Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশের অর্থনীতি এগচ্ছে আরও ধ্বংসের দিকে
সন্দীপন বিশ্বাস

ঠিক এক বছর আগে ১৯ নভেম্বর ঘটেছিল সেই ঘটনা। সেদিন কৃষক আন্দোলনের দৃঢ়তার মুখে ভেঙে পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ‘লৌহকঠিন’ হিসাবে বিজ্ঞাপিত নরেন্দ্র মোদি। তার আগের বছর তিনি কৃষিবিল এনেছিলেন। জানতেন যে, সেই বিলে শুধু দেশের শিল্পপতিদেরই মুনাফা হবে এবং সেই আইনের বলি হবেন কৃষকরা। তবুও তিনি সংসদে সংখ্যাগুরু থাকার ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সেই বিল এনেছিলেন। কিন্তু এক বছর ধরে কৃষকদের ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের সামনে তিনি কার্যত চূর্ণ হয়ে যান। তিনি সেদিন বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, আপনাদের কোনও ক্ষতি হবে না। আপনারা সবাই আপনাদের পরিবারের পাশে ফিরে যান। আপনাদের যাতে মঙ্গল হয়, আমি তার চেষ্টা করব। 
এই যে মোদির নতজানু হওয়া, তার উৎস কিন্তু অনুতাপ বা অনুশোচনা ছিল না। তা ছিল সম্পূর্ণই রাজনৈতিক। তাই যেন পাকা অভিনেতার নাটুকে আবেগ অনেকটাই লেগেছিল তাঁর স্বরে। আসলে তখন ভোট এসে দুয়ারে ধাক্কা দিচ্ছিল। তাই তাঁকে ‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মতো ‘অনুতাপ পীড়িত’ সেজে আসরে নামতে হয়েছিল। মূল আন্দোলনকারী চাষিরা ছিলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের। এর মধ্যে যে দুই রাজ্যে ভোট এসে গিয়েছিল, সে দু’টি হল উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। তাই তাঁকে তড়িঘড়ি কৃষিবিল গুটিয়ে নিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করতে হয়েছিল। জানতেন, এই ছদ্ম-সজ্জাটুকু ধারণ না করলে ভোট বাক্সে ঢাক, ঢোল দুইই ফাঁসবে। 
সেই ঘটনার বর্ষ অতিক্রান্ত। সেদিন মোদিকে বিশ্বাস করে কৃষকরা তাঁদের জয়ে উল্লসিত হয়েছিলেন। এই এক বছরে কিন্তু তাঁদের ভুল ভেঙেছে। বুঝতে পারছেন, সবটাই ছিল একটা ড্রামা। ওই নাটকের মধ্য দিয়ে সাময়িকভাবে বিলটিকে হিমঘরে পাঠানো হলেও সুযোগ পেলেই ফের বিলটিকে ঝুলি থেকে বের করা হবে। কেননা বিজেপি সরকার বৃহত্তর শিল্পপতিদের কাছে এনিয়ে দায়বদ্ধ। বৃহত্তর শিল্পপতিদের তুষ্টি মানেই বিজেপির তহবিল রসেবশে থাকা। আর তহবিল রসেবশে না থাকলে বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের কাজে তা ব্যবহারও করা যাবে না। প্রয়োজনে অন্য দলের বিধায়ক ভেঙে সরকার গড়ার নিত্য খেলাও সম্ভব হবে না।
তবে কৃষকরা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি সরকার বুনো ওল হলে, তাঁরাও কিন্তু বাঘা তেঁতুল। গত এক বছরে প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি, তা কৃষকরা কিন্তু ভোলেননি। তাঁদের ফসলের সহায়ক মূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি। মোদি অবশ্য সহায়ক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি ‘সাজানো’ কমিটি করেছেন। তবে হাস্যকর ব্যাপার হল, সেই কমিটিতে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই কৃষক নেতারা এই কমিটিকে ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ২৬ নভেম্বর সহায়ক মূল্য ঘোষণার দাবিতে রাজভবনের দিকে যাত্রা করবেন। মোদির নীরবতাই যে তাঁদের পুনরায় আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও কারণ নেই।   
শুধু তো কৃষিবিল নয়, শাসন ব্যবস্থার সার্বিক ক্ষেত্রে এই ডামাডোল চলছে। প্রতিদিন আমরা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চলেছি। ক্রমে ক্রমে ভারতীয় অর্থনীতির দম সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, দেশে রিসেশন বা মন্দা অর্থনীতির অশুভ ছায়া ঘনিয়ে আসছে। আসলে মন্দা অর্থনীতি তো চলছেই। তাই মন্দা অর্থনীতি বললে ঠিক রিসেশন ব্যাপারটা বোঝানো যায় না। একে নাটকের ভাষায় বলা যেতে পারে ‘দেশের আর্থিক অবস্থার পতন ও মূর্চ্ছা।’ 
দেশের অর্থনীতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এতদিন যেন মোদির তালেই তাল দিয়ে আসছিল। ইদানীং তারা বুঝেছে, আর বুঝি তালে তাল ঠোকা সম্ভব নয়। তাই মাঝেমাঝেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে তারা কিছুটা বেসুরো গাইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেশে রিসেশন আসার নানা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একটা কথা অবশ্যই বলা যায়, করোনা পর্বের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতেই কমবেশি প্রভাব ফেলেছে। যে দেশের অর্থনীতির বনিয়াদ শক্ত এবং ক্ষমতায় থাকা দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, তাদের অর্থনীতির ভাঙন অল্প। কিন্তু যে দেশের শাসক দলের সিদ্ধান্তে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে, তাদের ক্রমেই রিসেশনের দিকে ঢলে পড়তে হচ্ছে। আমরা তো চোখের সামনেই ভারত ছাড়া দেখতে পাচ্ছি ব্রিটেনকে। সেখানে অর্থনীতির ভাঙনের ঠেলায় প্রধানমন্ত্রীই বদল হয়ে গেল। নতুন প্রধানমন্ত্রীও কবুল করেছেন, দেশ রিসেশনের কবলে পড়েছে। তার মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব দেশই অর্থনৈতিক দিক থেকে হৃতবল হয়েছে। এই সম্পর্কে তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কোন দেশের অর্থনৈতিক বনিয়াদ কতটা দুর্বল হয়েছে, তার উল্লেখ সেখানে আছে। জাপান দুর্বল হয়েছে ২.৬ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়েছে ৪.৫ শতাংশ, চীন হয়েছে ৫.৭ শতাংশ, জার্মানি হয়েছে ৬.৮ শতাংশ, গ্রেট ব্রিটেন হয়েছে ৭.৮ শতাংশ, ভারত হয়েছে ৭.৮ শতাংশ এবং রাশিয়ার দুর্বলতা হল ১২.৬ শতাংশ। এই যে অর্থনৈতিক অপুষ্টির শতকরা হার, তার হাল ঠিকমতো ধরতে না পারলে আগামী দিনে তা বাড়বে। আমরা নিরুপায়। এই বিপন্ন সময়ে আমাদের সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়।
মোদি-অনুগত নন, এমন বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে দেশের যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, তাকে আধা রিসেশন বলাই যায়। এছাড়াও তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে এই অর্থনীতি চরম গাড্ডায় পড়ে যাবে। সরকার এখন অর্থনীতির যেসব রামধনু দেখানোর চেষ্টা করছে, তা আসলে সবই বাকোয়াস।   
কয়েকদিন আগে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির ৬৬ শতাংশ সিইও স্বীকার করেছেন যে, আসন্ন ২০২৩ সাল অর্থনৈতিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর এক সময় হতে চলেছে। এই সময়ে দেশ রিসেশনের কবলে পড়তে পারে। পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার কোনও আশা তো নেইই, বরং কতটা ক্ষতি আটকানো যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে বহু মানুষের চাকরি যাবে, বেতন কমে যাবে, মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে, সরকার হু হু করে কর বাড়াবে, জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে, উৎপাদনও কমে যাবে। দেশের সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে লড়াই করে প্রতিদিনের রুটি রোজগার জোগাড় করেন, তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও টান পড়বে। দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে। একেই নোটবন্দির জ্বালা এখনও জুড়ায়নি, তার উপরে জিএসটির বিষে জর্জরিত ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা। রিসেশনের ছোঁয়ায় তা আরও প্রাণান্তকর হয়ে ওঠার আশঙ্কা। মনে রাখা দরকার, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৫০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার প্রান্তিক চাষি। তাদের যদি সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না দেয়, তাহলে তাদের পক্ষে জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে উঠবে। 
এই বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে সরকার কতটা লড়াই করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেননা বাহুবলী দিয়ে, ধর্ম দিয়ে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বা সিএএ দিয়ে এই দুর্বিপাককে রোখা যাবে না। এমনকী জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বা গো-পূজনেও এই সর্বনাশকে রোখা সম্ভব হবে না। 
 এর আগে আমাদের দেশে দু’বার রিসেশনের আভাস দেখা গিয়েছিল। ১৯৯১ সালে এবং ২০০৮ সালে। মনে রাখা দরকার, দু’বারই ভারত যে মানুষটির হাত ধরে তা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল, তাঁর নাম মনমোহন সিং। একবার তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী, অন্যবার প্রধানমন্ত্রী। এখন মোদির পরীক্ষা। অবশ্য এর মোকাবিলার জন্য শিক্ষা, মেধা, বিচক্ষণতার প্রয়োজন। গত সাড়ে আট বছরের রাজত্বকালে এই সরকার তার কণামাত্রও দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষের আতঙ্কটা সেখানেই।
23rd  November, 2022
দোষ ঢাকতেই সংগঠনের দোহাই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

‘সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে গেলে সংগঠন মজবুত করাই একমাত্র রাস্তা।’— সুকান্ত মজুমদার।
‘আমরা সংগঠন করতে জানি। আমরা আন্দোলন জানি। কিন্তু ভোট করাতে জানি না।’—দিলীপ ঘোষ। বিশদ

বঙ্গবঞ্চনা থেকে বঙ্গভঙ্গ: আপনার প্ল্যান কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

২৬ এপ্রিল মালদহে নির্বাচনী জনসভায় আপনি জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনাদের এই উপচে পড়া ভালোবাসা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আগের জন্মে আমি নিশ্চয়ই বাংলায় জন্মগ্রহণ করেছিলাম। অথবা আগামী জন্মে আমার জন্ম হবে এই বাংলায়। 
বিশদ

26th  July, 2024
‘তিব্বত অ্যাক্ট’ উত্তেজনার নয়া উপাদান!
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাক্তন অফিসার ব্রুস রিডেল একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ‘জেএফকে’স ফরগটেন ক্রাইসিস’। ব্রুস রিডেল সেখানে লিখেছেন, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে শত শত তিব্বতি বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণের পর তিব্বতে ফেরত পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছিল ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটি। বিশদ

25th  July, 2024
বাংলা সিনেমার শেষ ‘মহানায়ক’ উত্তমকুমার
সন্দীপন বিশ্বাস

মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর বলিউড নায়িকা হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘উত্তমকুমারের ‘নায়ক’ ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ। ইচ্ছে ছিল হিন্দিতে ছবিটি হলে উত্তমকুমারের বিপরীতে আমি শর্মিলা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করব। সেটা একবার উত্তমকুমারকে বলেওছিলাম। বিশদ

24th  July, 2024
কর্মসংস্থানের নামে বাজেটে শুধুই ধাপ্পা!
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এটা কি গোটা দেশের বাজেট? যেখানে সরকার বাঁচাতে দুটো ছাড়া আর কোনও রাজ্য নিয়ে বিশেষ কোনো উল্লেখ নেই! লুক ইস্ট নীতি মানে কি শুধুই বিহার আর অন্ধ্রের উন্নয়ন? সরকারের দুই ‘ক্রাচ’ নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবুর তোষামোদিই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অগ্রাধিকার। বিশদ

24th  July, 2024
রাজ্যপালের কাছে রাজ্যবাসীর আশা রাখা অন্যায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মাসিক বেতন কত? সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি। তাও তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে গা করেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিলেও কিছুতে নাকি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে তাঁর মত মেলে না। 
বিশদ

23rd  July, 2024
নির্মলার বাজেট এবারও কি হতাশ করবে?
পি চিদম্বরম

অর্থনীতির অন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের মতো, আমিও বার্ষিক কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাক্কালে সবসময় পড়াশোনার পাশাপাশি মতামত দিই এবং লেখালিখিও করি। তবে, বেশিরভাগ বাজেটের দিনেই সংসদ ভবন ছেড়ে আসতে হয় একরাশ হতাশা নিয়েই। বিশদ

22nd  July, 2024
আবেগের নাম ২১ জুলাই
হিমাংশু সিংহ

একুশে জুলাইয়ের বয়স তৃণমূলের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। কিন্তু বয়সে কী আসে যায়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলায় রাজনীতির প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত আজকের শহিদ দিবসটি। ২১ জুলাই শুনলেই সুন্দরবন থেকে পাহাড়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহারের মানুষ আছড়ে পড়ে কলকাতার রাজপথে। বিশদ

21st  July, 2024
২১ জুলাই এবার অনেক নেতারও ‘শহিদ দিবস’
তন্ময় মল্লিক

‘লোকসভা নির্বাচনে কম আসন পেলেও রাজ্যে ৬৯টি পুরসভায় আমরা এগিয়ে।’ কথাগুলি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। নির্বাচনে ভরাডুবির পর হতোদ্যম দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে গেলে হতাশার গাদা থেকে খুঁজে বের করতে হয় সাফল্যের ছুঁচ। বিশদ

20th  July, 2024
ট্রাম্প টার্গেট: কিশোর মন বোঝা জরুরি
সমৃদ্ধ দত্ত

আমেরিকার ২০ বছরের এক তরুণের মনের হদিশ এতদিন ধরে কিন্তু কেউ পায়নি। তার স্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী, প্রতিবেশী, অভিভাবক সকলেই প্রবল বিস্মিত। এরকম কাজ এই ছেলেটি কীভাবে করতে পারে? আজ পেনসিলভেনিয়ার এক কান্ট্রিসাইডে ঘটে যাওয়া ওই রোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা অনেক দূরে আমাদের ঘরে ঘরেও হয়তো হচ্ছে।
বিশদ

19th  July, 2024
হতাশার ভোটে রক্তাক্ত ট্রাম্প!
মৃণালকান্তি দাস

সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঘিরে রেখে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন, তাঁর মুখের উপর রক্ত গড়িয়ে পড়ছে, এর মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে স্লোগান তোলা অদম্য ট্রাম্পের ছবি শুধু ঐতিহাসিক নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও উল্টে দিতে পারে।  বিশদ

18th  July, 2024
সংবিধান প্রীতির সংসদীয় প্রতিযোগিতা
হারাধন চৌধুরী

বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, হিউম্যারিস্ট স্টিফেন লিকক বলেছিলেন, প্রবাদগুলো নতুন করে লেখা উচিত। কারণ এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এমনকী, কিছু প্রবাদ সাম্প্রতিক বাস্তবের বিপরীত ব্যাখ্যাই বহন করছে বিশদ

17th  July, 2024
একনজরে
পার্লারে মোটা টাকার কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নাবালিকাদের অন্ধকার জগতে নামানো হচ্ছে। একবার এই জগতে পা রখলে আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। বর্ধমান ও দুর্গাপুরে একটি চক্র তাদের বিপথে চালনা করছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রটি তাদের ...

পুরসভার জলের লাইনের মিটার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে উত্তরপাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যায় ও রাতে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকায় জলের একাধিক মিটার চুরি হয়। ...

আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। ফের এই দাবি করলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায়। শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। ...

শুক্রবার বিকেল। আইফেল টাওয়ারের অদূরে হঠাৎই নজর কেড়ে নিলেন পাঞ্জাবি স্বামী-স্ত্রী। বয়স মেরেকেটে ৩০-৩৫। কাঁধে ঝোলানো এক তালবাদ্য। আর তাতেই হাতের খেল দেখাচ্ছেন তাঁরা। উপরি পাওনা অমরিন্দরের গান। খোলা গলায় তিনি ধরেছেন দালের মেহেন্দির ‘বোলো তা রা রা রা...’।  ওলিম্পিকসের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৯৪: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে
১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু
১৮৪৪: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডালটনের মৃত্যু
১৯০৯: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের জন্ম 
১৯২০: বিমান চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু
১৯২২: লোকসঙ্গীত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার - বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৩১: ভারতের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৫: অস্ট্রেলিার ক্রিকেটার অ্যালান বর্ডারের জন্ম
১৯৬০: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের জন্ম
১৯৬৩: ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী এবং কর্ণাটকী সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ কে. এস. চিত্রার জন্ম
১৯৬৭:  অভিনেতা, চিত্রনাট্যলেখক তথা পরিচালক রাহুল বসুর জন্ম
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডসের জন্ম
১৯৯০: অভিনেত্রী কৃতি স্যাননের জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা আমজাদ খানের মৃত্যু
১৯৯৬: আটলান্টা ওলিম্পিকস চলাকালীন সেন্ট্রাল ওলিম্পিক পার্কে বিস্ফোরণে হত ১ মহিলা, আহত ১১১
২০০৫: আরব সাগরে ভারতের একটি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মঞ্চ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়
২০১৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৬ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৬ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৬ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৮,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৫,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী ৪০/২৫ রাত্রি ৯/২০। রেবতী নক্ষত্র ১৯/৩৫ দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৫/৯/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/১৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৭ গতে ১০/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/০ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে উদয়াবধি।
১১ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ১২/৫৬। রেবতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২১। সূর্যোদয় ৫/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩০ গতে ১/২ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ গতে ১০/৩৮ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩০ মধ্যে  ২/১৩ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/২ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪১ মধ্যে ও ৩/৪৭ গতে ৫/৯ মধ্যে। 
২০ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-১ গোলে হারাল উয়াড়ি অ্যাথলেটিককে

26-07-2024 - 05:10:58 PM

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারতীয় মহিলা দল। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ...বিশদ

26-07-2024 - 04:58:59 PM

উপত্যকায় ৭ সন্দেহভাজনের অনুপ্রবেশ, সতর্কতা জারি
ফের উপত্যকায় উত্তেজনা। জম্মু এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট অঞ্চলে এক মহিলা ...বিশদ

26-07-2024 - 04:50:38 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ১ (৬৩ মিনিট)

26-07-2024 - 04:39:32 PM

কলকাতা লিগ: ডায়মন্ড হারবার এফসি ২-উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ০ (৬১ মিনিট)

26-07-2024 - 04:36:52 PM

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে অগ্নিদগ্ধ অস্থায়ী কর্মী
কাজ চলাকালীন চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানায় বিস্ফোরণ। অগ্নিদগ্ধ হলেন এক অস্থায়ী ...বিশদ

26-07-2024 - 04:08:05 PM