Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশের অর্থনীতি এগচ্ছে আরও ধ্বংসের দিকে
সন্দীপন বিশ্বাস

ঠিক এক বছর আগে ১৯ নভেম্বর ঘটেছিল সেই ঘটনা। সেদিন কৃষক আন্দোলনের দৃঢ়তার মুখে ভেঙে পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ‘লৌহকঠিন’ হিসাবে বিজ্ঞাপিত নরেন্দ্র মোদি। তার আগের বছর তিনি কৃষিবিল এনেছিলেন। জানতেন যে, সেই বিলে শুধু দেশের শিল্পপতিদেরই মুনাফা হবে এবং সেই আইনের বলি হবেন কৃষকরা। তবুও তিনি সংসদে সংখ্যাগুরু থাকার ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সেই বিল এনেছিলেন। কিন্তু এক বছর ধরে কৃষকদের ইস্পাত কঠিন আন্দোলনের সামনে তিনি কার্যত চূর্ণ হয়ে যান। তিনি সেদিন বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, আপনাদের কোনও ক্ষতি হবে না। আপনারা সবাই আপনাদের পরিবারের পাশে ফিরে যান। আপনাদের যাতে মঙ্গল হয়, আমি তার চেষ্টা করব। 
এই যে মোদির নতজানু হওয়া, তার উৎস কিন্তু অনুতাপ বা অনুশোচনা ছিল না। তা ছিল সম্পূর্ণই রাজনৈতিক। তাই যেন পাকা অভিনেতার নাটুকে আবেগ অনেকটাই লেগেছিল তাঁর স্বরে। আসলে তখন ভোট এসে দুয়ারে ধাক্কা দিচ্ছিল। তাই তাঁকে ‘গো অ্যাজ ইউ লাইক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মতো ‘অনুতাপ পীড়িত’ সেজে আসরে নামতে হয়েছিল। মূল আন্দোলনকারী চাষিরা ছিলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের। এর মধ্যে যে দুই রাজ্যে ভোট এসে গিয়েছিল, সে দু’টি হল উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। তাই তাঁকে তড়িঘড়ি কৃষিবিল গুটিয়ে নিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করতে হয়েছিল। জানতেন, এই ছদ্ম-সজ্জাটুকু ধারণ না করলে ভোট বাক্সে ঢাক, ঢোল দুইই ফাঁসবে। 
সেই ঘটনার বর্ষ অতিক্রান্ত। সেদিন মোদিকে বিশ্বাস করে কৃষকরা তাঁদের জয়ে উল্লসিত হয়েছিলেন। এই এক বছরে কিন্তু তাঁদের ভুল ভেঙেছে। বুঝতে পারছেন, সবটাই ছিল একটা ড্রামা। ওই নাটকের মধ্য দিয়ে সাময়িকভাবে বিলটিকে হিমঘরে পাঠানো হলেও সুযোগ পেলেই ফের বিলটিকে ঝুলি থেকে বের করা হবে। কেননা বিজেপি সরকার বৃহত্তর শিল্পপতিদের কাছে এনিয়ে দায়বদ্ধ। বৃহত্তর শিল্পপতিদের তুষ্টি মানেই বিজেপির তহবিল রসেবশে থাকা। আর তহবিল রসেবশে না থাকলে বিভিন্ন রাজ্যে ভোটের কাজে তা ব্যবহারও করা যাবে না। প্রয়োজনে অন্য দলের বিধায়ক ভেঙে সরকার গড়ার নিত্য খেলাও সম্ভব হবে না।
তবে কৃষকরা বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি সরকার বুনো ওল হলে, তাঁরাও কিন্তু বাঘা তেঁতুল। গত এক বছরে প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি, তা কৃষকরা কিন্তু ভোলেননি। তাঁদের ফসলের সহায়ক মূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই করেননি। মোদি অবশ্য সহায়ক মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি ‘সাজানো’ কমিটি করেছেন। তবে হাস্যকর ব্যাপার হল, সেই কমিটিতে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই কৃষক নেতারা এই কমিটিকে ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ২৬ নভেম্বর সহায়ক মূল্য ঘোষণার দাবিতে রাজভবনের দিকে যাত্রা করবেন। মোদির নীরবতাই যে তাঁদের পুনরায় আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও কারণ নেই।   
শুধু তো কৃষিবিল নয়, শাসন ব্যবস্থার সার্বিক ক্ষেত্রে এই ডামাডোল চলছে। প্রতিদিন আমরা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চলেছি। ক্রমে ক্রমে ভারতীয় অর্থনীতির দম সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, দেশে রিসেশন বা মন্দা অর্থনীতির অশুভ ছায়া ঘনিয়ে আসছে। আসলে মন্দা অর্থনীতি তো চলছেই। তাই মন্দা অর্থনীতি বললে ঠিক রিসেশন ব্যাপারটা বোঝানো যায় না। একে নাটকের ভাষায় বলা যেতে পারে ‘দেশের আর্থিক অবস্থার পতন ও মূর্চ্ছা।’ 
দেশের অর্থনীতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এতদিন যেন মোদির তালেই তাল দিয়ে আসছিল। ইদানীং তারা বুঝেছে, আর বুঝি তালে তাল ঠোকা সম্ভব নয়। তাই মাঝেমাঝেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে তারা কিছুটা বেসুরো গাইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেশে রিসেশন আসার নানা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একটা কথা অবশ্যই বলা যায়, করোনা পর্বের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতেই কমবেশি প্রভাব ফেলেছে। যে দেশের অর্থনীতির বনিয়াদ শক্ত এবং ক্ষমতায় থাকা দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, তাদের অর্থনীতির ভাঙন অল্প। কিন্তু যে দেশের শাসক দলের সিদ্ধান্তে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে, তাদের ক্রমেই রিসেশনের দিকে ঢলে পড়তে হচ্ছে। আমরা তো চোখের সামনেই ভারত ছাড়া দেখতে পাচ্ছি ব্রিটেনকে। সেখানে অর্থনীতির ভাঙনের ঠেলায় প্রধানমন্ত্রীই বদল হয়ে গেল। নতুন প্রধানমন্ত্রীও কবুল করেছেন, দেশ রিসেশনের কবলে পড়েছে। তার মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব দেশই অর্থনৈতিক দিক থেকে হৃতবল হয়েছে। এই সম্পর্কে তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কোন দেশের অর্থনৈতিক বনিয়াদ কতটা দুর্বল হয়েছে, তার উল্লেখ সেখানে আছে। জাপান দুর্বল হয়েছে ২.৬ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়েছে ৪.৫ শতাংশ, চীন হয়েছে ৫.৭ শতাংশ, জার্মানি হয়েছে ৬.৮ শতাংশ, গ্রেট ব্রিটেন হয়েছে ৭.৮ শতাংশ, ভারত হয়েছে ৭.৮ শতাংশ এবং রাশিয়ার দুর্বলতা হল ১২.৬ শতাংশ। এই যে অর্থনৈতিক অপুষ্টির শতকরা হার, তার হাল ঠিকমতো ধরতে না পারলে আগামী দিনে তা বাড়বে। আমরা নিরুপায়। এই বিপন্ন সময়ে আমাদের সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়।
মোদি-অনুগত নন, এমন বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে দেশের যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, তাকে আধা রিসেশন বলাই যায়। এছাড়াও তাঁরা আশঙ্কা করছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে এই অর্থনীতি চরম গাড্ডায় পড়ে যাবে। সরকার এখন অর্থনীতির যেসব রামধনু দেখানোর চেষ্টা করছে, তা আসলে সবই বাকোয়াস।   
কয়েকদিন আগে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির ৬৬ শতাংশ সিইও স্বীকার করেছেন যে, আসন্ন ২০২৩ সাল অর্থনৈতিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর এক সময় হতে চলেছে। এই সময়ে দেশ রিসেশনের কবলে পড়তে পারে। পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার কোনও আশা তো নেইই, বরং কতটা ক্ষতি আটকানো যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে বহু মানুষের চাকরি যাবে, বেতন কমে যাবে, মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে, সরকার হু হু করে কর বাড়াবে, জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে, উৎপাদনও কমে যাবে। দেশের সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে লড়াই করে প্রতিদিনের রুটি রোজগার জোগাড় করেন, তাঁদের কর্মক্ষেত্রেও টান পড়বে। দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে। একেই নোটবন্দির জ্বালা এখনও জুড়ায়নি, তার উপরে জিএসটির বিষে জর্জরিত ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা। রিসেশনের ছোঁয়ায় তা আরও প্রাণান্তকর হয়ে ওঠার আশঙ্কা। মনে রাখা দরকার, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ৫০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার প্রান্তিক চাষি। তাদের যদি সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না দেয়, তাহলে তাদের পক্ষে জীবনধারণ করা কঠিন হয়ে উঠবে। 
এই বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে সরকার কতটা লড়াই করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কেননা বাহুবলী দিয়ে, ধর্ম দিয়ে, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বা সিএএ দিয়ে এই দুর্বিপাককে রোখা যাবে না। এমনকী জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বা গো-পূজনেও এই সর্বনাশকে রোখা সম্ভব হবে না। 
 এর আগে আমাদের দেশে দু’বার রিসেশনের আভাস দেখা গিয়েছিল। ১৯৯১ সালে এবং ২০০৮ সালে। মনে রাখা দরকার, দু’বারই ভারত যে মানুষটির হাত ধরে তা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল, তাঁর নাম মনমোহন সিং। একবার তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী, অন্যবার প্রধানমন্ত্রী। এখন মোদির পরীক্ষা। অবশ্য এর মোকাবিলার জন্য শিক্ষা, মেধা, বিচক্ষণতার প্রয়োজন। গত সাড়ে আট বছরের রাজত্বকালে এই সরকার তার কণামাত্রও দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষের আতঙ্কটা সেখানেই।
23rd  November, 2022
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM