Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি। মাওবাদীদের অত্যাচারে মানুষ মুখ খুলতে পারত না। বিগত বাম সরকারও সেভাবে জঙ্গলমহলে সুশাসন কায়েম করতে পারেনি। জঙ্গলমহলের মানুষের মনে সহানুভূতি আদায় করার লক্ষ্যে কোনও উন্নয়ন করতে পারেনি। তাই জঙ্গলমহল মাওবাদীদের অবাধ রাজত্বে পরিণত হয়েছিল। মাওবাদীদের প্রসঙ্গে নকশাল নেতা সন্তোষ রানা একসময় বলেছিলেন, ‘জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা শুধুই প্রভাব বিস্তার করলেন, কিন্তু সেখানকার মানুষদের নিয়ে মাথা ঘামালেন না।’ তাই যতটা না ভক্তিতে, তার থেকে বেশি ভয়ে মাওবাদী একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল জঙ্গলমহলের মানুষ।
এই অনুন্নয়নের জায়গাটাকে ধরতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝেছিলেন, জঙ্গলমহলের উন্নয়ন করতে না পারলে মাওবাদীদের নাগপাশ থেকে তাকে বের করা যাবে না। তাই তিনি ক্ষমতায় এসেই জঙ্গলমহলের মুখে হাসি ফোটাতে সচেষ্ট হলেন। সেখানে আনলেন উন্নয়নের জোয়ার। আমরা হতদরিদ্র আমলাশোল, বেলপাহাড়ি দেখেছি। দেখেছি অভুক্ত দুখীরাম টুডু আর গুণধর বাস্কেদের। তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সেখানে নতুন ভাষ্যে উন্নয়নের প্রকাশ দেখতে পেলাম। ঝাঁ চকচকে রাস্তা, স্কুল, শিক্ষা, খাদ্য, বাসস্থান, চাকরির সুযোগ—সবকিছু দিয়ে এতদিনের বঞ্চিত আদিবাসী সমাজকে নতুন জীবনের স্বাদ এনে দিলেন মমতা।
সিপিএমের একচ্ছত্র আধিপত্যের মূল উপড়ে ফেললেন তিনি। সেই শূন্যস্থানে ধীরে ধীরে বিরোধী দল হিসেবে প্রবেশ করল বিজেপি। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করে বিজেপি সেখানে পদ্ম ফোটাল। সেই ধারাবাহিকতা দেখা গেল লোকসভার নির্বাচনেও। আসলে সেদিন তৃণমূল নেতাদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছিল জঙ্গলমহলের অধিকাংশ মানুষ। তাই তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর এক বছর কেটে গিয়েছে। ক্রমেই বিজেপির প্রতি বীতরাগ জন্মাচ্ছে সেখানকার ভূমিপুত্রদের। তাঁরা দেখেছেন, কীভাবে ধীরে ধীরে আরএসএসের নির্দেশে আদিবাসী সমাজকে হিন্দুত্বের গণ্ডিতে টেনে আনার চেষ্টা চলছে। আরএসএসের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক মন্দির তৈরি হচ্ছে। এতে মানসিকভাবে আঘাত লাগছে কুর্মি, মাহাত, সাঁওতাল-সহ আদিবাসীদের ধর্মীয় আবেগে। আদিবাসীরা মনে করছেন, আরএসএস এখন তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসী প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
এর মধ্যেই ছিল এনআরসি’র আতঙ্ক। ভারতের অন্যান্য এলাকার মতো আদিবাসী সমাজেও আতঙ্কের ঢেউ তুলল কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। এইসব দরিদ্র, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, আজীবন বঞ্চিত মানুষ তাঁদের ‘ডকুমেন্ট’ পাবেন কোথা থেকে? তাহলে কি তাঁদের আশ্রয় নিতে হবে কোনও এক ডিটেনশন ক্যাম্পে? ভিতরে ভিতরে ফুঁসছিলেন তাঁরা। আবার হয়তো একটা বীরসা মুন্ডা বা সিধুকানহোর ইতিহাস তৈরি হতো। লেখা হতো নতুন উলগুলানের গল্প।
আদিবাসী সমাজের এই মনোভাব বুঝেছে বিজেপি। বুঝেছে আদিবাসী সমাজের ক্রমে দূরে সরে যাওয়ার কারণও। তাই কিছুটা নরম হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা বলেছিল, রামমন্দিরের ভূমিপূজনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মাটি ও জল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অযোধ্যায়। সাঁওতালদের পবিত্র ক্ষেত্র সারনা ও জাহের থানের মাটিও নিয়ে যাওয়া হবে রামজন্মভূমিতে। কিন্তু রামচন্দ্রের মন্দির নির্মাণের জন্য তাঁদের ধর্মস্থানের মাটি দিতে অস্বীকার করল সাঁওতাল সমাজ। সারা ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সুপ্রিমো রামচন্দ্র মুর্মু বললেন, আদিবাসী সমাজকে হিন্দু ধর্মে শামিল করার এটা একটা চক্রান্ত। আসলে মোহন ভাগবতরা দীর্ঘদিন ধরে চাইছেন হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য সাঁওতালদের হিন্দুত্বের তালিকায় নথিভুক্ত করতে। এতে দেশে হিন্দুত্বের সংখ্যা অনেক বেশি দেখানো যাবে। আরএসএসের এই ফাঁদে পা দিতে রাজি নয় আদিবাসী সমাজ। তাঁদের মতে, এই ফাঁদে পা দিলে সাঁওতাল আদিবাসীদের জাতি, ধর্ম, সমাজ সংস্কৃতি সব শেষ হয়ে যাবে। ক্রমে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব যত বাড়বে, জঙ্গলমহল থেকে বিজেপি ততই তার মাটি হারাবে। তা অনেকটা প্রকট হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে সবুজ হয়ে উঠছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা বিজেপিকে চায় না। সেখানে বিজেপি ক্ষমতা-বিচ্যুত। পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী সমাজের মানুষও তৈরি হয়েই আছে। শুধু ভোটের অপেক্ষা।
সেইসঙ্গে আছে জঙ্গলমহলে বিজেপির আপন ঘরের কোন্দল। যতদিন যাচ্ছে, একটু একটু করে ভাঙছে জঙ্গলমহলে বিজেপির সংগঠন। জঙ্গলমহলকে দখলে রাখতে বিজেপি সেখানে অনেক টাকা ঢেলেছে। সেই টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু। দল, উপদল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এইসব চেনা গল্প জড়াচ্ছে বিজেপিকে ঘিরেও। দলে জন্ম নিচ্ছেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। তারই ফলে জঙ্গলমহলে দল ভেঙে আবার সব ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। বিজেপির ভাষাতেই যাকে বলা যায় ঘরওয়াপসি। তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ একদিন জঙ্গলমহলের মানুষকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছিল, আজ বিজেপির দিকে তাকিয়ে তাঁদের মনে সেই একই ক্ষোভই জন্মাচ্ছে। ফলে আবার সবুজের আভা ফিরছে জঙ্গলমহলে। দল বেঁধে অনেকেই ফিরছেন তৃণমূলে। ঘাসফুল আবার সেখানে আশায় বুক বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নতুন করে সংগঠন সাজাচ্ছে।
এসব দেখে বিজেপি অনেকটাই আননার্ভড। তারা দিনে দিনে উপলব্ধি করছে যে, সেখান থেকে তাদের পায়ের তলার মাটি আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। তারাও তাই পাল্টা প্রচারে নেমেছে। গেরুয়া শিবির এখন জোরকদমে প্রচার চালিয়ে বলছে, ‘ওই দেখ, ছত্রধর মাহাতকে জঙ্গলমহলে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। ছত্রধরের ইতিহাস সবাই জানেন। উনি আসলে এখানে ফের মাওবাদী সংগঠন গড়ে তুলতে চান এবং সেটা তৃণমূলের পৃষ্ঠপোষকতায়।’ জঙ্গলমহলে এখন মাওবাদীদের ম-ও নেই। তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের ঢেউয়ে জঙ্গলমহল নতুন আর একটা সকালের স্বপ্ন দেখছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়াম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাতে হাতে কাজ, আবাসন প্রকল্প, পুষ্টিবাগান প্রকল্প ইত্যাদি ঘিরে দারুণ উৎসাহ। এর মধ্যে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। সাঁওতালি ভাষাতেই এবার নেওয়া যাবে ডিএলএড। এবছর প্রথম সাঁওতালি ভাষায় পরীক্ষা দিয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। তাদের জন্য সাঁওতালি মাধ্যমে কলেজ খোলা হচ্ছে। রাজনীতির বাইরে এ এক অন্য আলো। যে আলো অনুন্নয়নকে ঘাড় ধরে বের করে মানুষের মধ্যে আলোর স্পর্শ এনে তাকে নতুন বোধে জাগিয়ে তোলে।
জঙ্গলমহলের মানুষ আগে সিপিএমকে বলত, চোর আর তৃণমূলকে বলত, ডাকাত। এখন বিজেপিকে বলছে, মাফিয়া। যে তোলাবাজির কারণে একসময় জঙ্গলমহল এলাকায় তূণমূলকে হার স্বীকার করতে হয়েছিল, যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করেছিল, আজ সেই কারণে আদিবাসী সমাজ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির থেকে।
একদিকে মমতার উন্নয়নের ইতিবাচক দিক, অন্যদিকে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নেতিবাচক দিক—এই দুইয়ের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন ঘরে ঘরে ভাত ফোটার গন্ধ। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন নতুন প্রজন্মের চোখে শিক্ষার স্বপ্ন, বড় হওয়ার স্বপ্ন। জঙ্গলমহলজুড়ে এখন মানুষের বেঁচে থাকার বিশ্বাসের স্বপ্ন। এই স্বপ্নের শক্তিকে নষ্ট করার মতো আর কোনও শক্তি আছে কি? অঞ্জনা সোরেন, ত্রিলোচন মাহাতরা এখন আর পিছু ফিরতে চাইছেন না। আবার সবুজ হয়ে ওঠা জঙ্গলমহলই ওদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
ক্ষমতায় আসার পর যে উন্নয়নটুকু হয়েছিল, সেটা তৎকালীন তৃণমূলের নেতারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেননি। এর আগের বার উন্নয়নের সেই বাস্তবতাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়নি। এবার আর তৃণমূল সেই ভুল করতে রাজি নয়। উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রচারে নেমে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, ভুল থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে। প্রতিটি ব্লক ধরে তৈরি হচ্ছে উন্নয়নের তথ্যচিত্র। সেসব দেখে মানুষ মিলিয়ে নিতে পারবে, তাদের জন্য কী হয়েছে, এবং তথ্যচিত্রে কী দেখানো হচ্ছে। পরিস্থিতি আবার নতুন করে জঙ্গলমহলের মানুষকে ভাবাচ্ছে। তাদের মনের দিকবদল হচ্ছে।
তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার। আগের বার দলীয় নেতৃত্বের খেয়োখেয়ি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু দলের পক্ষে অভিশাপ ডেকে এনেছিল। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। জঙ্গলমহলে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থাকলেও তাকে পিছু টেনে ধরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই। জঙ্গলমহলে উন্নয়নের সোনালি প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের অগ্রগতির মধ্যে এটাই কেবল একটা কাঁটার খোঁচা রয়ে গিয়েছে।
05th  August, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৮ রানে আউট শ্রেয়স আয়ার, কেকেআর ২৪৬/৪ (১৮.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:13:00 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট আন্দ্রে রাসেল, কেকেআর ২০৩/৩ (১৫.৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:10:16 PM

আইপিএল: কেকেআর ১৯৭/২ (১৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

09:06:39 PM

আইপিএল: ৭৫ রানে আউট ফিলিপ সল্ট, কেকেআর ১৬৯/২ (১৩ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:57:06 PM

আইপিএল: কেকেআর ১৯০/২ (১৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:53:00 PM

আইপিএল: ৭১ রানে আউট সুনীল নারিন, কেকেআর ১৪৩/১ (১০.৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

08:45:38 PM