উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
সভায় এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার বাসিন্দা কাকলি মণ্ডল। তিনি বলেন, দিদির কথা শুনতে এসেছি। দিদি আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় অনেকটাই উপকার হচ্ছে। তাই আমরা তাঁর পাশে আছি, সেই বার্তা দিতে এখানে এসেছি। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ ঝাড়গ্রামের গজাশিমূল ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রী পা রাখেন। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত সহ সাতজন বিধায়ক, তিন জেলার জেলা সভাপতি সহ প্রথম সারির নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গলমহলকে আমি খুব ভালো বুঝি। আমি জেতার পর প্রথম মিটিং করেছিলাম নয়াগ্রামে। সেদিন আমরা ঘোষণা করেছিলাম, বেকার যুবকদের হোমগার্ডের চাকরি দেব। তোমরা দেশের জন্য অস্ত্র ধরবে। যারা সারেন্ডার করে তাদের হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এরপর জেলার উন্নয়ন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, নতুন জেলা চাই। করে দিলাম। বলল, দিদি মেডিক্যাল কলেজ চাই। করে দেওয়া হল। এরপর দিদি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। তাও করে দেওয়া হল। চাইতেই মাল্টি স্পেশালিটি হাসাপাতাল করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের ছেলেমেয়েদের জন্য আর্চারি অ্যাকাডেমি করা হয়েছে। সারা বিশ্ব নাম করছে। কী করা হয়নি বলুন তো? আগে জঙ্গলমহলে পড়াশোনার হার কী ছিল? আজ জঙ্গলমহলে আপনাদের ছেলেমেয়েরা ডাক্তার হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে। অনেক সাঁওতালি বিদ্যালয় হয়েছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, আগের বার প্রধানমন্ত্রী এসে ভাষণ দিয়েছিলেন। আর ঝাড়গ্রামের মানুষ ভাবলেন, প্রধানমন্ত্রী এসেছেন ভোট দিই। কিন্তু যিনি জিতেছেন, তিনি কিছু করেছেন? তাঁকে কতবার দেখেছেন?একইসঙ্গে এদিন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি একজন ডাক্তারকে দাঁড় করিয়েছে। ডাক্তারি না করে তিনি কেন স্টাডি লিভে চলে গিয়েছিলেন। তাহলে স্থানীয় লোকরা সার্ভিস কোথা থেকে পাবে। এরপর সাধারণ মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান কি না জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের গর্জন শোনার পর মাঠ ছাড়েন তিনি।