Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজও আক্রোশের
অভিমুখ সেই বাংলা...
হিমাংশু সিংহ

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ২৩ জানুয়ারি এলেই মনটা কেমন আনচান করে ওঠে। একটা আশ্চর্য শ্রদ্ধা মাখা সম্ভ্রমে মাথাটা আপনি হেঁট হয়ে যায়। আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়েই যিনি অন্তর্ধানে হারিয়ে গিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্যপূরণ হলেও আসব আসব করে আর অসেননি এই বাংলায়। ৭৭ বছর পার করেও সুভাষ ঘরে ফেরেননি। দেখতে আসেননি তাঁর প্রাণ বাজি রেখে অর্জন করা স্বাধীন ভারতের আলপথ, পুকুর, নদী, গাছপালা, মানুষ কেমন আছে! সত্যিকারের স্বাধীনতার মানে ও দ্যুতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে কি না। নাকি কখনও একটা পরিবারের আড়ালে আবার কখনও নিষ্ঠুর ধর্মের ব্যবসার ফাঁদে হারিয়ে গিয়েছে আসল উদ্দেশ্যটাই! নিঃসন্দেহে তাঁর এই না ফেরায় হাসি চওড়া হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে লুটেপুটে খাওয়া নেতানেত্রীদের। ভোটে জনগণের মন জিতে আখের গোছানোয় আর বাধা হয়নি কেউ। অনেকেই কামাতে ব্যস্ত। শৃঙ্খলা আর চরিত্র শুদ্ধির কথা তিনি ছাড়া বলবে কে? ফল, ৭৫ বছরের স্বাধীনতার পরিক্রমায় পরিবারবাদ থেকে ধর্মীয় বিভাজনের আবর্তে বন্দি হয়েছে দেশ। ভাঙা সেই রেকর্ড চলতে চলতে নৈতিকতার মাথা খেয়ে খেলাটা আজ ক্রমেই জটিল। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে যাচ্ছে দুর্নীতি। ভোট পাটিগণিতকে যেকোনও মূল্যে নিয়ন্ত্রণ করাই কি স্বাধীনতার আসল মানে? এই স্বাধীনতারই কি স্বপ্ন দেখেছিলেন সুভাষ, চিত্তরঞ্জন, বিনয়, বাদল, দীনেশ ও বাঘাযতীনের মতো বাংলার একদল দামাল ছেলে? দেশের জন্য জীবন দিয়ে তাঁরা সত্যি কী পেলেন? নাকি বাংলার বঞ্চনার ভারই শুধু বাড়ল!
স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং একইসঙ্গে বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষের অর্ন্তধানেরও ৭৭ বছর। এই সমাপতনের সময়টা নিঃসন্দেহে ভারতের ইতিহাসে ক্রান্তিকাল। সরকার একে অমৃতকাল আখ্যা দিলেও দেশবাসীর প্রকৃত অমৃতলাভ দূরঅস্ত। এই সাড়ে সাত দশকের অভিযাত্রায় শাসক আর শাসিতের দূরত্বই শুধু বাড়েনি। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, আজ প্রতি মুহূর্তে দেশে ধনী-গরিবের ফারাক চওড়া হচ্ছে বিপজ্জনকভাবে। দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ আজ মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। শুধু ভোটে জেতা নেতা নয়, নব্য পুঁজিপতি সমাজও সব দখলের নেশায় মত্ত। এই একটা মাত্র সরল পরিসংখ্যান প্রমাণ করে স্বাধীন দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্র্যের ছোবলের চেয়েও বড় সমস্যা—গরিব আরও গরিব হচ্ছে। আর বড়লোক হাওয়াই জাহাজ কিনে রাতারাতি আরও আমির বনে যাচ্ছে! তাঁর প্রাসাদের প্রধান ফটকের পাশেই নিরন্ন মানুষের ভিড়। সমাজে যখন এই বৈষম্য তৈরি হয়, তখন তার অনিবার্য পরিণতি শোষণ এবং স্বেচ্ছাচার। ৭৫ বছরের এই অভিযাত্রায় দুর্নীতির পাশাপাশি অন্ধকারে ভরা ওই দিকটাও সমান উদ্বেগজনক।
আর পূর্বভারতের এককোণে পড়ে থাকা অবহেলিত বাংলা। শতসহস্র বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর উত্থান এই পবিত্র বীরভূমি থেকে। অথচ ইতিহাসের পরতে পরতে বাংলা ও বাঙালিকে টেনে নামানোর ষড়যন্ত্রটা এক মুহূর্তের জন্য থামেনি। বরং যত দিন যাচ্ছে, ততই সেই চক্রান্ত আরও গভীর হচ্ছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে সবার আগে থেকেও এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে বাঙালি যে শুধু একটা প্রধানমন্ত্রী পায়নি তা নয়, পদে পদে তার অগ্রগতিকে রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। চক্রান্ত হয়েছে। ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে, এবং তা এখনও চলছে। দেশভাগের বিষ ছড়িয়ে দেওয়া থেকে হালে একশো দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ করার মধ্যে দিয়েই তা বারে বারে প্রমাণিত। দেশভাগের শিকার পাঞ্জাবও। কিন্তু তার উন্নয়ন একবারের জন্য থমকে যায়নি। গুজরাত, মহারাষ্ট্রও এগিয়েছে জেট গতিতে। অথচ মাশুল সমীকরণ নীতির কোপে এবং দিল্লির কর্তাদের একচোখামোয় বাংলায় বরাদ্দ আসেনি। দিল্লির শাসকরা উদার দৃষ্টিতে চোখ মেলে দেখেননি। তবু বিধানচন্দ্র রায় কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছরের সিপিএম আমলে বাংলা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে ও উগ্র ইউনিয়নবাজির ধাক্কায় শুধুই বঞ্চিত হয়েছে। পেয়েছে যৎসামান্য। কল-কারখানা, শিল্প বিনিয়োগ থেকে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ সব ক্ষেত্রেই আজ বাংলার চেয়ে উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের বৃহৎ অংশ অনেক এগিয়ে। নেতাজি সময়মতো ফিরলে শুধু কানাকড়ি নিয়েই বাংলাকে খুশি থাকতে হতো না। একশো দিনের আটকে থাকা কোটি কোটি টাকা থেকে জিএসটির ক্ষতিপূরণ পেতে মমতাকে লড়াই করতে হতো না। বাংলাকে আটকে রাখার হিম্মত হতো না কারও।
নেতাজি ফিরে আসুন, হয়তো নেহরুর মেন্টর গান্ধীজিও চাননি। কারণ, তিনি ফিরে এলে ভারতের ইতিহাস আজ নতুন খাতে বইত। বাঙালির অগ্রগতির খতিয়ান সোনার কলম দিয়ে লিখতে হতো। শুধু একটি পরিবারই অর্ধশতাব্দীরও বেশি দেশের শাসনযন্ত্রকে নিজেদের তাঁবে রাখতে পারত না। ধর্মের নামে ভোট ভাগাভাগির নাটক পর্যন্ত কুৎসিত চেহারায় সামনে আসতে পারত না। নেতাজি ফিরে আসেননি বলেই দেশটা কখনও পরিবারবাদ, আবার কখনও ধর্মোন্মাদদের হাতে বন্দি। এই ৭৫ বছরে কখনও কোনও প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বসেই ঘুমোতে দেখেছি। আবার কেউ দাবি করেছেন, অষ্টপ্রহর তিনি দেশের কথা ভাবেন। ছুটি বলে কিছু তাঁর অভিধানেই নাকি নেই! বিভাজনের বিষ যাঁর হাতে, তাঁর ত্যাগ আত্মস্থ করতে হলে জনগণকেও যে নীলকণ্ঠ হতে হবে।
আজ নরেন্দ্র মোদি যখন তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ নিষ্কণ্টক করার জন্য বলেন, আর ৪০০ দিন বাকি। তখন একটা কথাই মনে হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কিন্তু একটা অনির্দিষ্টকাল লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাতে সাফল্য আসবে, গদি মিলবে এমন কোনও লাভ দেখে তাঁরা ঝাঁপাননি। তাঁরা শুধু একটা কথাই জানতেন, দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার চেয়ে পবিত্র কর্তব্য আর কিছু নেই। কাউকে ইতিহাস থেকে মুছে নিজের কীর্তি স্থাপনের জন্য নয়, নেতাজিদের লড়াই ছিল দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনের। আর আজ ভোটের ৪০০ দিন বাকির কথা যখন মোদিজি বলেন, তখন দেশ নয়, অগ্রাধিকার পায় ব্যক্তিগত রেকর্ড। তাতে দেশের ভালোর চেয়েও গুরুত্ব পায় পরাক্রমী ভিতরের ‘আমি’টা। 
তাই ১৯৪৩ সালে বিদেশের মাটিতে নেতাজি যখন আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ার কথা বলেছিলেন, তখন তাঁর স্লোগান ছিল ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা...।’ সম্বোধন ছিল দেশবাসীকে। আর দেশের অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনের আগে মোদির স্লোগান সম্পূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। নিজের কেরামতি তুলে ধরার ‘উসসে গুমা হ্যায় কি মেরি উড়ান কুছ কম হ্যায় মুঝে ইয়েকিন হ্যায় কি ইয়ে আসমান কুছ কম হ্যায়...।’ যার বাংলা অর্থ, ‘আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে, কিন্তু আমাদের সম্ভাবনা অসীম।’ এখানেই বোঝা যায় পার্থক্যটা। একজন দেশের জন্য উৎসর্গপ্রাণ। দেশমাতৃকার জন্য বলিপ্রদত্ত। অন্যজন ব্যক্তিগত রেকর্ড ও ক্ষমতা জাহির করতে মরিয়া। তার চেয়েও সাংঘাতিক হচ্ছে স্বাধীনতার আন্দোলনে যে সঙ্ঘ পরিবারের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক। আতশকাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিয়ে সেই সঙ্ঘ পরিবারই এখন নতুন করে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লিখতে মরিয়া। সঙ্ঘের এই বীরত্ব জাহির করাটা বাঙালি মেনে নিতে প্রস্তুত তো! চারপাশটা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আর তাই সেদিনের বীরশ্রেষ্ঠ সাভারকার আর নেতাজির স্থান হচ্ছে এক পঙ্‌ক্তিতে। বাঙালিকে তা মেনেও নিতে হচ্ছে মুখ বুজে। কারণ, স্বাধীনতার লড়াইয়ে সবার আগে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার বাঙালির ভাগ্যে জোটেনি। তাই ইতিহাস বদলের প্রতিটি বাঁকে এই বঙ্গের বীর সন্তানদের ভূমিকার ক্রমশ অবমূল্যায়ন ঘটে গিয়েছে নিঃশব্দে। তবুও কি ইতিহাসকে মুছে ফেলা এত সহজ? ষড়যন্ত্র সেদিনও হয়েছিল, আজও চলছে—বাঙালিকে টেনে নামানোর, ভাতে মারার। তার বিরুদ্ধেই বাংলার আজকের অগ্নিকন্যা লড়ছেন।
অনেক তত্ত্ব খাড়া করেও এখনও তাঁকে ভোলানো যায়নি। বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হয়নি, তাতে কী? ১৯৪৭ সালের পর যাঁরা ওই আসনে বসেছেন, তাঁদের ক’জনকে শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় আজ এতদিন পরও মনে রেখেছে দেশের মানুষ? মনে রাখেনি। ক’জনের জন্মদিন এভাবে গোটা দেশে পালিত হয় সসম্মানে? আজকে যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর যাবতীয় কীর্তি মুছে নিজেকে আরও আগুয়ান দেখতে চান। গান্ধী পরিবারের কৌলীন্য মুছে দিতে চান। অথচ প্রধানমন্ত্রী না-হলেও নেতাজির প্রভাব ও ভূমিকাকে ছোট করে দেখানোর হিম্মত কারও হয় না। কারণ, তিনি আছেন ও থাকবেন প্রতিটি দেশবাসীর রক্তবিন্দুতে। পরপর পাঁচবার কেউ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার দখল করলেও নেতাজির সমকক্ষ হতে পারবেন না। যতদিন ভারত থাকবে, তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সমার্থক হিসেবেই সম্মান ও পুজো পাবেন। আরও একশো বছর পরেও, ২৩ জানুয়ারির আগের দিন তা সমান আগ্রহে স্মরণ করতে হবে কোনও কলমচিকে। তাঁকে স্মরণের মধ্যে দিয়ে চক্রান্তকে হারিয়ে বাংলা ও বাঙালির জয়ও ঘোষিত হবে সম্মিলিত গর্জনে।
22nd  January, 2023
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM