ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, সিএএ’কে কেন্দ্র করে নদীয়ার লোকসভার দু’টি আসনই সরগরম রয়েছে। এদিন মোদির জনসভায় মতুয়াদের উপস্থিতি চোখে পড়লেও উচ্ছ্বাস ও স্বতঃস্ফূর্ততার নিরিখে মুখ্যমন্ত্রীর সভার কাছে তা অনেকটাই ফিকে ছিল। তার অন্যতম কারণ হল মতুয়াদের একটা বড় অংশ ‘বিশ্বাসঘাতকের সিংহাসনে’ বসিয়েছে বিজেপিকে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিকভাবে মতুয়া ভোট এক্স ফ্যাক্টর নয়। তবে এই লোকসভার অন্তর্গত তেহট্ট বিধানসভা মতুয়া ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। আর এই তেহট্ট বিধানসভার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে তৃণমূল বা বিজেপির জয়-পরাজয়ের মার্জিন। তাই উভয় শিবিরের বিশেষ নজরে রয়েছে তেহট্ট বিধানসভা। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট এক্স ফ্যাক্টর। কিন্তু, বিজেপির দ্বিচারিতার কারণে বিজেপির স্বঘোষিত মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরেছে। বিজেপির একসময়ের মতুয়া বিধায়ক এবার রানাঘাট লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী। এদিন রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থীদের পাশে নিয়েই, সিএএ কার্যকর করার হুঙ্কার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন তেহট্টের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কংগ্রেস দেশের বিভাজন করেছিল। কিন্তু, যে সমস্ত হিন্দু, শিখ পার্সি সীমান্তের ওপারে থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের তো কোনও ভুল ছিল না। তাঁদের খেয়াল রাখার দায়িত্ব তখনকার সরকারকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, স্বাধীনতার পর এই বিষয়টি ভুলে যাওয়া হয়েছে।’
এরপরই মতুয়াদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মিশি তখন তাঁরা তাঁদের কষ্টের কথা আমাকে বলেন। যা শুনে আমার কষ্ট হয়। সেই দুঃখ দূর করতেই আমরা সিএএ লাগু করেছি। কিন্তু, তৃণমূল সরকার এই আইনের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে।’
তৃণমূলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূলের কাছে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি সবচেয়ে প্রিয়। মানুষের মধ্যে তৃণমূল সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করছে। কোনও নিপিড়িত হিন্দুর অধিকার পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের অ্যালার্জি আছে। কিন্তু, তৃণমূল এই সিএএ লাগু হওয়া আটকাতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের নাগরিকত্ব চাওয়ার সমস্ত মানুষকে আমি আশ্বাস দিচ্ছি, তাঁরা নিজের প্রাপ্য অধিকার পাবেন। সেইসঙ্গে সরকারি সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।’
কৃষ্ণনগরের ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র বলেন, বিজেপির মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বলে কিছু নেই। মতুয়ারা বিজেপির ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনই বিজেপিকে শিক্ষা দেবে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গিয়েছেন, বিজেপির নাগরিকত্ব কাড়ার ক্ষমতা নেই।
নিজস্ব চিত্র