Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
প্রধানমন্ত্রী কী বলেছিলেন? রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় এক জনসভায় মোদি বলেছিলেন, ‘আগে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল, তখন বলেছিল, দেশের সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলিমদের। এর অর্থ ওরা সম্পত্তি এককাট্টা করে যারা বেশি সন্তানের জন্ম দেয়, যারা অনুপ্রবেশকারী, 
তাদের বিলি করবে।’ এখানেই থামেননি মোদিজি। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদিজি কংগ্রেস ও মুসলিমদের একাসনে বসিয়ে যা বলেছেন, তা বিস্ময়কর অসত্য হলেও লোক খ্যাপানোর জন্য যথেষ্ট। বলেছেন, ‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’ প্রধানমন্ত্রীর মুখে সংখ্যালঘু বিদ্বেষী এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেই দলীয় নেতাদের কোপে পড়েছেন উসমান গণি।
গত ২০ বছরে মোদিকে এতটা মরিয়া হতে দেখা যায়নি। বুঝতে অসুবিধে হয় না, কেন উন্নয়ন, বিকাশ, গ্যারান্টির কথা ছেড়ে তিনি মেরুকরণের পথ বেছে নিয়েছেন। বিরোধীরা বলছেন, প্রথম দফার ভোটচিত্র দেখে মোদিজি হিন্দু ভোট এককাট্টা করার সেই পুরনো কৌশলে নেমে পড়েছেন। রাজনৈতিক মেরুকরণের উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের যে বিভীষিকা বর্তমান শাসকদলের বহু ব্যবহৃত হাতিয়ার, ভোটের বাজারে বেগতিক দেখে সেই গরলস্রোতই এবার উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে। আর এসব কথা মোদি স্বাচ্ছন্দ্যে বলতে পারছেন নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন করে দিতে পেরেছেন বলে।
প্রথম দফা ভোটের পরই বিজেপি বুঝে গিয়েছে, আগেরবারের মতো মোদি-হাওয়া নেই। নেই পাঠানকোট-বালাকোটের মতো যুদ্ধ-যুদ্ধ গন্ধ। প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে আর মন দোলা দিচ্ছে না। একঘেয়েমি এসে গিয়েছে। তাদের নজরে ধরা পড়েছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে ভোটের লাইনে হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমদের আধিক্য বেশি। ফলে প্রশ্ন জাগছে, কট্টর হিন্দুত্ববাদী না হয়েও যাঁরা মোদিকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা এবার কি ভোট দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করছেন। রাজনীতির পরিভাষায় এসব ‘ফ্লোটিং ভোটার’ই জয়ের মার্জিন বাড়ায়। তাঁরা মুখ ফেরালে জয় পাওয়া কঠিন। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, আসলে মোদির ‘জুমলাবাজি’ (ভাঁওতা) মানুষ ধরে ফেলেছে। চাকরিবাকরির হাল শোচনীয়। জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে। সাধারণের সুরাহার জন্য যাবতীয় প্রতিশ্রুতির একটাও পূরণ হয়নি। ফলে মোদির গ্যারান্টিতে মানুষ ভুলছে না। তাই ভোটের হার কমেছে। ‘চারশো পার’ স্লোগানও তাই অলীক কল্পনা। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের হার দেখেই বিরোধীরা মনে করছে, এটা হতে চলেছে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থাজ্ঞাপনের ভোট।
শুধু নরেন্দ্র মোদি-ই নন, একই কথা শোনা গিয়েছে জেপি নাড্ডার ভাষণেও। মুম্বইয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, কংগ্রেস এবং তাদের ‘ইন্ডি’ (‘ইন্ডিয়া) জোটের গোপন উদ্দেশ্য হল তফসিলি জাতি-জনজাতি (এসসি-এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসরদের (ওবিসি) অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া। ওঁদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনই তো বলেছিলেন, দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের। তারা ‘ঘুসপেটিয়া’, অর্থাৎ অবৈধভাবে এ দেশে এসেছে, মানে অনুপ্রবেশকারী। আর বিদ্বেষের এই আবহে সম্ভলের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত এক জনসভায় আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘এই নির্লজ্জ কংগ্রেসের লক্ষ্য হল, গোহত্যা করে সংখ্যালঘুদের মাংস খাওয়ায় অধিকার দেওয়া।’ এটা আজ স্পষ্ট, কেন্দ্রের শাসকদল সংখ্যালঘুকে পায়ের নীচে সদাসন্ত্রস্ত করে রাখতে চায়, এবং সেই লক্ষ্য যখন মোটের উপর পূর্ণ হয়ে এসেছে, তখন সংখ্যালঘুর জুজু দেখিয়ে ক্রমাগত সংখ্যাগুরু ভোট এক জায়গায় আনতে চায়। সেই অভিযানের ‘সেনাপতি’-র আচরণে বিস্ময়ের কিছু নেই! বিপুল জয় সম্পর্কে বিজেপি যে সংশয়ী ও নার্ভাস, সম্ভবত এটা তারই লক্ষণ। ভোটারদের অনাগ্রহ কাটিয়ে পরের পর্বগুলিতে হাওয়া তুলতে তাই ‘মুসলিম জুজু’ হাতিয়ার।
দেশবাসী জানে, বিজেপির এই কৌশল নতুন কিছু নয়। সেই ২০০২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ভোটপ্রচার এ দেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু বিদ্বেষের আবহ ছড়িয়ে দিয়েছিল। শুরু হয়েছিল নিজেকে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ বানানোর কৌশল। সেই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান মুখ নির্বাচনী প্রচারে নেমে 
সরাসরি মুসলিমদের নাম করে, তাঁদের সম্পর্কে বিদ্বেষের তির ছুড়েছিলেন। প্রকাশ্য জনসভায় মুসলিমদের 
বংশবৃদ্ধি নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা সেই বারই প্রথম। গুজরাতের হিংসার পরে মুসলিমদের ত্রাণ শিবিরকে তিনি ‘সন্তান উৎপাদনের কারখানা’ বলে তকমা দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে এসে সেই মোদি ফের মুসলিমদের সম্পর্কে একই কথা শোনাচ্ছেন। 
সঙ্ঘ পরিবার বরাবরই প্রচার করে এসেছে যে, মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে একদিন হিন্দুদের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে যাবে। মোদি মুসলিমদের সম্পর্কে সেই আতঙ্ক ও বিদ্বেষ বা ‘ইসলামোফোবিয়া’-কে সামনে এনেই ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চাইছেন। কারণ, তিনি এই মেরুকরণের সুফল আগেও পেয়েছেন। তা সে রাজ্যের ভোটে হোক বা লোকসভা ভোটে। তিনিও জানেন, ভারতের রাজনীতিতে নির্বাচন আর সাম্প্রদায়িকতা আজ হাত ধরাধরি করে চলে। জানেন, গত দশ বছরে তাঁর এমন একটি নিজস্ব 
ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে, যাঁরা সব ভুলে মুসলিম-বিদ্বেষকে ইন্ধন করেই ভোট দিতে পারেন। আর তাই ২০ মার্চ 
কেরলের পালাক্কাডে মোদিজির রোড শোয়ে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি মাল্লপুরম আসনের নিজের দলের প্রার্থী আবদুল সালামকে-ও। সালাম এবার দেশের একমাত্র বিজেপি মুসলিম প্রার্থী।
‘ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছেছি আমরা?’ প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি কে এম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। উত্তরটি জানা। ধর্মের নামে ভারত পৌঁছেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কল্পিত হিন্দুরাষ্ট্রের দোরগোড়ায়, যেখানে ধর্ম ও রাষ্ট্র ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে অদ্বৈতে। ভারতের যে কোনও রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই, এই দেশ যে সব ধর্মের প্রতি সমদৃষ্টিসম্পন্ন হতে দায়বদ্ধ, জনমানস থেকে এই কথাটি কার্যত মুছে দিতে সক্ষম হয়েছে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি। ফলে বিজেপির নেতা প্রকাশ্যেই মুসলিম ব্যবসায়ীদের গলা কাটার কথা বলেও পার পেয়ে যান। সমাজমাধ্যমে অবাধে ছড়িয়ে পড়ে হিন্দুত্ববাদী নেতার বিদ্বেষভাষণ। গুলি করে মারার উস্কানি দিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নেতার গুরুত্ব বাড়তে পারে। ভারত আজ সেখানে পৌঁছেছে, যেখানে 
গো-সন্ত্রাসকে নিতান্ত স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে হয়। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পর প্রশাসনিক বুলডোজার মুসলিমদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলেও সমাজের চোখে তা অস্বাভাবিক ঠেকে না। ধর্মের নামে ভারত সেখানে পৌঁছেছে, যেখানে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের কারামুক্তিতে সাগ্রহ সম্মতি জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই গৈরিক আধিপত্যের ভারতে আজ এ কথা প্রতিষ্ঠিত, রাষ্ট্রক্ষমতার চোখে মুসলিমরা নিতান্তই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক— সাভারকর, গোলওয়ালকরদের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই ভোটও তার বাইরে বেরতে পারল না।
লক্ষ্য করুন, ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে যথাক্রমে সাত আর ছ’জন মুসলিম প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। সবাই যে হারবে বিজেপি তা জানতও। ফলে দেশের ১৬ এবং ১৭তম লোকসভায় শাসকদলে একজনও মুসলিম ছিলেন না। রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদদের মধ্যে তিনজন ছিলেন মুসলিম। মুক্তার আব্বাস নাকভি, এম জে আকবর, সৈয়দ জাফর ইসলাম। তিনজনেরই মেয়াদ ফুরিয়েছে। একজনকেও আর রাজ্যসভায় ফেরত পাঠানো হয়নি। আপাতত শাসকদলের সাংসদদের মধ্যে কোনও 
মুসলিম নেই। অথচ, দেশের মুসলিম জনসংখ্যা কমবেশি ১৮ শতাংশ। এর অর্থ একটাই, তোমরা এখানে থাকো। কিন্তু ক্ষমতার ভাগ চেয়ো না। তোমরা নাগরিক নও— দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। এই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানানোর খেলাটাই চলছে দেশজুড়ে। আরএসএস–বিজেপির লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র। যেখানে সংখ্যালঘু মুসলিম, ক্রিস্টানরা নাগরিক নয়, দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির (সিএসডিএস) সাম্প্রতিক সমীক্ষা দেখাচ্ছে, চরিত্রগত ভাবেই গোবলয়ের উদ্ধত হিন্দুত্বগন্ধী। ফলে মুসলিমদের ১০ শতাংশ ভোটও বিজেপি পায় না। যতই তারা পসমন্দাদের (নিম্নবর্গের মুসলিম) মন পাওয়ার চেষ্টা করুক, তা সময়ের বৃথা অপচয়। ভোটের লাইনে মুসলিমদের প্রবল উপস্থিতি যদি এমনই থাকে এবং হিন্দুদের উৎসাহে জোয়ার না আসে, তা হলে বিপদ অনিবার্য। তাই হিন্দুত্বের জাগরণে হিন্দুদের মনে ভয় সঞ্চার করতেই হবে। মোদি বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন, রামমন্দির তৈরির ইস্যু ‘বাসি’ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী প্রচারে রোটি-কাপড়া-মাকানের সঙ্গে বিজলি-সড়ক-পানি যেমন প্রাধান্য পাচ্ছে, তেমনই উঠে আসছে বেকারত্বের জ্বালা, মূল্যবৃদ্ধির কোপ, দুর্নীতির ব্যাপকতা এবং এক শতাংশ ধনী মানুষের আরও ধনী হওয়ার কাহিনি। এই বোঝার উপর শাকের আঁটি নির্বাচনী বন্ড। এগুলোর একটার জবাবও তাঁর কাছে নেই। যা আছে, তা শুধুই ধর্মীয় মেরুকরণ। আর তাই ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনের গরম হাওয়ায় মাছ, মাটন, মুসলিমের পর মোদি আরও একটা ‘ম’ যোগ করেছেন— মঙ্গলসূত্র!
এই ধর্মীয় মেরুকরণই লাগামছাড়া বেকারত্ব আর আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির যুগে মোদির একমাত্র রক্ষাকবচ!
01st  May, 2024
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপি শঙ্কায় কেন?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি নেতা ঘনিষ্ঠ মহলে বলেই ফেললেন, ‘৮০টার মধ্যে ৫০টা সিট তো পাব।’ তাতেও যে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসী, তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় চমকের জায়গা হল সংখ্যাটা। ৫০। বিশদ

মহিষের উপর উত্তরাধিকার কর
পি চিদম্বরম

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সেখানে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় কোনটি? যুদ্ধের এক পক্ষে নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর কয়েকজন মিত্র আর উল্টো দিক থেকে একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী এবং বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক শক্তিশালী ও স্বাধীন সেনাপতিগণ। বিশদ

20th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

19th  May, 2024
আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
কোভিডের টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিতর্কে নড়েচড়ে বসল আইসিএমআর। করোনা প্রতিরোধী টিকা ‘কোভিশিল্ডে’র মতোই দেশীয় ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাকসিনে’ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলেই সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। ...

এতদিন মেদিনীপুরে ভোটপ্রচারে ব্রাত্য ঩ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অবস্থা বেগতিক বুঝে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তাঁকে ডাকতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। ...

‘ঠাকুরের কাছে আসার ইচ্ছা থাকলে কোনও বাধাই বাধা হয় না,’ মঠের সদর দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে এ ভাবেই বেলুড়ের পুণ্যভূমিতে পৌঁছনর কারণ ব্যাখ্যা করলেন মুম্বইয়ের মুলুন্দ ...

‘নিজের এলাকার ঐতিহ্যমণ্ডিত যদি কোনও বিষয় থাকে, সেটাকে বের করে নিয়ে এসে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, তার শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরও কিন্তু নাম ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৫০২: জোয়া দ্য নোভা সেন্টের হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করেন
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৮৫১: অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়
১৮৬০: হৃদরোগ চিকিৎসায় ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির প্রবর্তক ওলন্দাজ চিকিৎসক উইলিয়াম আইটোফেন ডাচের জন্ম
১৮৮৮: বিখ্যাত বাঙালি গণিতজ্ঞ ভূপতিমোহন সেনের জন্ম
১৯০৪: ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত
১৯২০: গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়নাথ বসুর মৃত্যু
১৯২১: দার্শনিক ও আনন্দমার্গ'-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত প্রভাতরঞ্জন সরকারের জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৩৮: বেঙ্গল মোশন পিকচার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত
১৯৬৬: বিশিষ্ট পরিচালক, অভিনেতা, তথা চিত্রনাট্যকার সুজয় ঘোষের জন্ম
১৯৭১: বিশিষ্ট বলিউড পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, পরিবেশক তথা প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার জন্ম
১৯৯১: মাদ্রাজের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু
২০০৩: বিশিষ্ট টলিউড অভিনেত্রী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০১৭: আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের কলকাতা ‘ক’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘গীতাঞ্জলি’ ও কলকাতা ‘খ’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘সঞ্চয়িতা’ য় পরিবর্তিত হয়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী ৩১/৪৫ অপরাহ্ন ৫/৪০। চিত্রা নক্ষত্র ২/০ প্রাতঃ ৫/৪৬। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪, সূর্যাস্ত ৬/৮/২০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৩৭ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৭ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।   
৭ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪। ত্রয়োদশী অপরাহ্ন ৪/৫২। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/২৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২৪ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৪/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪  গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ গতে ৯/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩২ গতে ৮/৫২ মধ্যে। 
১২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জলের তলায় টানা ৩ মাস কাটিয়ে ১০ বছর বয়স কমালেন প্রৌঢ়
জলের তলায় টানা তিন মাস কাটিয়েই প্রায় ১০ বছর বয়স ...বিশদ

05:57:16 PM

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, সিঁথিতে গ্রেপ্তার ১

04:46:59 PM

আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূঃ মেদিনীপুর ও দঃ ২৪ পরগনায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

04:45:23 PM

৫২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:23:00 PM

টার্বুলেন্সে পড়ল লন্ডন-সিঙ্গাপুরগামী বিমান, ব্যাংককে জরুরি অবতরণ, ১ যাত্রীর মৃত্যু, জখম ৩০

04:15:00 PM

মোদি যাক, দেশ থাক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:06:52 PM