Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
সম্প্রতি এক ইংরেজি পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদ বলেছেন, ‘‘যাঁরা ইতিহাস পড়েন, যাঁরা ইতিহাস পড়ান আর যাঁরা স্মৃতি গড়ে তোলেন— সিস্টেম তাঁদের নিয়ে তৈরি। তাঁদের মধ্যে এমন লোক আছেন, যাঁরা আমাদের জানা অতীতের সমস্ত দিক বিচার করে দেখেন। কিন্তু আরও এক ধরনের লোকও আছেন, যাঁদের ইতিহাস পাঠ একেবারেই অগভীর। তাঁরা নিজেদের এজেন্ডা অনুযায়ী ইতিহাসকে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য অতীতের সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে বেছে বেছে দৃষ্টান্ত তুলে আনেন। এই ধরনের লোকেদের জন্য মোগল যুগের ইতিহাস শুরু হয় ১৬৬৯ সালে। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস দিয়ে। তার আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। তাঁরা কখনও বলবেন না, আকবর এই মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন। কারণ, তাঁদের উদ্দেশ্য একটা মুসলিমবিরোধী আবহাওয়া তৈরি করা। আর হিন্দুদের আবেগকে ব্যবহার করে ভোট আদায় করা। এ দেশে চার-পাঁচশো বছর আগে ছিল বাদশাহি বা রাজতন্ত্র। তার মানেই তো একনায়কতন্ত্র। এখন আমরা গণতন্ত্রের যুগে, আইনের শাসনের যুগে বাস করছি। শাসককে সংবিধান মেনে চলতেই হবে। এরা ক্ষমতায় এসেছে লোকে ভোট দিয়েছে বলেই। কিন্তু আজকের শাসকদের কাজকর্ম রাজতান্ত্রিক শাসনকেই মনে করাচ্ছে। সংবিধানকে পিষে ফেলতেই এরা মুসলিমবিরোধী আবহাওয়া তৈরি করছে।’’
এখানেই থামেননি রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি। বলেছেন, ‘‘বিশ্বনাথের শিবলিঙ্গ হল স্বয়ম্ভূ। এই শিবলিঙ্গ স্মরণাতীত কাল থেকে এখানেই রয়েছে। সুতরাং বিশ্বনাথের গুরুত্ব চিরকালই ছিল। কিন্তু আকবরই প্রথম লোক যিনি ওই শিবলিঙ্গের গৃহ হিসেবে একটা বড়সড় মন্দির তৈরি করিয়ে দেন। ফলে সেই মন্দির ঐতিহাসিক আর সেই মন্দিরই ঔরঙ্গজেব ধ্বংস করেন। শাহজাহানের বড় ছেলে দারাশিকো, যাঁকে আকবরের যোগ্য উত্তরাধিকারী মনে করা হতো, তিনি বারাণসীতে এসেছিলেন সংস্কৃত আর প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, শাস্ত্র ইত্যাদি পড়তে। দারাকে যাঁরা পড়িয়েছিলেন সেই পরিবারের সদস্যরা এখনও বারাণসীতেই থাকেন। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা কমলাপতি ত্রিপাঠীর এক পূর্বপুরুষ দারাশিকোর গুরু ছিলেন। গুরুদক্ষিণা হিসেবে দারা নিজের একটা কোঠি ত্রিপাঠী পরিবারকে দান করেন। সেটা বারাণসীর ঔরঙ্গাবাদ এলাকায়।’’
দারাশিকো রাজেন্দ্রপ্রসাদের পরিবারকেও যে পাট্টা দিয়েছিলেন সেটা কিন্তু এখনও তাঁর কাছে রয়েছে। এই পাট্টার মাধ্যমে দারাশিকো বিশ্বনাথ মন্দিরের দায়িত্ব তাঁদের পূর্বপুরুষদের হাতে তুলে দেন। পাট্টায় লেখা রয়েছে, রাজেন্দ্রপ্রসাদরা শৈব সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজন। তাই এই মন্দির এবং এর আচার অনুষ্ঠানের ধারা তাঁদের হাতে নিরাপদ। সিংহাসনে বসার পর দারার সঙ্গে যাঁদের সুসম্পর্ক ছিল বলে ঔরঙ্গজেবের মনে হয়েছিল, তাঁদের সকলের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনেন। ঔরঙ্গজেব মনে করতেন, দারার পছন্দের সবাই ওঁর প্রতিপক্ষ। বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করার কারণও এটাই।
রাজেন্দ্রপ্রসাদের কথায়, তাঁদের পরিবারের ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি ছিল না। তাঁরা যখন বুঝতে পারেন, মন্দিরটা ভেঙে ফেলা হবে, তখন তাঁর পূর্বপুরুষরা শিবলিঙ্গটা তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেদের কাছে লুকিয়ে রাখেন। এখনকার বিশ্বনাথ মন্দিরে যে শিবলিঙ্গ রয়েছে সেটা তাঁর পূর্বপুরুষদের প্রতিষ্ঠিত করা সেই শিবলিঙ্গই। তাঁরা ঠিক যেখানে বসিয়েছিলেন সেখানেই রয়েছে। শিবলিঙ্গটা রাজেন্দ্রপ্রসাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ছিল। কেউ জানত না। ফলে মুখে মুখে রটেছিল, ধ্বংস হওয়া মন্দিরের মহন্ত শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছেন। বারাণসীর লোককথার অঙ্গ হয়ে গিয়েছে সেই গল্প। কিন্তু আসলে তেমন কিছুই ঘটেনি। ১৭০৭ সালে ঔরঙ্গজেব মারা যাওয়ার পর রাজেন্দ্রপ্রসাদের পরিবার জানায় শিবলিঙ্গ কোথায় রয়েছে।
রাজেন্দ্রপ্রসাদ জানাচ্ছেন, ‘‘ঔরঙ্গজেব জঙ্গমবাদী মঠকে চার-পাঁচ বিঘা জমি দিয়েছিলেন আর রাজকোষ থেকে কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। যাতে লিঙ্গায়তরা শিবপুজো এবং সংস্কৃত পুঁথির পাঠ চালিয়ে যেতে পারে। ঔরঙ্গজেবের দেওয়া সেই পাট্টা এখনও জঙ্গমবাদী মঠে আছে। ২০১৮ কিংবা ’১৯ সাল নাগাদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই মঠে গিয়েছিলেন। মঠের লোকেরা আমাকে বলেছে, উনি ওই পাট্টাটা ওখান থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছিলেন। কিন্তু ওই পাট্টা তো ঐতিহাসিক নথি। আদিত্যনাথ চান বলেই ইতিহাস থেকে কিংবা আমাদের স্মৃতি থেকে ওটা মুছে ফেলা যায় না। এই ঘটনাটাই প্রমাণ করে আসলে যা যা করা হচ্ছে সবই একটা নির্দিষ্ট বয়ান তৈরি করার স্বার্থে করা হচ্ছে। ইতিহাস ঔরঙ্গজেবকে একজন একনায়ক, অত্যাচারী রাজা হিসেবে দেখিয়েছে। সেটা করা খুব সহজও বটে। এটা তো ঠিকই যে উনি নিজের ভাইদের খুন করেছিলেন আর বাবাকে কারাগারে ঢুকিয়েছিলেন। বিশ্বনাথ মন্দির তাঁর আমলেই ধ্বংস করা হয়েছিল। ঔরঙ্গজেবের সেই প্রচলিত ভাবমূর্তির সঙ্গে মন্দির ধ্বংসের ঘটনাকে জুড়ে তাঁকে আক্রমণ করার মধ্যে দিয়ে বিজেপি-আরএসএস ভারতের মুসলিমদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনতে চায়। হিন্দুত্ব এজেন্ডা সফল করার জন্য ঔরঙ্গজেবকে দানব বানানো ওদের ড্রিম প্রোজেক্ট।’’
আরএসএস-বিজেপি ও হিন্দুধর্মকে সমার্থক হিসেবে দেখাতে স্বভাবতই নাগপুরের আগ্রহ থাকবে। কিন্তু, মনে রাখা প্রয়োজন, নাগপুর যার বেসাতি করে, তার নাম হিন্দুত্ব— বিংশ শতকের প্রথমার্ধে মূলত মুসলিম-বিরোধিতার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক অবস্থান। এটাও বলা প্রয়োজন, আরএসএস-বিজেপির চালিকাশক্তিটি হিন্দুধর্ম নয়, হিন্দুত্ব। সেই রাজনৈতিক দর্শন চরিত্রগত ভাবে বিভেদকামী, ভারতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতির সঙ্গে তার বিরোধ গোড়াতেই। অতএব, যে কোনও উদারবাদী রাজনীতিই সেই সঙ্কীর্ণতার সঙ্গে নিজেদের স্পষ্ট তফাত বজায় রাখতে চাইবে। আরএসএস ও বিজেপি যে দেশের সব হিন্দুর প্রতিনিধিত্ব করে না, হিন্দুধর্মের বহুবিধ রূপের মধ্যে মাত্র একটি— তা-ও সবিশেষ ভাবে রাজনৈতিক, কৃত্রিম ও বিদ্বিষ্ট রূপের— বিজ্ঞাপন করে, তা নিয়ে সংশয় নেই। মন্দির রাজনীতি সেই রাজনৈতিক কার্যক্রম। তার সঙ্গে ভারতাত্মার কোনও সম্পর্ক নেই, সামগ্রিকভাবে হিন্দুধর্মেরও নয়।
যেমন বলছেন রাজেন্দ্রপ্রসাদ। বলছেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে বারাণসীতে একটা মন্দির ভাঙা হয়েছিল। ঐতিহাসিকরা নিশ্চয়ই একমত হবেন, ঔরঙ্গজেব সশরীরে এসে মন্দিরটা ধ্বংস করে গিয়েছিলেন এরকম সম্ভাবনা কম। তবুও ওই ধ্বংসের দায়িত্ব তাঁর ঘাড়েই চেপেছে। একইভাবে বিশ্বনাথ করিডোর তৈরি করতেও প্রচুর প্রাচীন মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। এই ধ্বংসের দায়িত্বও মোদির ঘাড়ে চাপা উচিত। প্রায় ২৮৬টা শিবলিঙ্গ উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটা তো নর্দমায় ফেলা হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৪৬টা শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা গিয়েছে। আমি ঔরঙ্গজেবের বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করা দেখিনি। কিন্তু আমি মোদির দলবলকে হিন্দুদের আবেগের তোয়াক্কা না করে ঐতিহাসিক মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গকে অসম্মান করতে দেখেছি। মোদি কোনও হিন্দুই নয়। হিন্দুত্ববাদ স্রেফ ওঁর আর ওঁর পার্টির ব্যবসা। সোজাসুজি বলছি, মোদি ঔরঙ্গজেবের চেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস করেছেন। ১৪৬টা শিবলিঙ্গ এখন বারাণসীর লঙ্কা থানায় আছে। থানাতেই রোজ পুজো হয়। ...আমি উন্নয়নের বিরোধী নই। উন্নয়নের নামে যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে তার বিরোধী। বিশ্বনাথ করিডোর বারাণসীর প্রাচীন পরিচয়টাই নষ্ট করে দিয়েছে এবং যাকে এই শহরের আধ্যাত্মিক-ধার্মিক পরিকাঠামো বলা যায় সেটাও ধ্বংস করে দিয়েছে।’’
রাজেন্দ্রপ্রসাদ মনে করেন, ‘‘...ইতিহাস থেকে আপনি শুধু শিক্ষা নিতে পারেন। সেটা ভালো শিক্ষা, মন্দ শিক্ষা— যা-ই হোক। যারা ঐতিহাসিক অন্যায়ের প্রতিকার করতে চায় তারা নতুন ইতিহাস লিখতে পারে না। তারা শুধু আগুনে ঘি ঢালে। সমাজে বিষ ছড়ায়। আপনি যদি ঔরঙ্গজেবের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি করেন তাহলে তাঁর থেকে উন্নত কিছু করতে পারবেন না। একটা ৩০০-৪০০ বছরের পুরনো ইস্যুকে খুঁচিয়ে তুলে লাভ কী? তাহলে সমাজের কী হবে ভাবুন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোনও দেশ উন্নতি করতে পারে না।’’ কিন্তু রাজেন্দ্রপ্রসাদদের পরামর্শ শুনলে তো হিন্দুত্ববাদীদের বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না!
ফলে মোদি বিরোধী কথা বলার খেসারত দিতে হয়েছে বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্তকেই। প্রচণ্ড চাপ তো ছিলই। প্রশাসন তাঁর বাড়ির চারদিকে গর্ত খুঁড়ে দিয়েছিল। রাজেন্দ্রপ্রসাদকে বাড়ি বেচে দিয়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে বলেছিল। অথচ, সেই বাড়ি কিন্তু করিডোরের মধ্যে পড়েনি, তবুও। শেষ পর্যন্ত বাড়িটাই ভেঙে দেয়। একরাশ ক্ষোভ নিয়ে বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্ত বলেন, ‘‘মিডিয়া তো বিজেপির পকেটে। মিডিয়াটা ওদেরই। এই মিডিয়া কখনও বিজেপিকে কোনও প্রশ্নের মুখে ফেলে? মোদি সরকার মিথ্যে কথা বললেও মিডিয়া সেটাকেই সত্যি বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।’’
হিন্দুত্বের ইতিহাস, ইতিহাসে হিন্দুত্ব। দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমে ক্রমে যা বিকশিত আর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এর মূল লক্ষ্যটাই ছিল— শেষ পর্যন্ত একটি ‘রাজনীতি’ তৈরি করা। নরেন্দ্র মোদির ভারতে এসে ওই প্রকল্প একটি সামগ্রিক সাফল্য খুঁজে পেয়েছে। গোটা দেশে ছড়ানো আরএসএস-পোষিত বিদ্যালয়গুলি একদিকে জাতীয়তাবাদী ইতিহাস রচনা করেছে নিজেদের এজেন্ডায়, অন্যদিকে খুব সন্তর্পণে প্রতিষ্ঠা করেছে এই বিশ্বাস যে, ইতিহাসের মাত্র ‘একটিই’ ভাষ্য হতে পারে, জাতীয়তাবাদের— বাকি সব ঝুট হ্যায়! এবং, অবশ্যই, আরএসএস ভাষ্যই সেই ‘এক এবং অদ্বিতীয়’ ভাষ্য, বাকি সব নির্মূল করতে হবে।
প্রয়োজনে বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্ত রাজেন্দ্রপ্রসাদদেরও। চিরন্তন উদার হিন্দুধর্মের ধার্মিকদেরও রেহাই নেই!
25th  April, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
একনজরে
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস সিন্ধু নদে পড়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। এছাড়াও জখম হয়েছে আরও ২১ জন। ...

বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র দাবদাহে অস্বস্তি বাড়ছে শীতলকুচির পাট ও ভুট্টা চাষিদের। বৃষ্টির জল না পেয়ে পাটের চারা শুকিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ভুট্টা ও পাট গাছে রোগপোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ...

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থর বিদ্যুতের মাশুল সংক্রান্ত নতুন চার্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা কার্যকর হয়েছে গত এপ্রিল মাস থেকে। এনিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দাবি ...

হাতে মোটামুটি সপ্তাহ দুয়েক সময় আছে। এই শেষ লগ্ণে প্রচারে গতি তুলেছেন ভোট প্রার্থীরা। একদিকে প্রবল গরম। অন্যদিকে লাগাতার প্রচার করে যাওয়ার ক্লান্তি রয়েছে প্রার্থীদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫০২: ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কোস্টারিকা আবিষ্কার
১৬২৬:  ডাচ অভিযাত্রী পিটার মিনিট ম্যানহাটন দ্বিপে প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে পা রাখেন, যেখানে আজকের নিউ ইয়র্ক শহর অবস্থিত
১৭৯৯: মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানের মৃত্যু
১৮০০: কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিধিবদ্ধ আইনে সম্মতি প্রদান করা হয়
১৮৪৯: বাঙালি নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৮৬: হে মার্কেট স্কোয়ার হিংসা: শিকাগো, ইলিনয় সহ বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে সচেষ্ট পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ৮ জনের মৃত্যু, আহত ৬০, জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিসের গুলি
১৮৮৯: সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৪: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল নির্মাণ শুরু করে
১৯৪২: ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসানির্বাহী এবং নীতি সৃষ্টিকর্তা স্যাম পিত্রোদার জন্ম
১৯৫৩: ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
১৯৫৯: প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হল
১৯৭২: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ এডয়ার্ড কেলভিন কেন্ডালের মৃত্যু
১৯৭৯: ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৭ টাকা ৮৪.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৩.০১ টাকা ১০৬.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০০ টাকা ৯১.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী ৩৮/৫৩ রাত্রি ৮/৩৯। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪২/৩৩ রাত্রি ১০/৭। সূর্যোদয় ৫/৬/৪, সূর্যাস্ত ৬/০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/২৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৩ গতে উদয়াবধি।
২১ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ৪ মে ২০২৪। একাদশী সন্ধ্যা ৫/৫১। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৪৬। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/২। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে।
২৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শান্তিপুরে আদিবাসী যুবকের উপর অত্যাচার করা হয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি, আইন আইনের পথে চলবে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, :মমতা

04:25:00 PM

এবার বিজেপি পগার পার হবেই, ওরা পোস্টাল ব্যালট পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে, গতকাল দেখলাম তামিলনাড়ুতে আধঘণ্টার জন্য সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, ১৯ লক্ষ ইভিএম মেশিনের হিসেব নেই, সব বিচারের জায়গা এই দেশে বন্ধ, তাই শক্তি নিজেদের জোগাড় করতে হবে

04:23:00 PM

আমি খুব খুশি বীরনগর আপনারা দুজন খেলোয়াড়ের নাম লিখেছেন, আমি আরেকটা নাম লেখার কথা বলব, তিনি ভারতবর্ষের বিখ্যাত রেসলার, সাক্ষী। বিজেপি ওর ওপর অনেক অত্যাচার করেছে, ও আজও বিচার পাইনি, সাক্ষীর নামে আমরা করব। বাংলা করবে :মমতা

04:23:00 PM

গত ১০ বছরে বিজেপি কি করেছে?  মাঝে মাঝে এখানে আসে, যেমন বিদ্যুৎ চমকায়, প্রধানমন্ত্রী এসে মাঝে মাঝে চমকায়, এবারে ওদের ৪০০ পার নয়, এবার মোদির পগারপার, এবারেও বিজেপি সব জায়গায় হারছে: মমতা

04:08:00 PM

তাঁত শিল্পীদের জন্য অনেক কাজ করেছি। কৃষক মারা গেলেও আমরা সাহায্য করি, কৃষি জমির মিউটেশন টাকা নিই না। আমরা হরিচাঁদ ঠাকুর , বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। ঠাকুরনগরে হরিচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়: মমতা

04:06:00 PM

সিবিআই থেকে বাঁচতে চাও বিজেপিতে চলে যাও, ইনকাম ট্যাক্স থেকে বাঁচতে চাও বিজেপিতে মাথা গলাও, মুকুটমণি দু'নম্বরী কাজ করেনি বলেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে :মমতা

04:06:00 PM