Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এতে রাজনৈতিক পরিসরটা অনেক সমৃদ্ধ হবে। এটাকেই, বিগত সপ্তাহের সেরা উদারতার নিদর্শন হিসেবে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই।
হঠাৎ এমন উদারতা প্রদর্শনের নেপথ্যে রয়েছে একটি চমকপ্রদ কাহিনি। ১৪ এপ্রিল, বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের দিন থেকে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সাদাসিধে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির তৈরি করা এই নথি পেয়ে মোদিজি মোটেই খুশি হননি। কমিটি নীরবে মেনে নিয়েছে যে, এটা কোনও রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার নয়, বরং একজন প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিজ্ঞাপন, যিনি দলের ভিতরটাকে মজবুত করে গড়ে দিয়েছেন। নথিটাকে ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নাম দিয়ে কমিটি বস্তুত প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা করেছে এবং সেটা তাঁর প্রাপ্যও বটে। যাই হোক, মোদিজি যেমন সঠিকভাবেই অনুমান করেছিলেন, ঠিক তেমনই ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ শীর্ষক এই নথি বাজারে ছাড়ার ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই হাওয়া হয়ে গিয়েছে, কোথাও তার চিহ্নমাত্র নেই! আজকে আর কেউই বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে কথা বলছেন না, দুর্ভাগ্য এমনই যে, এমনকী মোদিজিও নন। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র গতি হয়েছে শান্তিপূর্ণ বিশ্রাম।
মূল মন্তব্য
‘মোদি কি গ্যারান্টি’কে নরেন্দ্র মোদি একদিকে আবর্জনার ঝুড়িতে নিক্ষেপ করতে পারেননি, অন্যদিকে দায়ীও করতে পারেননি এই নথির খসড়া কমিটির অযোগ্যতা কিংবা তাদের গোপন উদ্দেশ্যকে। কংগ্রেসের বাক্সবন্দি ইস্তাহারের গ্রহণযোগ্যতা মোদিজি একাই বাড়িয়ে দিয়েছেন, নথিটার উপর তাঁর ভাষ্য যোগ করে। তাঁর এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে বহু মানুষ কংগ্রেসের ইস্তাহারটা দেখেছেন এবং পড়ে ফেলেছেন। এটাই ভারতীয় সাহিত্যের মহান ঐতিহ্যের সঙ্গে একটা মানানসই ব্যাপার, যেখানে তার ব্যাখ্যা বা ভাষ্যগুলি মূল রচনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বা হয়ে উঠেছে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।
কংগ্রেসের ইস্তাহারে মোদিজির মুখে যোগ হয়েছে নীচে বর্ণিত ‘রত্নগুলি’:
• জনগণের জমি, সোনাদানা এবং অন্যান্য দামী জিনিসপত্র মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বণ্টন করে দেবে।
• ব্যক্তি নাগিকদের সম্পত্তি, মহিলাদের হেফাজতের সোনাদানা এবং জনজাতির পরিবারের মালিকানায় যেসব রুপো সঞ্চিত রয়েছে, তার মূল্য নির্ধারণের জন্য কংগ্রেস একটা সমীক্ষা করাবে। অতঃপর তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে সেগুলো।
• সরকারি কর্মীদের জমি এবং নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করার পর কংগ্রেস সেগুলোও বিলি বণ্টন করে দেবে।
• ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, দেশের সম্পদের উপর মুসলমানদের দাবি সবার আগে। ডঃ সিং যখন এই কথা বলেন, তখন সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম (গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে)।
• কংগ্রেস আপনার ‘মঙ্গলসূত্র’ এবং ‘স্ত্রীধন’ পর্যন্ত নিয়ে নেবে এবং যাদের বেশি সংখ্যক ছেলেপুলে আছে সেগুলো বিলিয়ে দেবে তাদের মধ্যে।
• আপনার যদি গ্রামে একটা বাড়ি থাকে এবং আপনি যদি শহরে একটা ছোট ফ্ল্যাট কিনে থাকেন, তবে কংগ্রেস এই দুটোর একটা বাড়ি কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেবে।
মন্ত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা
মোদিজির বিশ্বস্ত সেনাপতি এবং উপদেষ্টা অমিত শাহ যোগ করেছেন, মন্দিরের সম্পত্তি কংগ্রেস বাজেয়াপ্ত করবে এবং সেগুলো তাদের মধ্যে বিতরণও করে দেবে। এই প্রসঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের সংযোজন এইরকম, কংগ্রেস জনগণের সম্পদ বেদখল করবে এবং সেসব ফের বিলিয়ে দেবে অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে। পরের দিন, রাজনাথ সিং এই আলোচনায় আরও একটি অমূল্য কথা যোগ করেছেন যে, দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ধর্ম-ভিত্তিক কোটা চালু করার প্ল্যান করেছে কংগ্রেস।
যখন ভাষ্যকাররা একে অপরকে বহুগুণে ছাপিয়ে গিয়েছেন, তখন মোদিজি আবিষ্কার করলেন যে, কর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ‘উত্তরাধিকার কর’ (ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স) চালু করার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। এই ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্মলা সীতারামন উজাড় করেছেন উত্তরাধিকার কর বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা যতখানি। অথচ, ১৯৮৫ সালে কংগ্রেস সরকারই এস্টেট ডিউটি (এক ধরনের উত্তরাধিকার কর) বাতিল করেছিল। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে বিজেপি সরকারের হাতে বাতিল হয়েছে বিত্ত কর (ওয়েলথ ট্যাক্স)। বিষয়টি না জানার জন্য নির্মলা সীতারামনকে অবশ্য ক্ষমাঘেন্না করাই যায়।
কংগ্রেসের ইস্তাহারের উপর এই পরিকল্পিত আক্রমণের শুরুটা কেন এবং কখন হল, তা বোঝা কঠিন নয়। ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) এবং বিজেপিকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে বলেই মনে হচ্ছে। ২১ এপ্রিল রাজস্থানের জালোর এবং বানসওয়াড়া থেকে মোদিজি আক্রমণটা শুরু করেছেন এবং এখনও থামার নাম নেই। তাঁর কাল্পনিক লক্ষ্যের তালিকাটি নিঃসন্দেহে উদ্ভট। মন্ত্রিসভায় তাঁর সহকর্মীরাও এলোপাথাড়ি ‘ফায়ার’ করে চলেছেন। এই পাগলামি থামাতে সংবাদমাধ্যমের বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ দরকার ছিল। তার পরিবর্তে, সংবাদপত্রগুলো বিতর্কিত বিষয়গুলোর ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছে এবং লিখেছে জ্ঞানগর্ভ সম্পাদকীয়। টিভি চ্যানেলগুলো পণ্ডিতদের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পাশাপাশি ‘প্যানেল ডিসকাশন’ চালিয়ে গিয়েছে। মোদিজি যে নকল যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, সেটাই ব্যাপকভাবে এবং বহুবার সংঘটিত হয়েছে।
কী আশা করা যায়
কংগ্রেসের ইস্তাহারটি ৫ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে সারা ভারতে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে। প্রতিশ্রুতিগুলি জনগণের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল:
• আর্থ-সামাজিক এবং জাতিগত সমীক্ষা (সোশিও-ইকনমিক অ্যান্ড কাস্ট সার্ভে);
• সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের ঊর্ধসীমা প্রত্যাহার;
• মনরেগার শ্রমিকদের জন্য ৪০০ টাকার দৈনিক মজুরি;
• সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলির জন্য মহালক্ষ্মী প্রকল্প;
• কৃষিপণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তা;
• কৃষিঋণ মকুবের পরামর্শ গ্রহণে একটি কমিশন গঠন;
• যুবদের জন্য শিক্ষানবিশির অধিকার (রাইট টু অ্যাপ্রেনটিসশিপ ফর ইয়ুথ);
• ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের বিলুপ্তি;
• খেলাপি শিক্ষাঋণ মকুব; এবং
• একবছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণের প্রতিশ্রুতি।
যখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মুখে কংগ্রেসের ইস্তাহার সম্পর্কে ‘লোকসভা নির্বাচনের নায়ক’ কথাটি শোনা গেল, বস্তুত তখনই মোক্ষম আঘাত ঘটে গেল ক্ষমতার কেন্দ্রে। এতে অবশ্যই চটেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি এই নথিটাকে জনগণের সামনে ‘খলনায়ক’ হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাঁর দুর্ভাগ্য এটাই যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারের কোনও অংশই ত্রুটিপূর্ণ নয়। তাই, প্রেতাত্মারচিত একটা কাল্পনিক ইস্তাহার সামনে এনে সেটাকেই আবর্জনার স্তূপে নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিলেন মোদিজি। আমার মতে, একজন বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কংগ্রেসের প্রকৃত ইস্তাহারের প্রতি এটাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন!
মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি তৃতীয় দফায় জয়ী হলে কী ধরনের বিকৃতি, মিথ্যাচার এবং অপব্যবহার অপেক্ষা করে থাকবে, দেশবাসীকে আগাম জানিয়ে দিলেন তাঁরা সেটাই। শুধু এই জন্যই কংগ্রেসের উচিত, ‘ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রী’ বলা। ইস্তাহার পুনর্লিখনে ইতিমধ্যেই বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার ওই দক্ষতার জোরেই ভারতের সংবিধানটাও নতুন করে লিখে ফেলতে পারেন তিনি।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
29th  April, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
জলশূন্য পুনর্ভবা নদী। স্রোত তো দূর, জল পর্যন্ত নেই সেখানে। দেখে বোঝার উপায় নেই পুনর্ভবা একটি নদী। যেখানে-সেখানে হাঁটু অবধি জমা জলে নৌকা, খেয়া পড়ে ...

কোভিডের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিতর্কে নড়েচড়ে বসল আইসিএমআর। করোনা প্রতিরোধী টিকা ‘কোভিশিল্ডে’র মতোই দেশীয় ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিনে’ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেই সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। ...

‘নিজের এলাকার ঐতিহ্যমণ্ডিত যদি কোনও বিষয় থাকে, সেটাকে বের করে নিয়ে এসে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, তার শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরও কিন্তু নাম ...

‘ঠাকুরের কাছে আসার ইচ্ছা থাকলে কোনও বাধাই বাধা হয় না,’ মঠের সদর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই বেলুড়ের পুণ্যভূমিতে পৌঁছনর কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুম্বইয়ের মুলুন্দ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৫০২: জোয়া দ্য নোভা সেন্টের হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করেন
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৮৫১: অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়
১৮৬০: হৃদরোগ চিকিৎসায় ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির প্রবর্তক ওলন্দাজ চিকিৎসক উইলিয়াম আইটোফেন ডাচের জন্ম
১৮৮৮: বিখ্যাত বাঙালি গণিতজ্ঞ ভূপতিমোহন সেনের জন্ম
১৯০৪: ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত
১৯২০: গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়নাথ বসুর মৃত্যু
১৯২১: দার্শনিক ও আনন্দমার্গ'-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত প্রভাতরঞ্জন সরকারের জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৩৮: বেঙ্গল মোশন পিকচার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত
১৯৬৬: বিশিষ্ট পরিচালক, অভিনেতা, তথা চিত্রনাট্যকার সুজয় ঘোষের জন্ম
১৯৭১: বিশিষ্ট বলিউড পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, পরিবেশক তথা প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার জন্ম
১৯৯১: মাদ্রাজের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু
২০০৩: বিশিষ্ট টলিউড অভিনেত্রী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের কলকাতা ‘ক’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘গীতাঞ্জলি’ ও কলকাতা ‘খ’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘সঞ্চয়িতা’ য় পরিবর্তিত হয়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ অপরাহ্ন ৫/৪০। চিত্রা নক্ষত্র ২/০ প্রাতঃ ৫/৪৬। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪, সূর্যাস্ত ৬/৮/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৩৭ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।   
৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী অপরাহ্ন ৪/৫২। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২৪ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪  গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ গতে ৯/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/৫২ মধ্যে। 
১২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অনুমোদন নেই গো-মূত্রে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
দলের নীতির উল্টো পথে হাঁটল মোদি সরকারই। বিভিন্ন রাজ্যে বোতলে ...বিশদ

08:37:00 AM

আজকের খেলা
কলকাতা : হায়দরাবাদ (সন্ধ্যা ৭-৩০, আমেদাবাদ) ...বিশদ

08:34:12 AM

প্রতীক মাইক
‘মাইক’ প্রতীক পেলেন জেলবন্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী অমৃতপাল সিং। তিনি পাঞ্জাবের খাদুর ...বিশদ

08:25:00 AM

১০ দিনে চারধাম যাত্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম
চারধাম যাত্রাকে কেন্দ্র করে জনবিস্ফোরণের সাক্ষী থাকল উত্তরাখণ্ড। প্রশাসনিক তথ্য ...বিশদ

08:21:40 AM

চিতার আতঙ্ক
কুনো জাতীয় উদ্যান থেকে একটি চিতা গোয়ালিয়রে আসায় ব্যাপক আতঙ্ক ...বিশদ

08:20:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। বৃষ: অর্থকড়ি সঞ্চয় হবে। মিথুন: বিদ্যায় ...বিশদ

08:14:36 AM