Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেট আসে যায়, গরিবের দিনবদল হয় না
হিমাংশু সিংহ

কাউন্টডাউন শুরু। লোকসভা ভোটের বাকি ৪০০ দিনেরও কম, আর নির্মলা সীতারামনের বাজেটের দেরি মাত্র ৭২ ঘণ্টা। তারও আগে পেশ হবে আর্থিক সমীক্ষা। কিন্তু এতটা পথ হেঁটেও আসল অসুখটা ধরা পড়ে না, চলতেই থাকে গড্ডলিকা প্রবাহ। কিংবা বলা ভালো, কেউ রোগটা ধরতেই উৎসাহী নন। তাতে যদি গদিটাই বেহাত হয়ে যায়! আমাদের দেশে রাজনীতি এবং তার দোসর নির্বাচনই, সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থ, প্রতিরক্ষা থেকে সমাজনীতি। বাজেটের যাবতীয় হইচই তৈরি করা তামাম সিদ্ধান্তও নিয়ন্ত্রিত হয় ভোটকে নজরে রেখেই। এবারই মোদি শাসনের দ্বিতীয় দফার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বভাবতই প্রত্যাশা অনেক। এই একটা দিন দেশের অর্থমন্ত্রী কত শত প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে যান দেশবাসীকে। এটা হবে, ওটা হবে। গরিবের মাথায় ছাদ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, খাদ্য, শিক্ষা। পাকিস্তানকে জব্দ করতে সীমান্তে রাফাল। তারপর নিয়মের ধারাপাতে প্রতিদিন সূর্য ওঠে, চাঁদ উঁকি দেয়। বছর ঘুরে আবার একটা ১ ফেব্রুয়ারি আসে। কিন্তু হিসেবের খাতায় কাটাকুটি খেলেও কোনও সুরাহা পায় না গরিব মানুষ। গ্রাম থেকে শহর। কৃষি থেকে শিল্প। শহুরে গরিব থেকে প্রত্যন্ত এলাকার প্রান্তিক মানুষ, আদিবাসী, দলিত, কারও অবস্থারই পরিবর্তন হয় না। উল্টে ধনী আরও টাকার পাহাড়ে চাপে। আমির আরও চকচকে বহু কোটির গাড়িতে সওয়ার। ডানপিটে সফল শিল্পপতির স্ত্রীর জন্মদিনে নিত্যনতুন হাওয়াই জাহাজ কেনার নেশা জাগে। ঠিক ক’টা খামার বাড়ি এদিক ওদিক ছড়িয়ে, গুনতে বসে খেই হারিয়ে যায় প্রায়শই। নেতারা আবার ভোট এলেই দলবদল করে কামাই বাড়ায়। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষ সেই তিমিরেই। ভোট আসে ভোট যায়, দারিদ্র্য দূর করার প্রতিশ্রুতি ফেরি করে ক্ষমতায় বসে ধুরন্ধর রাজনীতির কারবারি। কিন্তু আসল গরিবের দিনবদল হয় না। প্রান্তিক মানুষের জন্য বরাদ্দও দালালদের হাত ঘুরে দরমার মলিন ঘরে ঢোকে যৎসামান্য! পাচার হয়ে যায় মিড ডে মিলের চালও। এটাই ভারতের সাড়ে সাত দশকের অর্থনৈতিক অভিযাত্রার বাস্তব খতিয়ান!
নরেন্দ্র মোদি এই মুহূর্তে তৃতীয়বার কুর্সিতে বসে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। নেহরুর ছবি, গান্ধী পরিবারের কীর্তি মুছে দেওয়ার সঙ্কল্পে মশগুল। তাই কে প্রধানমন্ত্রীর নামে আবাস পেল, কোন পরিযায়ী শ্রমিকটার হাঁটতে হাঁটতে প্রাণ গেল, তা নিয়ে ভাবার ফুরসত বড্ড কম। সামান্য চা ওয়ালার ব্যাটা থেকে নেহরু- গান্ধীদের ইতিহাস মুছে দেওয়ার এই সাঙ্ঘাতিক উত্তরণের পথে কাঁটা সরাতেই তিনি ব্যস্ত। সেই লক্ষ্যেই মুসলিম সংখ্যালঘুদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন দলকে। সংখ্যালঘু ভোট পেতে তাঁর আরও দাওয়াই, কোনও বিতর্কিত সিনেমা, শিল্পকর্ম নিয়ে অযথা মারমুখী হওয়া চলবে না হিন্দুত্ববাদীদের। খুব ভালো কথা। কিন্তু এই বিলম্বিত বোধোদয়ের পিছনেও অনুঘটক কিন্তু বিবেক নয়, সংবিধান নয়, সেই সস্তা ভোট রাজনীতি। ‘৪০০ দিন বাদে’ তৃতীয়বার কুর্সি দখলের তাগিদ। ভোটের ফল বেরিয়ে শপথপর্ব চুকে গেলেই দেখা যাবে আবার যে কে সেই। এমন আশঙ্কা কিন্তু মোটেই অমূলক নয়। তখন আবার জয় শ্রীরাম না বললেই জুটবে বেদম মার, সঙ্গে সামাজিক বয়কটও। মানুষ ঠেকে শিখবে মোদিজির হ্যাটট্রিকের সামাজিক মহিমা কী অপার!
বাজেট এলেই অর্থমন্ত্রীর ব্যস্ততা মূলত তিনটি বিষয়কে ঘিরে আবর্তিত হয়। ১. আয়কর ২. কৃষি, কৃষকের আয় ও গ্রাম এবং ৩. শিল্পকে ছাড় দিয়ে জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ। বলা বাহুল্য, আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়লে আদতে দেশের মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ মানুষের উপকারে লাগে। ৭৫ বছর পরেও সেটা দশ শতাংশ হল না।  ১৩৬ কোটির দেশে কর দেয় মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬.২৫ শতাংশ। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। এদেশে এখনও মোট করদাতা মানুষের সংখ্যা ১০ কোটিও নয়।  আর দশ লক্ষ থেকে ১ কোটি পর্যন্ত আয়ের মানুষ ১ কোটিরও কম। আর এক কোটির উপর বার্ষিক আয়ের আমির মানুষের দেড় লক্ষের আশপাশে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা রিপোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ মাত্র ১ শতাংশ ধনীর হাতে। তাহলে আয়কর ছাড় দিয়ে কার লাভ? এপথে প্রকৃত গরিব প্রান্তিক মানুষের কোনও সুরাহা তো হয় না। একান্তভাবেই এটা মাস মাইনে পাওয়া সংগঠিত শ্রেণিকে পাইয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বাধীনতার পর ফিবছর বাজেট পেশ হয়েছে। কিন্তু ৭৫ বছর পেরিয়েও আর্থিক বৈষম্যই বেড়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে নিয়ে ভাবার সময় পাননি অর্থমন্ত্রীরা।
৯ বছর আগে ক্ষমতায় এসে মোদিজি কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে তৎপর হওয়ার সঙ্গে বাইশ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার ডাকও দিয়েছিলেন। সেই বাইশ সাল আজ ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে গিয়েছে। কৃষকের আয় কিন্তু দ্বিগুণ তো হয়নি, উল্টে কালা আইন এনে দিল্লির সীমানায় পাঞ্জাব হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বর্ধিষ্ণু কয়েক হাজার চাষিকে এক বছরেরও বেশি এই সরকার পথে বসিয়ে ছেড়েছে। কয়েকশো বৃদ্ধ চাষি দিল্লির প্রচণ্ড ঠান্ডায় মারা গিয়েছেন। তারপরও যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করানো হয়েছিল, তা আজও অপূর্ণই থেকে গিয়েছে। মানা হয়নি। অপূর্ণ থেকে গিয়েছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইন পাশের মতো জরুরি দাবিও। মোদি সরকার যাই বলুন, দেশের কৃষক সম্প্রদায় কিন্তু মোটেই ভালো নেই। কৃষকের অবস্থা না বদলালে গ্রাম ভালো থাকতে পারে না। গ্রাম অবহেলিত থেকে গেলে দেশের সার্বিক আর্থিক অগ্রগতিও রুদ্ধ হতে বাধ্য। বিগত ৯ বছরে এটাই বাস্তব। এখন আবার একশো দিনের কাজ প্রকল্পকে পঙ্গু করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। শহরে চাকরি নেই, গ্রামে ফিরে একশো দিনের কাজও উধাও। মানুষ যাবে কোথায়? বছরে দু’কোটি চাকরি আজ শুধু সোনার নয়, তার সঙ্গে হীরে খচিত পাথরবাটি! পাঁচ ট্রিলিয়নের অর্থনীতি বলতে কটা শূন্যর ধাক্কা তা অজানা দেশের এক শতাংশ মানুষেরই। তবু খোয়াব দেখাতে নেতানেত্রীদের কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।
২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালুর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু গত সাড়ে পাঁচ বছরে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পদে পদে ল্যাজেগোবরে। এর ফলে শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, মার খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বলা হয়েছিল, প্রথমটায় অসুবিধা হলেও এরফলে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা আখেরে লাভবান হবেন। কিন্তু বাস্তবে জটিলতা বেড়েই চলেছে। একজন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীকে এর পরিকাঠামো তৈরি করতেই বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। কিন্তু কিছুই সরল হচ্ছে না, জিনিসের দামও কমছে না। জিএসটি চালুর আগেই নোট বাতিল করে ব্যবসায়ী সমাজের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই ঘা আজও সারেনি। উল্টে বৈদেশিক বাজারে পেট্রল ডিজেলের দাম কমলেও তার সুফল এদেশের মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। পেট্রল ডিজেলের এই বর্ধিত মূল্য থেকে সরকারের মোটা টাকা মুনাফা হয়েছে। কিন্তু তার ধাক্কায় জিনিসের দাম গরিবের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদি সরকারের স্বপ্নের উজ্জ্বলা গ্যাস প্রকল্প। অত দাম দিয়ে রান্নার গ্যাস কেনার চেয়ে গ্রামের মহিলারা আবার কাঠখড় পুড়িয়ে রান্নার পথেই ফিরে গিয়েছেন।
মূল্যবৃদ্ধি ও পাল্লা দিয়ে বেকারত্ব, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মানুষের রোজগার কমছে। বেকার চাকরি পাচ্ছে না। অথচ জিনিসের দাম প্রতিদিন বাড়ন্ত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অসহায়। শুধু সুদ বাড়িয়েই ক্ষান্ত। এতকিছুর পড়েও শিল্পের গতি, বিশেষত উৎপাদন শিল্পের অগ্রগতিও মোটেই আশানুরূপ নয়। সাত বছর আগে নোট বাতিল করে সরকার এদেশের উদ্যোগপতিদের কোমর সেই যে ভেঙে দিয়েছেন, তা আর জোড়া লাগেনি। জাল  নোটের কারবারি, কালো টাকার রাঘববোয়ালদের মেরুদণ্ড ভাঙেনি, ক্ষতিও হয়নি। উল্টে আজ তাদের রমরমা আরও বেড়েছে। সরকারের অদ্ভুত ফরমানে প্রাণ গিয়েছে শুধু ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের। সেই মৃত্যুকে আরও ত্বরান্বিত করেছে দু’বছরের কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনও সুযোগও পায়নি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। আর  মোদিজির সাধের মেক ইন ইন্ডিয়া? অরুণাচল ও লাদাখ সীমান্তে চীনকে আপাতত রোখা গেলেও ভারতীয় বাজার দখল কিন্তু বন্ধ করা যায়নি। মোবাইল, ব্লুটুথ স্পিকার থেকে শুরু করে রকমারি আলো আর খেলনার বাজার, সব আজ চীনের দখলে। নানা ফরমান, নিষেধাজ্ঞাতেও কাজ হয়নি।
মোদি সরকার এসেই আলাদা করে রেল বাজেটের রীতি তুলে দিয়েছে। ব্যয় কমাতেই নাকি এই ব্যবস্থা। খুব ভালো কথা। কিন্তু টিকিটের দাম না বাড়ালেও ঘুরপথে কিন্তু যাত্রীদের উপর কোপ পড়ছেই। অধিকাংশ ট্রেনকেই সুপারফাস্ট তকমা দিয়ে যেমন টিকিট মূল্য বাড়ানো হয়েছে, তেমনি স্পেশাল ট্রেনের নামেও বেশি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ইদানীং আবার বন্দে ভারতের নামে নতুন তামাশা শুরু হয়েছে। এখন চলছে মাত্র আটটি, কিন্তু টার্গেট ৫০০টি। নিঃসন্দেহে রেল বেসরকারিকরণেরই এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এমনও শোনা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে রাজধানী ও দুরন্তর মতো কুলীন ট্রেন তুলে দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে জায়গা করে নেবে বন্দে ভারত। এভাবেই ঘুরপথে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের দামবৃদ্ধির পথেও হাঁটছে সরকার। রেলেরই তথ্য বলছে, ৪১ হাজার কোটি বাড়তি আয় হয়েছে, কিন্তু প্রবীণ সহ রেল যাত্রীদের একগুচ্ছ কনসেশন ফেরেনি। থমকে গিয়েছে বিলগ্নিকরণও।
আসলে সবই ফক্কা। কিন্তু তবু স্নো-পাউডার বুলিয়ে একটা ভোট জেতার মতো পটভূমি তো তৈরি করতেই হবে। কঠিন পরীক্ষা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। গরিব থেকে কর্পোরেট সবার জন্য একটা ছদ্ম খুশির বাতাবরণ তৈরি করতে না পারলে যে ম্যাচটাই ফস্কে যাবে। তাই আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রেখে এবার মানুষের চোখে ‘ধুলো’ দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর।
29th  January, 2023
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়েও। শুক্রবার দেখা গেল, উন্মুক্ত গেট। নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও করা হচ্ছে না তল্লাশি। ক্যাম্পাস দিয়ে অবাধে ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রক্ষা ৪০ পড়ুয়ার
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের খাপরখেড়ায় প্রায় ১০ মিনিট ধরে রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের ...বিশদ

08:20:00 AM

সিঁদুরে বাধা
আদিবাসী তরুণীদের মঙ্গলসূত্র ও সিঁদুর পরতে নিষেধ করায় মানেকা দামোর ...বিশদ

08:10:00 AM

ইতিহাস আজকের দিনে
১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে ১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু ১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: অপ্রত্যাশিত ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন যোগ। মিথুন: কাজকর্মে বাধা কাটবে ...বিশদ

07:50:00 AM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM