Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির রাজত্বে ক্ষতি বিজেপিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই স্লোগানের নাম ছিল শাইনিং ইন্ডিয়া। ২০০৪ সাল। আর এখন নয়া স্লোগানের নাম অমৃতকাল। সামনেই ২০২৪ সাল। ২০ বছরে ভারত অনেক পাল্টেছে। পাল্টেছে রাজনীতি। রাজনৈতিক সমীকরণ। পাল্টেছে নেতা-নেত্রী। পাল্টে গিয়েছে জনতার মনোভাব।  কিন্তু ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি শব্দবন্ধ এই কারণেই জন্ম নিয়েছে। ২০০৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারের প্রধান প্রচার ছিল ভারত অনেক বেশি উজ্জ্বল 
হয়েছে। তাই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল শাইনিং ইন্ডিয়া। ২০০৪ সালে বিজেপির সামনে কোনও বিপক্ষই 
ছিল না।  রাহুল গান্ধী রাজনীতির প্রাঙ্গণেই নেই। সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস কিংবা বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলের শক্তিশালী জোট কিছুই সেরকম প্রভাবশালী নয়। অতএব ধরে নেওয়া হয়েছিল হাসতে হাসতে জয়ী হবেন বাজপেয়ি। ২০০৪ সাল ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এক আশ্চর্য রহস্য। কারণ বাজপেয়ির এনডিএ যে ওভাবে পরাস্ত হতে পারে সেটা অকল্পনীয় ছিল। 
২০২৪ সাল এখনও আসেনি। কিন্তু গতিপ্রকৃতি থেকে স্পষ্ট যে, ২০২৪ সালের বিজেপি (এনডিএ বলে কিছু তো আর নেই) অনেক বেশি আগ্রাসী ভাবে ঠিক ওই শাইনিং ইন্ডিয়ার ধাঁচেই প্রচার করবে যে, ভারত এখন প্রায় জগৎসভায় শ্রেষ্ট আসন নিতে চলেছে। অর্থাৎ নামে অমৃতকাল, আসলে শাইনিং ইন্ডিয়া টু। তবে অনেক বেশি হাই ভোল্টেজ। বিরোধী পক্ষ ছত্রভঙ্গ, বারংবার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহাজোটের উদ্যোগ নেই। এই মুহূর্তে কেউ ভাবছেও না যে, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি পরাস্ত হতে পারে। অতএব ধরেই নেওয়া যায় ২০০৪ সালের নির্বাচনপূর্ব চিত্রনাট্য উপস্থিত হয়েছে। এবার আমাদের আর দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে যে, ২০০৪ সালের মতোই কোনও অঘটন হয় কি না। 
এই নিবন্ধের প্রতিপাদ্য  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে কি না সেটি নয়। আমরা বরং লক্ষ করতে চাইছি, বিজেপির কতটা পরিবর্তন হয়ে গেল এই ২০ বছরে। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ আপাতভাবে বিজেপিকে সবথেকে বেশি শক্তিশালী করেছেন এখন। তাঁদের দুজনের যুগলবন্দিতেই আজ বিজেপি সর্বশক্তিমান। কিন্তু সত্যিই কি তাই? রাজ্যে রাজ্যে সরকার গঠন অথবা কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি একচ্ছত্র শাসকে পরিণত করার মধ্যে দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বিজেপিকে সর্বশক্তিমান আইডেন্টিটি দিয়েছেন মোদি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উল্টো। বিজেপির একক আইডেন্টিটি একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি এখন মোদির দলে পরিণত হয়েছে। 
বিজেপি প্রথম থেকেই ছিল কালেকটিভ লিডারশিপের দল। একজন নেতা-নেত্রীর অধীনে থাকা দল হতে চায়নি বিজেপি। তাদের নিজেদের প্রচারও ছিল সেটাই। চরম উত্থানের সময়ও বিজেপি কখনও আদবানির দল, বাজপেয়ির দলে পরিণত হয়নি। একঝাঁক নেতা-নেত্রী ছিলেন বিজেপির উত্থান, উন্নয়ন এবং সাফল্যের কারণ। 
সেই বিজেপিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন মোদি। এতদিন মুখে বলতেন না। কিন্তু এখন একথা মোদি নিজেই ঘোষণা করে দিচ্ছেন! হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদি সম্প্রতি বলেছেন, এখানে পদ্মফুলে একটি করে ভোট পড়ার অর্থ সোজা সেটা দিল্লিতে মোদির অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। তাই পদ্মফুলে ভোট দেওয়া মানে আমাকেই ভোট দেওয়া। এই যে মোদি এখন বলতে শুরু করলেন, ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অর্থ তাঁকেই ভোট দেওয়া, এটাই বিজেপির পক্ষে সবথেকে বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মোদির এটাই সম্ভবত শেষতম লোকসভা ভোট হতে চলেছে। ২০২৯ সালে তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থী অথবা প্রধানমন্ত্রী হবেন না। কিন্তু তিনি নিজেকে যে লার্জার দ্যান পার্টিতে পরিণত করেছেন গত ৮ বছরে, তারপর তাঁর মাপকাঠিতে অন্য নেতা পাওয়া বিজেপির পক্ষে যেমন চরম সঙ্কট, তেমনই দলের অভ্যন্তরে আবার সেই গণতান্ত্রিক কাঠামো ফিরিয়ে আনাও কঠিন। দল নয়, অতিরিক্ত ব্যক্তিপুজো এবং মোদিভক্তির জেরে এখন যা কিছু বন্দনাগীতি সবই মোদিকে কেন্দ্র করে। 
মোদি এবং অমিত শাহ সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছেন সঙ্ঘ পরিবারের। একটি ধারণা রয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘই আসলে এখনও বিজেপির নিয়ন্ত্রক। মোদিকেও নিয়ন্ত্রণ করে তারা। তিনি যা কিছু করছেন, আরএসএসের অঙ্গুলিহেলনে করছেন। একথা সম্পূর্ণ ভুল। বরং বিপরীত।  রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের নিয়ন্ত্রণ কিংবা নির্দেশকে নরেন্দ্র মোদি তোয়াক্কা করেন না।  সঙ্ঘের এজেন্ডা মোদি রপায়ণ করছেন। এরকমই একটা কথা চালু আছে। একেবারেই ঠিক। কিন্তু ছয়ের দশক থেকে প্রচারকের কাজ করা মোদি নিজেই তো জানেন যে, কী কী এজেন্ডা পালন করতে হবে। ৩৭০ থেকে তিন তালাক। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থেকে রামমন্দির। অবশেষে হিন্দুরাষ্ট্র। এসব জানা এজেন্ডা। একের পর এক সেগুলি রূপায়িত হচ্ছে। তাই খামোখা সঙ্ঘকে কেন কৃতিত্ব দেবেন তিনি? বরং তিনি চাইবেন এটাই প্রতিষ্ঠা পাক যে, এসব কিছু তিনি করে যাচ্ছেন। অর্থাৎ এককভাবে সব তাঁর কৃতিত্ব। এটাই তো তাঁর ইতিহাস রচনার প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণেই মোদি সঙ্ঘকে আসলে গুরুত্বহীন করে দিচ্ছেন। বরং এখন নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অস্তিত্ব বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে তারা ভোটের আগে পরে মোদিকেই নানাভাবে সাহায্য করে চলেছে এবং মোদির কথায় সায় দিয়ে চলেছে। 
সম্প্রতিকালে এমন কোনও উদাহরণ সামনে আসেনি যে, সঙ্ঘ বিজেপিকে পরিচালনা করছে। উল্টে ধীরে ধীরে সঙ্ঘের থেকে নির্বাচিত কোনও শক্তিশালী সংগঠক নেতাকে আর বিজেপির সিদ্ধান্তগ্রহণকারী টিমে দেখা যায় না। সাম্প্রতিক উদাহরণ হল, বিজেপি সংসদীয় বোর্ড থেকে যোগী আদিত্যনাথ, শিবরাজ সিং চৌহান এবং নীতিন গাদকারিকে বাদ দেওয়া। যোগী আদিত্যনাথকে বাদ দেওয়ার একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সেটি হল,  মোদির পর যোগী প্রধানমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক। কিন্তু সেটা মোদি এবং অমিত শাহ চাইছেন না। অতএব তাঁর ডানা ছাঁটা হল। কিন্তু শিবরাজ সিং চৌহান এবং নীতিন গাদকারি সরাসরি সঙ্ঘের প্রিয়পাত্র।  তাঁদের সঙ্ঘঘনিষ্ঠতাই কি তাঁদের ছেঁটে ফেলার কারণ নয়?
মোদির পর ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপিতে আর একজনও শক্তিশালী নেতার আবির্ভাব ঘটছে না যিনি সরাসরি সঙ্ঘের মাধ্যমে এসেছেন। বরং একের পর এক সঙ্ঘের নেতারা এসেছেন এবং গুরুত্বহীন হয়ে চলে গিয়েছেন। সঙ্ঘের ঘনিষ্ঠ জগৎপ্রকাশ নাড্ডা নিছক মোদি ও শাহের অনুগামী। তিনি নিজেকে কখনও একক শক্তিশালী ভাবেনই না। সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর সুপার সভাপতি অমিত শাহ।  মোদি কোনও লিডারশিপ তৈরি করছেন না। বরং কখন কে গুরুত্বহীন ও ছাঁটাই হয়ে যাবে, কেউ জানে না। এই ফর্মুলাই চলছে ৮ বছর ধরে। আবার রাজ্যে রাজ্যে আগে ছিল বিজেপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা। এখন আর নেই। মোদিকে মুখ করেই সব ভোটের প্রচার হয়। 
সঙ্ঘ সংরক্ষণ ব্যাপারটাই পছন্দ করে না। মোদি নতুন করে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করলেন গরিব উচ্চবর্ণের জন্য। সঙ্ঘ বেসরকারিকরণ পছন্দ করে না। মোদি সরকার ঢালাও বেসরকারিকরণের মন্ত্র নিয়েছে। সঙ্ঘ চায় বিজেপিতে সঙ্ঘ থেকে প্রশিক্ষিত নেতারা যাবে এবং বিজেপির স্তম্ভ হবে। মোদি এবং অমিত শাহ অন্য যে কোনও দল থেকে দলে দলে নেতাদের ভাঙিয়ে এনে বড়সড় পদ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির মুখ এখন অন্য দল থেকে আসারাই। সুতরাং সঙ্ঘচালিত নয়। বরং মোদির বিজেপি সঙ্ঘের নির্দেশে আর চলেই না। বিজেপিকে স্বাধীন সত্তা দিতে চাইছেন মোদি। কিন্তু আর সাত আট বছরের মধ্যে তাঁকে বয়সোচিত কারণে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সক্রিয়তা থেকে কিছুটা স্তিমিত হতেই হবে। তখন কিন্তু একটি দুর্বল বিজেপি আত্মপ্রকাশ করবে। একসঙ্গে অনেক নেতা সুপার লিডার হতে চাইবেন। তাঁরা শুধু অপেক্ষা করছেন সুযোগ আসার। ১৯৯১ সালের পর থেকে শক্তিশালী নেতার অভাবে বারংবার ভেঙেছে কংগ্রেস।   সেই দুর্বলতা আজও কাটেনি। বিজেপিরও কি অদূর ভবিষ্যতের পরিণতি হতে চলেছে সেরকমই? 
অর্থাৎ দল ভেঙে যাওয়া কিংবা ভোটব্যাঙ্ক ছিনতাই। আবার বিজেপির পরিত্রাতা হবে কি জোট রাজনীতিই? ব্যাক টু বাজপেয়ি? 
25th  November, 2022
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দেখে নিন ৫টা অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): বিকেল পাঁচটা অবধি গোটা দেশে গড়ে ...বিশদ

07:25:25 PM

আইপিএল: চোটের কারণে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছেন না কেকেআরের মিচেল স্টার্ক

07:17:15 PM

আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের (বিপক্ষ কেকেআর)

07:15:19 PM

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৩ আসনে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৫টা অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

06:35:21 PM

সন্দেশখালিতে গেল এনএসজি টিম

05:12:03 PM

দেখে নিন ৩টে অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): দুপুর ৩টে অবধি গোটা দেশে মোট ...বিশদ

04:16:36 PM