্শ করেছে। তা সত্ত্বেও তিনি এভাবে অনশন করায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনশনের সপ্তম দিনে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই দাবি নিয়ে অবশেষে নরম হলেন। ঘোষণা করা হল, ৯ জুন হবে গুজরাতে বিধানসভার ভোট। 
মহাশক্তিশালী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনও দল লড়াই করে জয়ী হতে পারবে না। তাই জয়প্রকাশ নারায়ণের নির্দেশিকা ও ফর্মুলা অনুসরণ করে তৈরি হল একটি জোট। যার নাম দেওয়া হল জনতা মোর্চা। কয়েকটি দলের সম্মিলিত একক সংগঠন। সেই মোর্চার অন্তর্গত হয়েছিল, কংগ্রেস (সংগঠন),জনসঙ্ঘ, সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং লোকদল। গুজরাত বিধানসভা ভোটে এই মোর্চা একসঙ্গে লড়াই করবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জনসঙ্ঘের সভাপতি কে ছিলেন? লালকৃষ্ণ আদবানি। তাঁর থেকেও সিনিয়র আর এক নেতার নাম অটলবিহারী বাজপেয়ি। 
১২ জুন গুজরাত বিধানসভার ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়। দেখা যায়, স্বাধীনতার পর এই প্রথম গুজরাতে কংগ্রেস পরাস্ত হয়েছে। জয়ী হয়েছে জনতা মোর্চা। এই ফর্মুলা যে সফল হবে, এটা বুঝে এরপর ১৯৭৭ সালে যখন ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা করেছিলেন, তখনও এই জনতা মোর্চাই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জোট করে লড়াই করবে স্থির করে। সেই নির্বাচনে লালকৃষ্ণ আদবানিদের স্লোগান কী ছিল? ইন্দিরা হটাও, দেশ বাঁচাও!  নির্বাচনে ভরাডুবি হয় ইন্দিরা গান্ধীর। পতন ঘটে কংগ্রেস সরকারের। 
জনসঙ্ঘকে জনতা দলে মিশিয়ে দিয়ে তাঁরা মোরারজি দেশাইয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের সরকারে যোগ দেন। এরপর ১৯৮০ সালের এপ্রিল মাসে তাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি নামক নতুন একটি দলের জন্ম দেন। লালকৃষ্ণ আদবানি দেশভাগের পর থেকেই দিল্লির বাসিন্দা। দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার পর আজও তিনি দিল্লিতেই বসবাস করছেন। যিনি ‘ইন্দিরা হটাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগানের অন্যতম সমর্থক ছিলেন, তাঁর  শহরেই  দিল্লিতে ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ পোস্টার ছাপানো ও লাগানোর কারণে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব পোস্টার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তল্লাশি চলছে আর কোথায় কোথায় এরকম পোস্টার আছে। সবথেকে আশ্চর্য হল, ‘ইন্দিরা হটাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগানের সেই জরুরি অবস্থা বিরোধী জয়প্রকাশ আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধার নাম ছিল নরেন্দ্র মোদি। 
১৯৮৯ সালের নির্বাচনে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং-এর সঙ্গে কিছুতেই সরাসরি জোটে রাজি নয় বিজেপি। কিন্তু জোট ছাড়া রাজীব গান্ধীকে পরাস্ত করা যাবে কীভাবে? রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের নেতা ভাউরাও দেওরসকে জনতা দলের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল যেভাবেই হোক একটা সমঝোতায় আসতে হবে। কারণ, বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ছাড়া এককভাবে জনতা দলের পক্ষে কংগ্রেসকে হারানো সম্ভব নয়। অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আসন সমঝোতা এবং যৌথ প্রচারের চুক্তি হয়। সেই যৌথ প্রচারেই কলকাতায় একটি আশ্চর্য দৃশ্য দেখা গিয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ির সঙ্গে জ্যোতি বসুকে একই মঞ্চে। সেই ১৯৮৯ সালের ভোটের প্রচারের প্রধান ইস্যু কী ছিল? বোফর্স দুর্নীতি। আর সেই ইস্যুকে সামনে রেখে এই বিরোধীদের প্রধানতম স্লোগান ও দেওয়াল লিখন কী ছিল? ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়...রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়। চোর হটাও...দেশ বাঁচাও...।’
২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল কানপুর এয়ারপোর্টে প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মনমোহন সিং নেমেছিলেন। তাঁকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা কালো পতাকা দেখায় এবং স্লোগান দেয় ‘প্রধানমন্ত্রী মুর্দাবাদ’! ২০১৪ সালের প্রাক্কালে লাগাতার বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন মনমোহন সিং। তাঁকে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই আখ্যা দিয়েছিলেন, ‘মৌন মনমোহন’। 
দলের উপর কর্তৃত্ব। গোটা দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা। বিরোধীদের কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়া। ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যে নরেন্দ্র মোদি প্রায় স্পর্শ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীকে। মোদির ভক্তরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে, ‘প্রায় স্পর্শ কেন’? তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। তারা আবেগাপ্লুত হয়ে এই দাবি করলেও, সেই বিবৃতি অতিকথন হবে। ইতিহাসের সঙ্গে সাযুজ্যহীন তো বটেই। কারণ, ইন্দিরা গান্ধীর কোনও রেকর্ডই এখনও পর্যন্ত মোদি ভাঙতে পারেননি। পাকিস্তানকে ভেঙে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এককভাবে ৩৫২ আসন পেয়েছিলেন লোকসভা ভোটে। পরমাণু বিস্ফোরণ পরীক্ষা করেছিলেন প্রথম। সুতরাং কার্যত সব রেকর্ড একাই করে রেখেছেন। আর আসন সংখ্যার বিচারে মোদিকে এককভাবে  আগে ইন্দিরা গান্ধীর ৩৫২ এবং তারপর রাজীব গান্ধীর ৪১৪ আসন পাওয়াকে টপকাতে হবে। ২০১৯ সালে এনডিএ জোট পেয়েছে ৩৫১। বিজেপি এককভাবে ৩০৩। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও সন্দেহ নেই মোদি এখনও দেশে জনপ্রিয়তম। দলেও তাঁর বিরোধী কোনও শিবির নেই যারা মাথা তুলতে পারে।
ঠিক এখানেই প্রশ্ন তথা একটি বিস্ময়ের জন্ম হচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি হঠাৎ এতটা ভীত এবং অসহিষ্ণু হয়ে গেলেন কেন? দিল্লির রাস্তায় ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ লেখা কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে তো কী হয়েছে? এই সামান্য পোস্টারে মোদির জনপ্রিয়তায় কে ভাগ বসাবে? তাহলে তিনি কেন সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না? কেন একটি পোস্টারের কারণে দিল্লি পুলিস এত সক্রিয় হয়ে গেল! ভারতের রাজনীতিতে এই স্লোগানটি তো সবথেকে পরিচিত এবং বহু ব্যবহৃত। সব বিরোধী দলই কোনও না কোনও সময় এই স্লোগান দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। তাহলে এত ক্রুদ্ধ এবং অসহিষ্ণু হওয়ার কারণ কী? বিজেপির দিল্লি শাখাই পাল্টা কোনও স্লোগান কিংবা পোস্টার দিয়ে আম আদমি পার্টিকে আক্রমণ করতেই পারে! সেটাই স্বাভাবিক। সেসব না করে পোস্টার লাগানোর অপরাধে সরাসরি পুলিস নামানোর সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল? 
বিজেপি সারা বছর ধরে বলে চলে যে, রাহুল গান্ধী গুরুত্বহীন। তাঁকে ‘পাপ্পু’ নামে ব্যঙ্গাত্মক আখ্যা দেওয়া হয়। স্পষ্টই জানানো হয় যে,  মোদির সামনে তিনি কোনও নেতাই নন। ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে লন্ডন অথবা ভারতে রাহুল গান্ধীর যে কোনও বক্তব্য নিয়ে এভাবে গোটা বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়ে কেন? 
আর এবার তো দেখা যাচ্ছে নজিরবিহীন এক ঘটনা। রাহুল গান্ধী লন্ডন এবং কেমব্রিজে দুটি  সেমিনার ও সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের গণতন্ত্র সংক্রান্ত যে বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রতিবাদে শুধু সামগ্রিক বিজেপি নয়, গোটা মোদি সরকারই আসরে নেমেছে। প্রতিদিনই একাধিক মন্ত্রী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন। সংসদের বিজেপি শাসক পক্ষ। অথচ তারাই স্লোগানে স্লোগানে সংসদে সরব হচ্ছে রাহুল গান্ধী মাফি মাঙ্গো...রাহুল গান্ধী মাফি মাঙ্গো! সংসদের বাইরে, ভিতরে, বিজেপি পার্টি অফিসে, সাংবাদিক সম্মেলনে, নেতামন্ত্রীদের ভিডিও ও টুইটার বার্তায়, সর্বত্র বিজেপির একটাই ইস্যু। রাহুল গান্ধী। তিনি তো এখন কংগ্রেস সভাপতি নন। সোনিয়াও নন। আর তিনি যদি গুরুত্বহীন হন, তাহলে তাঁকে এত গুরুত্ব কেন দেওয়া হচ্ছে? 
নির্বাচনী ময়দানে, সরাসরি মানুষের ভোটে বিরোধীদের রাজ্যে রাজ্যে পরাজিত করার আত্মবিশ্বাস কি তাহলে বিজেপির এখন নেই? এই সন্দেহ হওয়ার কারণ হল, তাহলে বিজেপি কিংবা নরেন্দ্র মোদি সামান্যতম রাজনৈতিক সমালোচনা, আক্রমণ কিংবা বিরোধিতা কেন সহ্যই করতেই পারছেন না! কারণ কী? তিনি যতটা মহাশক্তিমান হিসেবে বিজেপি ব্যাখ্যা করে, সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো এসব ক্ষুদ্র ব্যাপারে তাদের কোনও হেলদোল হওয়ারই কথা নয়! অথচ সমালোচনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কেন? নরেন্দ্র মোদি কি ভয় পাচ্ছেন? পরাজয়ের? তার থেকেও বড় প্রশ্ন, তাঁর নিজের ভোটব্যাঙ্ককেও কি তিনি ভরসা করতে পারছেন না?
24th  March, 2023
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
একনজরে
বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

বাগদার বিজেপি নেতাদের ফোন করে ভোট চাইছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, তিনি বলছেন, ‘আমাকে জিতিয়ে দিন। জিতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসব।’ ...

 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...

পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

16-04-2024 - 11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

16-04-2024 - 11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

16-04-2024 - 11:04:22 PM