Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজও আক্রোশের
অভিমুখ সেই বাংলা...
হিমাংশু সিংহ

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ২৩ জানুয়ারি এলেই মনটা কেমন আনচান করে ওঠে। একটা আশ্চর্য শ্রদ্ধা মাখা সম্ভ্রমে মাথাটা আপনি হেঁট হয়ে যায়। আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েই যিনি অন্তর্ধানে হারিয়ে গিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্যপূরণ হলেও আসব আসব করে আর অসেননি এই বাংলায়। ৭৭ বছর পার করেও সুভাষ ঘরে ফেরেননি। দেখতে আসেননি তাঁর প্রাণ বাজি রেখে অর্জন করা স্বাধীন ভারতের আলপথ, পুকুর, নদী, গাছপালা, মানুষ কেমন আছে! সত্যিকারের স্বাধীনতার মানে ও দ্যুতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে কি না। নাকি কখনও একটা পরিবারের আড়ালে আবার কখনও নিষ্ঠুর ধর্মের ব্যবসার ফাঁদে হারিয়ে গিয়েছে আসল উদ্দেশ্যটাই! নিঃসন্দেহে তাঁর এই না ফেরায় হাসি চওড়া হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে লুটেপুটে খাওয়া নেতানেত্রীদের। ভোটে জনগণের মন জিতে আখের গোছানোয় আর বাধা হয়নি কেউ। অনেকেই কামাতে ব্যস্ত। শৃঙ্খলা আর চরিত্র শুদ্ধির কথা তিনি ছাড়া বলবে কে? ফল, ৭৫ বছরের স্বাধীনতার পরিক্রমায় পরিবারবাদ থেকে ধর্মীয় বিভাজনের আবর্তে বন্দি হয়েছে দেশ। ভাঙা সেই রেকর্ড চলতে চলতে নৈতিকতার মাথা খেয়ে খেলাটা আজ ক্রমেই জটিল। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি। ভোট পাটিগণিতকে যেকোনও মূল্যে নিয়ন্ত্রণ করাই কি স্বাধীনতার আসল মানে? এই স্বাধীনতারই কি স্বপ্ন দেখেছিলেন সুভাষ, চিত্তরঞ্জন, বিনয়, বাদল, দীনেশ ও বাঘাযতীনের মতো বাংলার একদল দামাল ছেলে? দেশের জন্য জীবন দিয়ে তাঁরা সত্যি কী পেলেন? নাকি বাংলার বঞ্চনার ভারই শুধু বাড়ল!
স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং একইসঙ্গে বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষের অর্ন্তধানেরও ৭৭ বছর। এই সমাপতনের সময়টা নিঃসন্দেহে ভারতের ইতিহাসে ক্রান্তিকাল। সরকার একে অমৃতকাল আখ্যা দিলেও দেশবাসীর প্রকৃত অমৃতলাভ দূরঅস্ত। এই সাড়ে সাত দশকের অভিযাত্রায় শাসক আর শাসিতের দূরত্বই শুধু বাড়েনি। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, আজ প্রতি মুহূর্তে দেশে ধনী-গরিবের ফারাক চওড়া হচ্ছে বিপজ্জনকভাবে। দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ আজ মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। শুধু ভোটে জেতা নেতা নয়, নব্য পুঁজিপতি সমাজও সব দখলের নেশায় মত্ত। এই একটা মাত্র সরল পরিসংখ্যান প্রমাণ করে স্বাধীন দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্র্যের ছোবলের চেয়েও বড় সমস্যা—গরিব আরও গরিব হচ্ছে। আর বড়লোক হাওয়াই জাহাজ কিনে রাতারাতি আরও আমির বনে যাচ্ছে! তাঁর প্রাসাদের প্রধান ফটকের পাশেই নিরন্ন মানুষের ভিড়। সমাজে যখন এই বৈষম্য তৈরি হয়, তখন তার অনিবার্য পরিণতি শোষণ এবং স্বেচ্ছাচার। ৭৫ বছরের এই অভিযাত্রায় দুর্নীতির পাশাপাশি অন্ধকারে ভরা ওই দিকটাও সমান উদ্বেগজনক।
আর পূর্বভারতের এককোণে পড়ে থাকা অবহেলিত বাংলা। শতসহস্র বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর উত্থান এই পবিত্র বীরভূমি থেকে। অথচ ইতিহাসের পরতে পরতে বাংলা ও বাঙালিকে টেনে নামানোর ষড়যন্ত্রটা এক মুহূর্তের জন্য থামেনি। বরং যত দিন যাচ্ছে, ততই সেই চক্রান্ত আরও গভীর হচ্ছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে সবার আগে থেকেও এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে বাঙালি যে শুধু একটা প্রধানমন্ত্রী পায়নি তা নয়, পদে পদে তার অগ্রগতিকে রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। চক্রান্ত হয়েছে। ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে, এবং তা এখনও চলছে। দেশভাগের বিষ ছড়িয়ে দেওয়া থেকে হালে একশো দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ করার মধ্যে দিয়েই তা বারে বারে প্রমাণিত। দেশভাগের শিকার পাঞ্জাবও। কিন্তু তার উন্নয়ন একবারের জন্য থমকে যায়নি। গুজরাত, মহারাষ্ট্রও এগিয়েছে জেট গতিতে। অথচ মাশুল সমীকরণ নীতির কোপে এবং দিল্লির কর্তাদের একচোখামোয় বাংলায় বরাদ্দ আসেনি। দিল্লির শাসকরা উদার দৃষ্টিতে চোখ মেলে দেখেননি। তবু বিধানচন্দ্র রায় কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছরের সিপিএম আমলে বাংলা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে ও উগ্র ইউনিয়নবাজির ধাক্কায় শুধুই বঞ্চিত হয়েছে। পেয়েছে যৎসামান্য। কল-কারখানা, শিল্প বিনিয়োগ থেকে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ সব ক্ষেত্রেই আজ বাংলার চেয়ে উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের বৃহৎ অংশ অনেক এগিয়ে। নেতাজি সময়মতো ফিরলে শুধু কানাকড়ি নিয়েই বাংলাকে খুশি থাকতে হতো না। একশো দিনের আটকে থাকা কোটি কোটি টাকা থেকে জিএসটির ক্ষতিপূরণ পেতে মমতাকে লড়াই করতে হতো না। বাংলাকে আটকে রাখার হিম্মত হতো না কারও।
নেতাজি ফিরে আসুন, হয়তো নেহরুর মেন্টর গান্ধীজিও চাননি। কারণ, তিনি ফিরে এলে ভারতের ইতিহাস আজ নতুন খাতে বইত। বাঙালির অগ্রগতির খতিয়ান সোনার কলম দিয়ে লিখতে হতো। শুধু একটি পরিবারই অর্ধশতাব্দীরও বেশি দেশের শাসনযন্ত্রকে নিজেদের তাঁবে রাখতে পারত না। ধর্মের নামে ভোট ভাগাভাগির নাটক পর্যন্ত কুৎসিত চেহারায় সামনে আসতে পারত না। নেতাজি ফিরে আসেননি বলেই দেশটা কখনও পরিবারবাদ, আবার কখনও ধর্মোন্মাদদের হাতে বন্দি। এই ৭৫ বছরে কখনও কোনও প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বসেই ঘুমোতে দেখেছি। আবার কেউ দাবি করেছেন, অষ্টপ্রহর তিনি দেশের কথা ভাবেন। ছুটি বলে কিছু তাঁর অভিধানেই নাকি নেই! বিভাজনের বিষ যাঁর হাতে, তাঁর ত্যাগ আত্মস্থ করতে হলে জনগণকেও যে নীলকণ্ঠ হতে হবে।
আজ নরেন্দ্র মোদি যখন তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ নিষ্কণ্টক করার জন্য বলেন, আর ৪০০ দিন বাকি। তখন একটা কথাই মনে হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কিন্তু একটা অনির্দিষ্টকাল লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাতে সাফল্য আসবে, গদি মিলবে এমন কোনও লাভ দেখে তাঁরা ঝাঁপাননি। তাঁরা শুধু একটা কথাই জানতেন, দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার চেয়ে পবিত্র কর্তব্য আর কিছু নেই। কাউকে ইতিহাস থেকে মুছে নিজের কীর্তি স্থাপনের জন্য নয়, নেতাজিদের লড়াই ছিল দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনের। আর আজ ভোটের ৪০০ দিন বাকির কথা যখন মোদিজি বলেন, তখন দেশ নয়, অগ্রাধিকার পায় ব্যক্তিগত রেকর্ড। তাতে দেশের ভালোর চেয়েও গুরুত্ব পায় পরাক্রমী ভিতরের ‘আমি’টা। 
তাই ১৯৪৩ সালে বিদেশের মাটিতে নেতাজি যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ার কথা বলেছিলেন, তখন তাঁর স্লোগান ছিল ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা...।’ সম্বোধন ছিল দেশবাসীকে। আর দেশের অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের আগে মোদির স্লোগান সম্পূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। নিজের কেরামতি তুলে ধরার ‘উসসে গুমা হ্যায় কি মেরি উড়ান কুছ কম হ্যায় মুঝে ইয়েকিন হ্যায় কি ইয়ে আসমান কুছ কম হ্যায়...।’ যার বাংলা অর্থ, ‘আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে, কিন্তু আমাদের সম্ভাবনা অসীম।’ এখানেই বোঝা যায় পার্থক্যটা। একজন দেশের জন্য উৎসর্গপ্রাণ। দেশমাতৃকার জন্য বলিপ্রদত্ত। অন্যজন ব্যক্তিগত রেকর্ড ও ক্ষমতা জাহির করতে মরিয়া। তার চেয়েও সাংঘাতিক হচ্ছে স্বাধীনতার আন্দোলনে যে সঙ্ঘ পরিবারের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক। আতশকাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিয়ে সেই সঙ্ঘ পরিবারই এখন নতুন করে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লিখতে মরিয়া। সঙ্ঘের এই বীরত্ব জাহির করাটা বাঙালি মেনে নিতে প্রস্তুত তো! চারপাশটা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আর তাই সেদিনের বীরশ্রেষ্ঠ সাভারকার আর নেতাজির স্থান হচ্ছে এক পঙ্‌ক্তিতে। বাঙালিকে তা মেনেও নিতে হচ্ছে মুখ বুজে। কারণ, স্বাধীনতার লড়াইয়ে সবার আগে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বাঙালির ভাগ্যে জোটেনি। তাই ইতিহাস বদলের প্রতিটি বাঁকে এই বঙ্গের বীর সন্তানদের ভূমিকার ক্রমশ অবমূল্যায়ন ঘটে গিয়েছে নিঃশব্দে। তবুও কি ইতিহাসকে মুছে ফেলা এত সহজ? ষড়যন্ত্র সেদিনও হয়েছিল, আজও চলছে—বাঙালিকে টেনে নামানোর, ভাতে মারার। তার বিরুদ্ধেই বাংলার আজকের অগ্নিকন্যা লড়ছেন।
অনেক তত্ত্ব খাড়া করেও এখনও তাঁকে ভোলানো যায়নি। বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হয়নি, তাতে কী? ১৯৪৭ সালের পর যাঁরা ওই আসনে বসেছেন, তাঁদের ক’জনকে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় আজ এতদিন পরও মনে রেখেছে দেশের মানুষ? মনে রাখেনি। ক’জনের জন্মদিন এভাবে গোটা দেশে পালিত হয় সসম্মানে? আজকে যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর যাবতীয় কীর্তি মুছে নিজেকে আরও আগুয়ান দেখতে চান। গান্ধী পরিবারের কৌলীন্য মুছে দিতে চান। অথচ প্রধানমন্ত্রী না-হলেও নেতাজির প্রভাব ও ভূমিকাকে ছোট করে দেখানোর হিম্মত কারও হয় না। কারণ, তিনি আছেন ও থাকবেন প্রতিটি দেশবাসীর রক্তবিন্দুতে। পরপর পাঁচবার কেউ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার দখল করলেও নেতাজির সমকক্ষ হতে পারবেন না। যতদিন ভারত থাকবে, তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সমার্থক হিসেবেই সম্মান ও পুজো পাবেন। আরও একশো বছর পরেও, ২৩ জানুয়ারির আগের দিন তা সমান আগ্রহে স্মরণ করতে হবে কোনও কলমচিকে। তাঁকে স্মরণের মধ্যে দিয়ে চক্রান্তকে হারিয়ে বাংলা ও বাঙালির জয়ও ঘোষিত হবে সম্মিলিত গর্জনে।
22nd  January, 2023
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...

গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল সরকার। ...

আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফের এই দাবি করলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। ...

চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের নিরিখে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM