Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার মহিলাদের জীবনে
এই ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ
হিমাংশু সিংহ

শেষে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে এসে চার চারটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিল মোদি-অমিত শাহের কেন্দ্রীয় বাহিনী। রক্তাক্ত হল নির্বাচন। বাংলার ভোট ইতিহাসে যা বেনজির। গুরুতর জখম হতে হল চোদ্দ বছরের এক নিরীহ কিশোরকেও। কোনও নিন্দাই এই ‘ট্রিগার হ্যাপি’ বাহিনীর জন্য যথেষ্ট নয়। এর থেকেই বোঝা যায় বাহিনীর হাতে বাংলার মানুষ মোটেই নিরাপদ নয়। বরং আরও বেশি বিপন্ন। রেকর্ড আট দফায় ভোট, হাজার হাজার জওয়ান, বাইরের পুলিস, বহিরাগত গুন্ডা, সবই বাংলা দখলের জন্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা কাজ করছে। প্রশ্ন উঠছে একটা নির্বাচনকে ঘিরে এই আগ্রাসন কেন? সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিশেষ করে এই বঙ্গের শান্তিপ্রিয় মহিলারা এই প্রহসন মেনে নিতে নারাজ। তাই দিল্লির সরকারের রকমসকম দেখে তাঁরা নীরবে ফুঁসছেন।
বাংলার ভাগ্য নির্ণায়ক নির্বাচনে বহিরাগত গুন্ডাদের রুখে দিতে তাই দলে দলে মহিলারা ক্রমশ এগিয়ে আসছেন। তার প্রমাণ ভোটের লাইনে মহিলাদের ঢল। আশার কথা, ভোট যত এগচ্ছে মহিলাদের উৎসাহও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কারণ এ রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোটারের মধ্যে ৪৮ শতাংশই মহিলা। সংখ্যাটা কম নয়, সাড়ে তিন কোটির আশপাশে। তাই এবারের হাড্ডাহড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলার মা বোনেদের রায় নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একটা ভোটকে কেন্দ্র করে সমাজটাই যখন দলবদলু আর বেইমানে ভরে গিয়েছে। আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে মানুষ। আর এই বিভাজনের উপর দাঁড়িয়েই দলীয় সংগঠন নয়, বাইরের শক্তির উপর ভর করে যখন রাজ্য দখলের ছক কষছে গেরুয়া শিবির!
একটা কথা প্রায়শই বলা হয়, বাংলার মহিলারা হাজারো দুঃখ দুর্দশা সহ্য করতেও রাজি, কিন্তু বিশ্বাসভঙ্গ দেখলেই সপাটে রুখে দাঁড়ান। প্রয়োজনে দু’দিন না খেয়ে থাকবেন, শাড়ির খুঁট বারবার দাঁতে কাটবেন, চোখের জল ফেলবেন, কিন্তু বেইমানদের প্রতি একআনা করুণাও নৈব নৈব চ। প্রেমে, অপ্রেমে, রাজনীতি থেকে সমাজজীবনে এমনকী খেলার মাঠে পর্যন্ত সর্বত্র বাঙালি নারী এব্যাপারে আপসহীন। অসম্ভব জেদি, কঠোর ও অকুতোভয়। তার জন্য যে কোনও মূল্য দিতেও সে পিছপা হয় না। প্রয়োজনে মাটিতে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি নিতেও তাই কুছ পরোয়া নেই। কিন্তু রং বদলানো গিরগিটিদের যেমন সে ক্ষমা করে না, তেমনি বিশ্বাসভঙ্গের সম্পর্ককেও বয়ে বেড়াতে খুব একটা ভালোবাসে না। এটাই বঙ্গ নারীর চিরকালীন ইউএসপি। তা রক্তের প্রতিটি কোষে, ডিএনএ’র সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। স্বস্তি আর স্বাচ্ছন্দ্য চাইলেও ভালোবাসে না ক্ষমতা আর টাকার উচ্চকিত আস্ফালন, মোটা টাকায় নেতা কেনাবেচা। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে বেপরোয়া দখলদারি, দেওয়া নেওয়ার নামে নিছক ভণ্ডামি বঙ্গ ললনাদের কোনওদিনই পছন্দ নয়। মেরুকরণে বিভক্ত সমাজকে বরাবর মা-বোনেরা ঘৃণার চোখেই দেখে এসেছেন। উল্টে একটা সবুজ শান্তির নীড় খোঁজে সে যার ভিত্তিই হচ্ছে অকৃত্রিম বিশ্বাস। সেই সঙ্গে একটা সম্মানজনক বোঝাপড়া। সেই মতোই একটা ছোট্ট স্বপ্নকে অনেক কষ্টে সাজানোর নিরন্তর প্রয়াস চলে তাঁর। ইতিহাসের আবহমান ধারায় কোনও দল, কোনও ইজম কিংবা মতবাদ, রাজনৈতিক আগ্রাসন সহজে বাংলার নারীর চরিত্রের এই বজ্রকঠিন অথচ শান্ত কোমল দিকটার বদল ঘটাতে পারেনি। আজও পারবে না। এখানেই সে অনন্যা। অপরাজেয়। বাংলার সেই ঐতিহ্য ও সামাজিক শান্তির ঘেরাটোপটাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এবারের নির্বাচনেও বাঙালি মহিলারা চোয়াল শক্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে প্রস্তুত। বলা বাহুল্য, কোনও বাধা না মেনেই সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিচ্ছেন এবং সুস্পষ্ট মতাধিকার প্রয়োগ করছেন। নিঃসন্দেহে যা আশার কথা। এখানেই পরাজয় ঘটেছে গেরুয়া শক্তির। কারণ বাংলা দখল করতে গিয়ে তাঁদের নেতারা প্রথমেই হত্যা করেছে মানুষের বিশ্বাসটাকে। প্রশ্রয় দিয়েছে বেইমানিকে।
তাই অবিশ্বাসে ঘেরা দলকে হারিয়ে বাংলাকে বাঁচাতে, এই বঙ্গের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে বাঙালি নারীর এক একটি ভোটের গুরুত্ব আজ অপরিসীম। ওখানে কোনও ভুলচুক হলে তাঁদের স্বাধীন মাথা উঁচু করে চলা অস্তিত্বটাই আগামী পাঁচ বছর বিপন্ন হতে বাধ্য। টালমাটাল হতে পারে তাঁর বড় চেনা পারিপার্শ্বিক সমাজটাই। এখানকার রাজনৈতিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস একটা চূড়ান্ত আগ্রাসী মনুবাদী দলের পুরুষতান্ত্রিকতায় হারিয়ে যাবে। ভুললে চলবে না, সামান্য একটা নির্বাচনই আজ আমাদের সমাজ চিন্তার গোড়ায় আঘাত করতে উদ্যত। এই সন্ধিক্ষণে তাই নিজের সঙ্গে গোটা সমাজের রসাতলে যাওয়া থেকে বাংলাকে রুখবেই আটপৌরে ঘরের মা, বোনেরা। এটা তাই সামগ্রিক নারীজাতির কাছে মুঠি শক্ত করে রুখে দাঁড়িয়ে শপথ নেওয়ারও উচিত সময়।
ইতিমধ্যেই যে ক’দফা ভোট হয়েছে তাতে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উঠে এসেছে মহিলাদের লম্বা লাইন। যা আশা জাগিয়েই শুধু ক্ষান্ত হয়নি, প্রমাণ করেছে প্রত্যয়ী মুখে বর্গীর হানাদারি রুখতে বঙ্গ নারী কতটা অকুতোভয়। বোমা, গুলি, লাঠি কিছুই তাঁকে বশ মানাতে ব্যর্থ। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন মুখ্যমন্ত্রী যখন অভিযোগ পেয়ে বয়ালের স্কুলে ঘাঁটি গেড়ে বসে তখনও দেখা গেল প্রত্যন্ত গ্রামের একদল মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোটাছুটিতে ভয় না পেয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে লাইনে। পিছন পিছন আসছেন আরও অনেকে। ওই মা বোনেরা ভয় কাকে বলে জানেন না। ভোটার কার্ডটা বুকে আগলে মতদানের এই প্রবল উৎসাহ কীসের ইঙ্গিত? বহিরাগতদের ঠেকানোর? এই প্রশ্ন নিয়ে সেফোলজিস্টদের মধ্যে নিরন্তর গবেষণা চলছে, চলুক। কিন্তু সবকিছুকে আমল না দিয়েই আগামী চার দফাতেও সেই উৎসাহ হারও দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ভোটযন্ত্রে যে আছড়ে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। গণ্ডগোল দেখেও ভোটের লাইন থেকে কিছুতেই সরতে দেখা যায়নি মা বোনেদের। এই শক্তিটা তাঁরা পাচ্ছেন কোথা থেকে? নন্দীগ্রাম থেকে আরামবাগ পেরিয়ে পুরশুড়া কিংবা খানাকুল গোটা দিন সেই একই চিত্র। 
আসলে এই শক্তি তাঁরা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই। তাঁরা জানেন দশকের পর দশক ধরে যেটুকু স্বাধীনতা তাঁরা লাভ করেছেন তা কিছুতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তাই বিশ্বাসঘাতক আর অসৎ ধান্দাবাজ দলবদলুতে ভরা একটা চরম সাম্প্রদায়িক দলের পক্ষে বাংলার মহিলারা তাঁদের আস্থাসূচক ভোটটা দিতে কিছুতেই রাজি নন। গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা লোকলস্কর টাকার বস্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও না। অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁরা দেখেছেন, অজ গ্রামের মেয়ের দূর দেশের পক্ষীরাজে চেপে উড়ে আসা অচেনা রাজপুত্রের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ টেকে না। ভেঙে যায়। ওসব হাতিশালে হাতি আর ঘোড়াশালে ঘোড়ার গল্প আজ আর মা বোনেরা খুব একটা বিশ্বাসও করতে চান না। তাঁরা তাই গত চার দশকের পরীক্ষিত নেতানেত্রীদের উপরই আস্থা রেখে এগতে চান। জীবনের অভিজ্ঞতাই তাঁদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
মহিলাদের জন্য কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মহিলাদের সম্মান দিতে কন্যাশ্রী দিয়েছেন। যা আজ বিশ্বমঞ্চেও সমাদৃত। পরিবারের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা গৃহকর্ত্রীর নামে করে বাংলার নারীজাতিকেও বিরাট স্বীকৃতি দিয়েছেন। ১৮ বছরের উপর সব বিধবাকে ভাতা দিয়ে তাঁদের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করেছেন। স্কুলের ছাত্রীরাও পেয়েছে সবুজসাথীর সাইকেল। ট্যাবের জন্য দশ হাজার টাকা। এটুকু স্বীকৃতি আর সম্মান তো আগে কেউ দেয়নি। সেই সঙ্গে একটা পরিচয় দিয়েছেন। সেই পরিচয়টা হচ্ছে, আপনি যে রাজ্যে থাকেন তা শাসন করেন একজন অসমসাহসী লড়াকু মহিলা, যাঁর সাহস আর তেজের সামনে মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয় দিল্লির সরকারও। আর এই গৌরবগাথার উল্টোদিকে বিজেপি হুঙ্কার দিচ্ছে, ক্ষমতায় এলে অন্যরাজ্যের মতো লাভ জিহাদ বন্ধে কড়া আইন করবে। আর অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড তৈরি করে মেয়েদের গায়ে হাত তুলবে, বিচার করবে। কতবড় স্পর্ধা। মহিলাদের স্বাধীনতা হরণ করার এই অপচেষ্টা এবং সঙ্ঘের মনুবাদী সমাজে মহিলাদের কোণঠাসা অবস্থানের কথা বুক ফুলিয়ে বলার জন্য একদিন অন্তর রাজ্যে আসছেন উত্তরপ্রদেশের এক ভণ্ড যোগী। দিচ্ছেন নারী সুরক্ষার লম্বা চওড়া ভাষণ। অথচ, জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্টই বলছে, উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, নির্যাতন লাফিয়ে বাড়ছে। যাঁর নিজের রাজ্যেই মহিলারা সুরক্ষিত নয়, সেই মুখ্যমন্ত্রী উড়ে এসে বাংলার মা বোনেদের সুরক্ষার কথা বলেন কোন আক্কেলে? চার দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। বাকি আরও চার দফা। কলকাতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মতদান এখনও বাকি। তাই এই সময়টা সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কারণ, এই নির্বাচনের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে, এই রাজ্যের নারী জাতির সম্মান শেষ পর্যন্ত থাকবে না যাবে। 
শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্ব আজ একজন মহিলার নামেই পশ্চিমবঙ্গকে চেনে। এই ব্যাপারে এলিট জ্যোতি বসুর চেয়েও আমাদের অগ্নিকন্যা কয়েক যোজন এগিয়ে। কারণ তিনি নিজের তৈরি করা সাধারণ মানুষের আস্থা জাগানো দলের অদ্বিতীয় নেত্রী। সেই সঙ্গে এ দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও বটে। এ বড় কম কথা নয়। বাংলার গর্ব 
এই মাটিতে বড় হয়ে ওঠা আপসহীন সাধারণ ঘরের মাথা উঁচু করা এক মহিলাকে হারাতে টাকা আর পেশিশক্তির নিরন্তর অপব্যবহার করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শত্রু মিত্র কেউ এই সহজ সত্যটা অস্বীকার করতে পারবে না। যত বড় ঝড়ই আসুক দমে না গিয়ে এক পা জখম নিয়েও যিনি বলতে পারেন, খেলা হবে। গোল হবে। জেতা হবে। এটাই তাঁর জিত। জগৎ কাঁপানো সেই মহিলার হ্যাটট্রিকের খেলাতেও তাই এই বঙ্গের প্রতিটি মহিলা তাঁদের অসামান্য যোগদানটুকু রাখতে বদ্ধপরিকর।
11th  April, 2021
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৪ রানে আউট আন্দ্রে রাসেল, কেকেআর ২০৩/৩ (১৫.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:59:31 PM

আইপিএল: ৭৫ রানে আউট ফিলিপ সল্ট, কেকেআর ১৬৯/২ (১৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:57:06 PM

আইপিএল: কেকেআর ১৯৭/২ (১৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:55:16 PM

আইপিএল: কেকেআর ১৯০/২ (১৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:53:00 PM

আইপিএল: ৭১ রানে আউট সুনীল নারিন, কেকেআর ১৪৩/১ (১০.৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:45:38 PM

আইপিএল: ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি ফিলিপ সল্টের, কেকেআর ১১৮/০ (৯ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:33:07 PM