Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যর্থতার নিরিখে আগে
মোদিকে সরানো দরকার
সন্দীপন বিশ্বাস

বারবার দেখো, হাজারবার দেখো, দেখনেকা চিজ হ্যায় ইয়ে বিজেপি সরকার। ব্যর্থতার মডেল বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার। সেখানকার মাথাগুলোকে গিলোটিনের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে যে নাটকের ঘনঘটা, তা সত্যিই দেখার এবং আলোচনার বস্তু। একই সঙ্গে বেজায় কমেডির উপাদানও তার মধ্যে আছে।  দু’টো কান ধরে টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকারের ব্যর্থতাকে টানলে অবশ্যই আসবেন মোদি এবং অমিত শাহ। স্পষ্টভাষায় বললে, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকারের যে ব্যর্থতা, তার দায় মূলত তাঁদেরই । ডাবল ইঞ্জিনের সরকার তৈরি হওয়ায় ‘প্রথম ইঞ্জিনে’র কাজটি করছেন মোদি-শাহ। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ‘দ্বিতীয় ইঞ্জিন’ হয়ে শুধু পুতুলের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের হাতে নেই কোনও চালিকাশক্তি। মেয়ের সংসারে নাক গলিয়ে যেমন বহু মা তার সেই সংসারকে নষ্ট করে দেন, অশান্তির কারণ হয়ে ওঠেন, মোদি এবং অমিত শাহ জুটিও তেমনই। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে তাঁদের মনোমতো পুতুল মুখ্যমন্ত্রী বসিয়ে খবরদারি করতে গিয়ে তাঁরা সবটাই ডুবিয়েছেন। এই জুটি যেমন কেন্দ্রকে ডুবিয়েছে, রাজ্যগুলোকেও তেমন ডুবিয়েছে। তার দায় মেটাতে গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রীদের একে একে কিস্তিমাত করে নক আউট করে দিচ্ছেন তাঁরা। এর মধ্যে উত্তরাখণ্ড আছে, আছে কর্ণাটক এবং গুজরাতও। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও মোদি–শাহ সরাতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। সেখানে লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। সেই জোর নার্ভের লড়াইয়ে মোদি-শাহ প্রথম রাউন্ডে দু’কদম পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন।  যোগী সেখানে ভূমিপুত্র। তাই অত সহজে তাঁকে কিস্তিমাত করা যায়নি। মোদি-শাহ জানেন, আদিত্যনাথকে নিয়ে বেশি জলঘোলা করলে, তাঁদেরই সেই ঘোলা জল পান করে আরও অসম্মানের মুখোমুখি হতে হবে। সুতরাং ধীরে রজনী!
এর মধ্যে একটি ঘটনা যোগী আদিত্যনাথকে বিপাকে ফেলেছে। যোগী বিপাকে পড়তেই মহা আনন্দ মোদির। কথায় কথায় ধর্মের ঢাক বাজানো বা রামকে টেনে আনা যোগীজি এমন একটি কম্ম করেছেন, যার জেরে এখন আর তাঁর মুখ লুকানোর জায়গা নেই। তাঁর সরকার একেবারে পুকুর চুরি করে বসে আছে। যে বিজেপি মমতাকে উঠতে বসতে গালমন্দ করে, যে মমতার শাসনে এ রাজ্য রসাতলে গেল বলে পথে, ঘাটে, টিভিতে নিন্দার সঙ্কীর্তন করে, সেই মমতার রাজ্যের উন্নয়নের ছবি হাতিয়ে সেটা যোগীর বলে চালানো হয়েছে। এর থেকে আর নির্লজ্জের কী আছে! তারপর থেকে নানা অজুহাত দিয়ে দোষস্খালনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও অপযুক্তিই ধোপে টিকবে না। কেননা এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি হয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে। এজেন্সি এই বিজ্ঞাপন বা অ্যাডভার্টোরিয়ালটি তৈরি করলেও যোগী সরকারের তথ্য দপ্তর এটি বারবার পরীক্ষা করে তবেই ছাপার অনুমতি দিয়েছে। এখন বিপাকে পড়ে সরকার উল্টো সুর গাইছে। 
আসলে এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতির বাইরে যোগীজি বেরবেন কী করে? আমরা দেখেছি, ভোটের সময় মমতাকে অপদস্ত করতে বারবার অন্য রাজ্যের নৈরাজ্য, অন্য দেশের অনুন্নয়নের ভুয়ো ছবি তুলে প্রচার করেছে তারা। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবাস যোজনায় ঘর পাননি, কলকাতার এমন এক মহিলার ছবি ছেপে নিজের ঢাক নিজে পিটিয়েছিল মোদি সরকার। উজ্জ্বলা গ্যাস, বন্যা পরিদর্শন সর্বত্রই ফোটোশপের মিথ্যা কারসাজি করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়েছিল।   বিজেপি কোনওদিনই সেই মিথ্যাচারের সংস্কৃতি থেকে বেরতে পারেনি। কিন্তু অন্যের উন্নয়নকে নিজের বলে চালানো ছাড়া গেরুয়াবাবুদের আর কিছু করার নেই। আসলে গত পাঁচ বছরে যোগী-রাজ্যে উন্নয়নের তেমন কোনও ছবিই নেই। সেখানে উন্নয়নের চিত্রটা বড়ই করুণ। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে অসংখ্য শিশুর মৃত্যু, করোনা সামলাতে ব্যর্থ যোগীজির রাজ্যে একদিকে চিতায় গণদাহ, অন্যদিকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া শবের শোভাযাত্রা।  সেইসঙ্গে ধর্ষণে সে রাজ্যের কপালে জুটেছে সেরার শিরোপা। যে ধর্ষণের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়কও। গণধর্ষণ, দলিত ধর্ষণটা একটা টাইম পাসে পরিণত হয়েছে সেখানে। যোগী জমানায় মেয়েদের উপর নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। হাতরাস, উন্নাও, এটোয়ার ধর্ষণের উল্লাস, গেরুয়া বাহিনীর গুণ্ডামি, তোলাবাজি, গোরক্ষকদের তাণ্ডব, চাষিদের ক্ষোভ, মুসলিমদের হতাশা, বেকার যুবকদের রোষ এসব যোগীজির পথের কাঁটা। ব্যর্থতার এই চিহ্নগুলোই হতে পারে যোগীর রাজ্যে ‘বিকাশ’এর প্রকৃত ছবি। 
এই সংস্কৃতির বাইরে নন মোদি-শাহরা। আসলে একটা মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে বিজেপি এগয়। সে রাজ্যেই হোক, অথবা কেন্দ্রেই হোক। কেন্দ্রের মিথ্যাচার ও ব্যর্থতার চিত্রটা একই। সাত বছরে সুশাসন দেওয়া তো দূরের কথা, মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছেন মোদি। সুশাসক মানে শুধু প্রতিবেশী দেশকে চাপের মুখে রাখা নয়, সুশাসক মানে কোনও ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে ভাগ করে একপক্ষের দিকে ঝোল টানা নয়, সুশাসক মানে দেশের মানুষের জীবনকে অস্তিত্বহীনতার দিকে ঠেলে দেওয়া নয়, সুশাসক মানে একরাশ আর্থিক অনিশ্চয়তা নয়। গত সাত বছরে মোদিবাবু আমাদের জীবনে শুধু অনিশ্চয়তা ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি, ভোটের বাজারে বাংলায় প্রচারে এসে ব্যঙ্গের সুরে তিনি যখন ‘দিদি দিদি’ বলে ডেকে মমতার ব্যর্থতার সাতকাহন শোনাচ্ছিলেন, তখন কি বুঝতে পারেননি, তাঁদেরই শাসিত রাজ্যগুলিতে ব্যর্থতার ঢল নেমেছে? দেশের মানুষ কিন্তু বুঝেই গিয়েছেন, মোদি সরকার আসলে ব্যর্থতার এক সুবিশাল জাদুঘর। যেখানে তাঁদের ব্যর্থতাগুলিকে সাজিয়ে রাখা যায়। তাই রাজ্যে রাজ্যে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীদের গোডাউনে ভরে শোকেসে নতুন মুখ্যমন্ত্রী সাজিয়ে দিলেই কিন্তু সবকিছু নতুন হয়ে যাবে না। সুরাহা মিলবে না। কেননা আসলে সব রশিই তো মোদি-শাহের হাতেই। সুতরাং যদি সরাতেই হয়, তবে আগে মোদিকে সরাতে হবে। সেটাই হবে রোগের প্রকৃত চিকিৎসা। বদল করলে মূল মাথাটাকেই বদল করা দরকার।  
কেন তাঁকে আগে সরানো দরকার? কোথায় তাঁর ব্যর্থতা? মোদির ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যর্থতার তালিকা করা খুব কঠিন। তুলনায় তাঁর সাফল্যের তালিকা করা খুব সহজ। কেননা সাফল্যের তালিকা খুব ছোট। ছত্রিশ ইঞ্চি ছাতি, পাকিস্তানকে ভয় দেখানো, গোরক্ষকদের প্রতিপালন, মন্দির নির্মাণ, বড় বড় মূর্তি নির্মাণ, নিত্য নতুন দামি দামি স্যুট পরা, দামি কলম, পারফিউম ব্যবহার করা, ব্যস। 
ব্যর্থতার তালিকা আর কী লিখব! তার খবর জানে আসমুদ্রহিমাচল। জানেন দেশের ভুক্তভোগী মানুষ।  জ্বালানি তেল আর গ্যাসের দাম বাড়িয়েই যে মুনাফা মোদি সরকার লুটছে, পৃথিবীতে তার কোনও দ্বিতীয় নজির নেই। এত দাম বাড়ানোর কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু সরকারের দারিদ্র ঘোচাতে গেলে, নিজের কৌপিন সামলাতে গেলে ওই দাঁওটুকু না মারলে তাঁর চলবে না। এছাড়া শিল্পের যে গল্প শুনেছিলাম, তাও আজ ভোকাট্টা। মোদিজির ভুল সিদ্ধান্তে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের ভরসায় দিন কাটানো প্রবীণদের জীবনে নেমে এসেছে অভিশাপের ছায়া। অনেকে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন, অনেকে মোদিজিকে অভিসম্পাত দিয়ে নিত্যদিন চোখের জল ফেলছেন। 
মোদিজির মিথ্যাচারকে ধরিয়ে দিয়েছে কৃষক আন্দোলনও। সেই আন্দোলন বুঝিয়ে দিয়েছে কোন কোন বিত্তশালীদের নির্দেশে তিনি সরকার চালাচ্ছেন।   দিল্লিতে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কৃষকদের যে আন্দোলন দিল্লিতে শুরু হয়েছিল, তার বর্ষপূর্তি হয়ে গিয়েছে। মোদিজির হুমকি, দেশদ্রোহিতার মিথ্যা তকমা তাঁদের নড়াতে পারেনি। উল্টে ১৩ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর এখন  সেই আন্দোলন নিয়ে কাঁপুনি ধরেছে মোদি সরকারের। কেননা উত্তরপ্রদেশে ভোটের আর দেরি নেই। তাই দিল্লি থেকে কৃষকদের সরিয়ে দিতে না পারলে, তা ব্যুমেরাং হয়ে যাবে। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি এই কৃষক আন্দোলনকে দুর্বল করতে পারেনি। এই আন্দোলনে হিন্দু কৃষক, মুসলিম কৃষক, শিখ কৃষক, জাঠ কৃষক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং বিভাজনের রাজনীতির ফায়দা যে এখানে তোলা যাবে না, সেটা ভালো করেই বুঝে গিয়েছেন মোদিবাবু। 
আর ব্যর্থতার শেষতম নিদর্শন পেগাসাস কেলেঙ্কারি। এমন নির্লজ্জ চৌর্যবৃত্তি এর আগে দেশের অন্য কোনও সরকার করেনি। এখন সুপ্রিম কোর্টের ধাতানিতে তাদের মুখে কুলুপ। উত্তর দেওয়ার জায়গা নেই। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেন্দ্র বিষয়টি মানে মানে এড়িয়ে যেতে চাইছে। তবে এই পলাতক মানসিকতা তাঁর দুর্বলতা এবং সরকারের ভুলকে প্রতিষ্ঠা করে দিচ্ছে। সব বিচার কি আর আদালতে হয়? মানুষের আদালত বলে তো একটা কথা আছে। সেখানে ইতিমধ্যেই অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 
তবে প্রবাদগুলো তো মিথ্যে নয়! চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায় কিংবা পাপ কখনও বাপকে ছাড়ে না। মোদিজিকে ছেঁটে ফেলতে না পারলে ভুলের সাগর আরও বিস্তৃত হবে। সেটা দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। এখন শুধু সুযোগের জন্য দিন গোনা। 
15th  September, 2021
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের (বিপক্ষ কেকেআর)

07:02:00 PM

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৩ আসনে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৫টা অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

06:35:21 PM

সন্দেশখালিতে গেল এনএসজি টিম

05:12:03 PM

দেখে নিন ৩টে অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): দুপুর ৩টে অবধি গোটা দেশে মোট ...বিশদ

04:16:36 PM

বিহারের মুঙ্গেরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

03:52:19 PM

বিকেল ৩টে অবধি বাংলার ৩ আসনে ভোট পড়ল ৬০.৬০ শতাংশ
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৩টে অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

03:47:00 PM