Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আইএসএফকে নিয়ে বিরোধীদের
কেন এই টানাটানি?
তন্ময় মল্লিক

শুধু অন্ধ স্নেহই নয়, অন্ধ বিরোধিতাও বিপজ্জনক। অন্ধ পুত্রস্নেহের জন্যই ধৃতরাষ্ট্র সন্তানকে ন্যায়-অন্যায় শেখাতে পারেননি। তাই দুর্যোধনকে সর্বস্ব খোয়াতে হয়েছিল। এই বঙ্গে বিজেপি এবং সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যা঩য়ের অন্ধ বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়ায় হারাচ্ছে পায়ের তলার মাটি। ভাঙড় কাণ্ডে আইএসএফের পাশে দাঁড়িয়ে সিপিএম প্রমাণ করে দিল, তারা কানাগলিতেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আইএসএফের সঙ্গে জোট করে ‘শূন্য’ হয়েও সিপিএমের শিক্ষা হয়নি। তাই তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে চিড় ধরানোর নেশায় এখনও তারা মত্ত। আর কোনওভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শায়েস্তা করতে না পেরে বিজেপিও আইএসএফের পাশে। কোন বিজেপি? যারা ‘৭০ শতাংশ’কে এককাট্টা করার আশায় গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে একটি আসনেও সংখ্যালঘুকে প্রার্থী করেনি। তাই আইএসএফের জন্য বিজেপির চোখের জল ‘কুম্ভীরাশ্রু’ হলেও ‘৭০ শতাংশ’কে ধন্দে ফেলার জন্য তা যথেষ্ট। তাতে বঙ্গ বিজেপির আম ও ছালা দু’ই খোয়া যাবে না তো? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছে।
নির্বাচন হল রাজনৈতিক দলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলি নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। জয়ের আশায় কেউ জোটসঙ্গী পাল্টায়, কেউ পাল্টায় দল। নির্বাচনের ফল বেরলে ‘দলবদলু’রা বুঝতে পারেন, তাঁদের স্ট্যান্ড বা গেমপ্ল্যান ঠিক ছিল, নাকি ভুল! মানুষের মনোভাব বুঝে নেতারা এবং রাজনৈতিক দলগুলি তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে থাকে। রাজনীতির এটাই প্রথা।
বাংলার রাজনীতিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কারণ এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে ভাঙাগড়া হয়েছে তা আগে কখনও হয়নি। জোট গড়াতেও ছিল চমক। নীতি ও আদর্শের ধ্বজা উড়িয়ে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড সৃষ্টিকারী বামেরা আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল। স্রেফ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। ২০১৬ সালে জোট করেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। ক্ষমতায় ফেরার তীব্র বাসনায় সিপিএম নেতৃত্ব ভুলে গিয়েছিল এই কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ’৭২-এর সন্ত্রাসের ফাটা রেকর্ড বাজিয়ে বাংলা দখল করেছিল তারা। এভাবেই একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বামেরা ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি’ প্রবাদটার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
শূন্যে পৌঁছনোর বড় কারণটি হল, সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ লেগে থাকা আইএসএফের সঙ্গে জোট শিক্ষিত বামপন্থীরা মেনে নেননি। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেন, সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন সহনশীলতা। উল্টো মেরুর সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মদত দেওয়াটা সমাধানের পথ হতে পারে না। কিন্তু সেই ভুলটাই সিপিএম করেছিল। তাই একদা বামেদের দুর্ভেদ্য দুর্গ বাংলায় সিপিএম হয়ে গিয়েছে অপ্রাসঙ্গিক। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, বাম নেতৃত্ব নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। কিন্তু ফের আইএসএফের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষিতে প্রমাণ হল, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া নয়, ভুল করাটাই বামেদের ট্র্যাডিশন।
আইএসএফ বিধায়ক গ্রেপ্তার হতেই ‘গণতন্ত্র রক্ষা’র দোহাই দিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে সিপিএম। ধৃত বিধায়কের সঙ্গে দেখা করার জন্য সটান লালবাজারে হাজির হয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী। যদিও পুলিস ধৃত বিধায়কের পরিবারের সদস্যদের ছাড়া কাউকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। তাই বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে মোলাকাত হয়নি সুজনবাবুর। তবে, তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। আর সেই ছবি সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় খুব গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। তাতেই বোঝা গিয়েছে, সিপিএমের ‘গণতন্ত্র রক্ষা’র আসল তাগিদটা কোথায়।
সিপিএম যে খেলাটা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খেলেছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ছকেই এগতে চাইছে। সিপিএম নেতৃত্ব অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আইএসএফ বিধায়কের গ্রেপ্তারিকে গোটা মুসলিম সমাজের উপর আঘাত বলে দেখাতে চাইছে। সেই জন্য নৌশাদ সিদ্দিকির ধর্মীয় পরিচয়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি যে কৌশলে ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, এখানেও সিপিএম ঠিক সেই চেষ্টাই করছে। এর উদ্দেশ্য? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে চিড় ধরানো। তাতে বামেদের কতটা লাভ হবে বলা মুশকিল, কিন্তু বিজেপির লাভ ষোলোআনা।
ফুরফুরা শরিফ শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছেই নয়, বহু হিন্দুর কাছেও অত্যন্ত পবিত্র স্থান। প্রচুর মানুষ সেখানে গিয়ে অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাও বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধা পান। কিন্তু কোনও ধর্মগুরু ধর্মের আঙিনা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হলে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়টাই বড় হয়ে যায়। ভাঙড় কাণ্ডে সেটাই ঘটেছে। নৌশাদ সিদ্দিকি পীরজাদা এবং সম্মাননীয়। কিন্তু তিনি সেদিন রাস্তায় নেমেছিলেন একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই। তাই তাঁর গ্রেপ্তারি কিছুতেই মুসলিম সমাজের উপর আঘাত হতে পারে না। 
শুধু সিপিএম নয়, বিজেপিও একইভাবে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা নৌশাদ সিদ্দিকিসহ ১৯ জনের গ্রেপ্তারির ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, যাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন, এবার তারাই দেখুক, কাকে বসিয়েছে!
বিজেপি নেতৃত্ব কেন একথা বলছে? আসলে এটা গেরুয়া শিবিরের চরম হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফের অশান্তির রেশ কলকাতায় আছড়ে পড়লে সবচেয়ে খুশি কারা হতো? অবশ্যই বিজেপি। কলকাতার বুকে আইএসএফের অশান্তির ভিডিও ভাইরাল করা হতো। সেই ছবি এমনভাবে তুলে ধরা হতো যাতে হিন্দুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আর আতঙ্কিত করতে পারলেই সহজ হয় মেরুকরণের কাজ। সেই ছবি দেখিয়ে বোঝানো হতো, কেন এরাজ্যে বিজেপিকে আনা দরকার।
ভাঙড় ইস্যুতে পুলিস কড়া পদক্ষেপ না নিলেই অশান্তি বাড়ত। তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের টিম ময়দানে নেমে পড়ত। তারা প্রচার করত, অশান্তি হল, ভাঙচুর হল, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস পকেটে হাত ঢুকিয়ে বসে রইল। কিছুই করল না। ‘দুধেল গাই’ বলেই পুলিস অ্যাকশন নিল না। হিন্দু হলে মেরে ফাটিয়ে দিত। কিন্তু পুলিস আইন রক্ষায় কড়া পদক্ষেপ করায় সেই সুযোগটা বিজেপির হাতছাড়া হয়ে গেল।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। বিজেপির দিল্লির কর্তারা হিসেব কষতে গিয়ে বুঝতে পারছেন, ২০২৪ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া খুব সহজ হবে না। কারণ পরপর দু’বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসেও আম জনতার স্বার্থে বলার মতো কোনও কাজই করেনি। উল্টে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। লক্ষ লক্ষ সরকারি পদ অবলুপ্ত করেছে। চাকরির সুযোগ সঙ্কুচিত হওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব। গেরুয়াকরণের লক্ষ্যে অবিচল বিজেপির দিক থেকে আগেই মুখ ফিরিয়েছে সংখ্যালঘুরা। তার উপর রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বিজেপির কাছে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মোটেই স্বস্তিতে নেই দিল্লি বিজেপি।
ভারতীয় জনতা পার্টির গোপন রিপোর্ট বলছে, দেশের ৬০টি সংখ্যালঘু আসনে তাদের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে ১৩টি। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলের কর্মীদের শিক্ষিত মুসলিমদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন, রামমন্দির নির্মাণ করতে পারলেই কেল্লা ফতে। গটগট করে গিয়ে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন। এখন সেই মোদিজিই মুসলিমদের কাছে যেতে বলছেন। তবে এটা উদারতা নয়, স্বপ্ন সফল করার নয়া ছল। 
‘৭০ শতাংশ’কে এককাট্টা করার আশায় গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও মুসলিম প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। সফল হয়েছে সেই গেমপ্ল্যান। দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা হবে জেনেও বিলকিস বানোর খুনিদের জেল থেকে বেরনোর পথ মসৃণ করে দিয়েছে। তার জেরে গুজরাতে রেকর্ড সংখ্যক আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। সেই বিজেপি কি না বাংলায় নৌশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে! বেড়াল গাছে উঠতে চাইলে বুঝতে হবে, সে ঠেলায় পড়েছে।
 
28th  January, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
ডিটেনশন ক্যাম্পে আগুন লেগে মৃত্যু হল ৩৯ জন শরণার্থীর। আহত আরও ২৯। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেরিকায় অবৈধভাবে ঢোকার ...

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফুটবল লিগে বুধবার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে ইস্ট বেঙ্গল। বারাকপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দুই শিবির। উল্লেখ্য, সোমবার জামশেদপুর এফসি’র কাছে ২-৩ গোলে হারের মুখ দেখেছে বিনো জর্জের দল। ...

ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে হাওড়া জেলার ২৭২টি রাস্তার কাজের সূচনা হল। এগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২৬৫.৭৯ কিলোমিটার, তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM