Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরে প্রায় ৩৩ বছর কাজ করেছেন বার্নস। দুঁদে কুটনীতিবিদ বলে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে কাজপাগল এই আমলার। মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দে বার্নসের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন করার মতো লোক সেই অর্থে নেই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ডেপুটি বিদেশ সচিবের পদে কাজ করেছেন বার্নস। গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ইতিহাসে তিনিই প্রথম ডিরেক্টর, যিনি আপাদমস্তক একজন পেশাদার কূটনীতিবিদ।
সিআইএ’র ডিরেক্টর হওয়ার পর উইলিয়াম বার্নস চষে বেরিয়েছেন আঙ্কারা থেকে তেল আভিভ, নয়াদিল্লি থেকে কিয়েভ। কেউ টের পায়নি তাঁর অবস্থান। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়া সফরে এসে ল্যাজেগোবরে হতে হয়েছে তাঁকে। প্রথমে তাঁর নেপাল সফর নিয়ে আপত্তি, পরে শ্রীলঙ্কা সফর শেষে সেই দেশে রাজনৈতিক শোরগোল সিআইএ প্রধানকে বিব্রত হওয়ার মতো অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। সিআইএ’র ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। প্রশ্ন উঠেছে, এর পিছনে কার মদত থাকতে পারে? এটা অস্বাভাবিক নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বার্নসকে নিয়ে বিতর্ক তৈরির পিছনে বেজিংয়ের উৎসাহ থাকতে পারে। কিন্তু এরকম অনুমান প্রমাণ করা কঠিন।
ঘটনা হল, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বার্নসের নেপাল সফরের কথা ছিল। সিআইএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাঁর কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষপ্রান্তে হঠাৎ খবর ছড়ায়, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড এই সফরে আপত্তি জানিয়েছেন। নেপালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যুক্তি দেখিয়ে প্রচণ্ড বলেন, এই সময় সিআইএ প্রধানের সফর ‘চারদিকে’ ভুল বার্তা দেবে। সেই নির্বাচন ছিল ৯ মার্চ। নেপালে সংসদীয় পদ্ধতির শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদ সবচেয়ে গুরুত্ববহ, প্রেসিডেন্ট নয়। এই রকম একটা কম গুরুত্বের নির্বাচনে সিআইএ প্রধানের প্রায় তিন সপ্তাহ আগের সফর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, কারও কাছে তা স্পষ্ট হয়নি। প্রচণ্ডর সেই আপত্তির পর উইলিয়াম বার্নসের ১৮ ঘণ্টার ওই সফর বাতিল হয়ে যায়।
নেপালে উইলিয়াম বার্নসের যাওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কা থেকে। শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা অবশ্য সিআইএ প্রধানের সফর সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। সেটা ফাঁস করে দেয় স্থানীয় এক কমিউনিস্ট পার্টি। ওই দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. উইরিসিংহে প্রথম ৪ মার্চ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি শ্রীলঙ্কার সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চান, ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩’ বিমানে আমেরিকা থেকে যাঁরা কলম্বোয় এসেছেন, তাঁদের মধ্যে কি উইলিয়াম বার্নস ছিলেন? তিনি অভিযোগ তোলেন, বার্নস ও তাঁর সঙ্গীদের সফর সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ গোপন করা হচ্ছে। কারণ, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার কোনও রেকর্ড রাখেনি। উইরিসিংহের বিবৃতি শ্রীলঙ্কায় বেশ সাড়া ফেলে দেয়। তাকে আরও উস্কে দেন এমপি উদয় গাম্মানপিলে। তিনি অনেক নতুন তথ্য জুড়ে দেন। তাঁর দাবি, বার্নসের সফরে ওয়াশিংটন কলম্বোর কাছে কয়েকটি নিরাপত্তা ইস্যু তুলেছে। শ্রীলঙ্কার সংসদে গাম্মানপিলের অবস্থান রাজাপক্ষে দলের নেতৃস্থানীয় একজন হিসেবে। আর উইরিসিংহের কমিউনিস্ট পার্টি সর্বশেষ নির্বাচনে রাজাপক্ষের জোটেই ছিল। শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে এবং নেপালে প্রচণ্ডদের ‘মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি’ উভয়ে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে চীনের শাসকদের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল বা আছে। ফলে উভয় দেশে উইলিয়াম বার্নসকে নিয়ে তাঁদের অবস্থানে ভূরাজনৈতিক উপাদান থাকা বিচিত্র নয়।
তবে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বা সরকারের কেউই সিআইএ নিয়ে বিতর্কে মুখ খুলছেন না। যদিও এমপি গাম্মানপিলের সূত্রে স্থানীয় পত্রপত্রিকাগুলি জানিয়েছে, বার্নসের সঙ্গে প্রযুক্তিভিত্তিক যন্ত্রপাতি ভর্তি আরও দু’টি পরিবহণ বিমান এসেছিল। প্রযুক্তিগত লড়াইকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন সিআইএ প্রধান। সিআইএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্নস এজেন্সিতে একটি নতুন পদও যোগ করেছেন। যার নাম চিফ টেকনোলজি অফিসার বা সিটিও। সিআইএ-র সেই প্রযুক্তি বিভাগের মাথায় বসিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানিকে। ৫২ বছরের মুলচন্দানি বেসরকারি ক্ষেত্রে বহু স্টার্ট আপ সংস্থার সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। তারপরে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রযুক্তি বিভাগের দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন। সিআইএ প্রধান শ্রীলঙ্কায় যৌথ উদ্যোগে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণের একটা সেন্টার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে মুলচন্দানি ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। এছাড়া ওয়াশিংটন শ্রীলঙ্কায় ‘বায়োমেট্রিক ইমিগ্রেশন কন্ট্রোল সিস্টেম’ গড়তে চাইছে। এরকম উদ্যোগ নেওয়ার অর্থ, শ্রীলঙ্কায় চীন ও ভারতের শিল্পপতিদের তথ্যের গোপনীয়তা আর থাকবে না। এর বাইরে আমেরিকা ‘সোফা’ চুক্তিও (স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট) করতে চায়। এসব প্রস্তাব এমন সময় এসেছে, যখন শ্রীলঙ্কার শাসকদের জন্য আইএমএফের ঋণ পাওয়া অতি জরুরি। ২.৯ বিলিয়ন ডলারের একটা ঋণের অঙ্ক নিয়ে আলোচনাও চলছে।
নেপালের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো টানাপোড়েনে না থাকলেও আমেরিকা তার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের কৌশলগত কর্মসূচিতে এই দেশটিকেও চায়। ফলে নেপালে ইতিমধ্যে ৫০ কোটি ডলারের একটা অনুদান দিয়েছে আমেরিকা। ওই অনুদান নেওয়ার স্পষ্ট বিরোধিতা করেছিল বেজিং। ২০২২-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি চীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস ওই অনুদানকে ‘জবরদস্তিমূলক কূটনীতি’ হিসেবে মন্তব্য করে। 
ঠিক একই সময় নেপালের কমিউনিস্টরাও অনুদান গ্রহণের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। প্রতিবাদী 
ওই বিরোধী শক্তিই এখন কাঠমান্ডুর ক্ষমতায়। সেই শক্তি সিআইএ প্রধানের নেপাল সফর বাতিল করতে উঠে পড়ে লেগেছিল।
নেপালের মতো অবস্থান অবশ্য শ্রীলঙ্কার নেতৃত্ব নেননি। উইলিয়াম বার্নসের সফর নিয়ে তাঁরা চুপচাপ থাকলেও ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ অফিসারদের আরও একটা দল ১৬ ফেব্রুয়ারি কলম্বো সফর করে গিয়েছে। এই দলের প্রধান ছিলেন জেদিদিয়া পি রয়্যাল। জেদিদিয়া আগে ন্যাটোতেও কাজ করেছেন। জেদিদিয়ার এই সফরের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক গুজব ছড়িয়েছে, ত্রিঙ্কোমালিতে আমেরিকা কিছু সেনা রাখার জায়গা চায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ত্রিঙ্কোমালি ছিল ব্রিটিশ নেভির ঘাঁটি। তারও আগে ডাচদের হাত থেকে প্রথম এই জায়গাটি দখল করেই ব্রিটিশরা শ্রীলঙ্কায় ঢুকেছিল। সেই ত্রিঙ্কোমালিতে আমেরিকার নজর যে চীন-ভারতের উদ্বেগ বাড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক।
একসময় সোভিয়েত রাশিয়ার সমস্ত পদক্ষেপের উপর নজরদারি চালানো ছিল আমেরিকার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মস্কোই ছিল সেই সময়ে ওয়াশিংটন ডিসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ সেই সময়ে এজেন্ট তৈরি করেছিল সোভিয়েতের নানা প্রান্তে। মস্কোর অজান্তে রুশ সরকারি অফিসারদের মধ্যেই অনেকে মার্কিন এজেন্ট হয়ে উঠেছিলেন। একইভাবে আমেরিকার উপরেও নজরদারি চালাত রুশ গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি। আমেরিকা এবং রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা পরস্পরের উপর গোপন নজরদারি এখনও চালায়। কিন্তু ওয়াশিংটনের কাছে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ চীনের উপর নজরদারি। বিশেষজ্ঞরা অনেকে মনে করছেন, সম্প্রতি রাশিয়া-ভারতের জ্বালানি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লির অবস্থানও 
সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করেছে আমেরিকা। 
মার্কিন মিত্র ইজরায়েল ও তুরস্কের মতো ভারতও ইউক্রেনের যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ফলে ভারতের উপর নজরদারি বাড়াতে শ্রীলঙ্কাতেও ঘাঁটি গাড়তে চাইছে ওয়াশিংটন।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আক্সেল দ্য ভারনিউ এশিয়া টাইমসে লিখেছেন, নিউ স্টার্ট চুক্তি (পরমাণু চুক্তি) থেকে মস্কোর বেরিয়ে আসার পর রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। চীনের নতুন বিদেশমন্ত্রী ঝিন গ্যাং বলেছেন, ‘বিশ্বে আজ যেভাবে অস্থিতিশীলতা বাড়ছে, তাতে রাশিয়া-চীনের সম্পর্ক টেকসই হওয়া প্রয়োজন।’ রাশিয়ানদের সঙ্গে চীনাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোন দিকে গড়াচ্ছে, সেটা এখন আমেরিকার কৌশলগত অগ্রাধিকারের বিষয়। তাই ভারতের প্রতি ওয়াশিংটনের সরাসরি মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভারতকে ক্রেমলিনের প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন করাই ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। একই সুরে নয়াদিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বিষয়ের অধ্যাপক ব্রহ্ম চেলানি বলেছেন, আমেরিকাকেও মনে রাখতে 
হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা না থাকলে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারি ধ্বংস হয়ে যায়। ওয়াশিংটন যদি কৌশলগত ফোকাস ইন্দো-প্যাসিফিকের দিকে সরাতে চায়, তবে 
এশিয়ায় তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। কিন্তু আমেরিকা উল্টো অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমানবহরের আধুনিকীকরণের জন্য ইসলামাবাদের সঙ্গে ৪৫ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে। যা ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে মার্কিন অস্ত্র দেওয়ার তিক্ত 
স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে।
প্রশ্ন উঠছে, ওয়াশিংটন ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে কেন? সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসের কু-নজরে আসলে কে?
23rd  March, 2023
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM