Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীনের নতুন পুতুলের নাম পাকিস্তান
হারাধন চৌধুরী 

পাকিস্তান ছিল আমেরিকার পুতুল। এবার সেটা হাত বদলে চীনের হয়েছে। চীনের কোনও কিছুর গ্যারান্টি নেই। যেমন তাদের কথা আর বিশ্বাসের মূল্য, তেমনি চীনা প্রোডাক্টের আয়ু। এ নিয়ে চালু রসিকতাও কম নয়। মোটামুটিভাবে সকলে ধরে নেন যে, ‘মেড ইন চায়না’ মানে যে-কোনও মুহূর্তে জবাব দিতে পারে। যত দামি জিনিসই হোক না কেন, বিশ্বাসযোগ্যতার নিরিখে চীনা প্রোডাক্ট এখনও ‘ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো’র বেশি গুরুত্ব আদায় করতে পারেনি। অন্তত ইন্ডিয়ান মার্কেটে। আর চীনে তৈরি ভীষণ সস্তার পুতুল কতক্ষণ টিকবে, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। জিনিসটা নিয়ে আশঙ্কাই বেশি। যে জিনিস শিশুদের হাতে উঠছে, সেটা কতটা নিরপদ? শুধু শ্রমিকদের শোষণ করেই কি এত সস্তায় বিদেশে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব? কী উপাদান বা বস্তু দিয়ে পুতুল তৈরি হচ্ছে সেটাই মূল প্রশ্ন। পুতুলগুলো হাসপাতালের বিপজ্জনক বর্জ্য দিয়ে তৈরি কি না সেই সংশয় আগেই জেগেছে। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার দায় চীনের কাঁধে চাপার পর জিনপিংয়ের দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা যার পর নাই তলানিতে চলে গিয়েছে। ওইসঙ্গে যোগ হয়েছে করোনার টেস্ট কিট কেলেঙ্কারির ক্ষত। অনেকের মুখে মুখে ফিরছে কটাক্ষ—এখন মৃত্যুটাও মেড ইন চায়না! এই চীনের হাতের পুতুল হচ্ছে পাকিস্তান। পরম আহ্লাদেই। সে তাদের সমরতন্ত্রের স্বাধীনতা। কিন্তু পরিণামটা কি একবারও ভেবে দেখেছে ইমরান খান প্রশাসন? পাকিস্তান নামক খেলনাটা ইয়ুজ অ্যান্ড থ্রো হতে কতক্ষণ সময় নেবে? পাকিস্তানের কাছে চীনের প্রয়োজন একদিন ফুরোবেই। সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র মাত্রেই মাইগ্রান্ট প্যারাসাইট বা পরিযায়ী পরজীবী। তাদের অনেক প্রয়োজনই তাৎক্ষণিক। সেই প্রয়োজন মিটে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশটির প্রতি প্রেমে ভাটা পড়তে শুরু করে। একটা সময় পর অসৎ প্রেমিকের কাছে বিগত যৌবনা প্রেমিকার মতো ট্রিটমেন্ট জোটে। মনে করে দেখতে পারেন খান সাহেব, পরাধীন ভারতে পাকপন্থী নেতাদের তোল্লা দিত ব্রিটিশ রাজশক্তি। ভারত ভাগ করে উপমহাদেশকে দুর্বল এবং অস্থির করে রাখাই ছিল ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের কৌশল। কাশ্মীরসহ ভারত-বিরোধী একাধিক ইস্যুতে পাকিস্তানকে মদত জুগিয়ে গিয়েছে ব্রিটেন এবং তার পশ্চিমি বন্ধুরা। দীর্ঘকাল। আমেরিকাও পাকিস্তানের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কয়েক দশক।
বিপরীতে স্বাধীন ভারত দীর্ঘদিন এশিয়ার উত্থানে (এশিয়ানিজম) বিশ্বাসী ছিল। বিশেষ করে জওহরলাল নেহরুর আমলে। বামপন্থায় শ্রদ্ধাশীল নেহরু মূল ভরসা রেখেছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ার উপর। চীনকেও পাশে পেতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এই ব্যাপারে তাঁর মূল মন্ত্রণাদাতা ছিলেন আমেরিকা-বিরোধী এবং কমিউনিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসি রাজনীতিক-কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেনন। সহকর্মী সর্দার প্যাটেল এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কে এস থিমায়া নেহরুকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, বিশ শতকের জিওপলিটিক্সে ভারতের জন্য এটা একেবারেই ভুল পথ‌। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে শোধরাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৬২-তে চীন বিশ্বাসঘাতকতা করার পরই নেহরুর জোড়া মোহভঙ্গ হয়: চীন ও মেনন সম্পর্কে। তবু, নেহরু কোনও দিন আমেরিকার দিকে ঝোঁকেননি। তার একটা বড় কারণ, নেহরু আমেরিকার কাছে যতটা গুরুত্ব প্রত্যাশা করতেন আমেরিকা তা তাঁকে দেয়নি। নেহরু ভারতকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম বৃহৎ এক শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যগ্র ছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন বুঝিয়ে দিত যে, ভারত সম্পর্কে নেহরুর মূল্যায়ন অতিরঞ্জিত। তিনি ভারতকে ওভার এস্টিমেট করে ফেলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যাহাই পাকিস্তান, তাহাই ইন্ডিয়া। আয়তন বা জনসংখ্যার তফাতটাকে ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি। বাজার অর্থনীতির তত্ত্ব আজকের মতো সেদিনও গুরুত্বপূর্ণ থাকলে কী হতো, সে অবশ্য বলা মুশকিল।
মোদ্দা কথা, ভূরাজনৈতিক অবস্থানের বিচারে পাকিস্তানকে তারা ভারতের চেয়ে এগিয়েই রেখেছিল। সেই পাকিস্তানকে আমেরিকাসহ পশ্চিম আর বিশেষ পাত্তা দেয় না। বরং সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হিসেবে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার নানা ফরমান জারি করেছে তারা সাম্প্রতিক অতীতে। কাশ্মীর সম্পর্কে মোদি সরকারের নয়া অবস্থানকেও পশ্চিমের বেশিরভাগ দেশ সমর্থন করেছে। যারা প্রত্যক্ষভাবে পারেনি, তারা পরোক্ষে সমর্থন দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩৫ কোটি মানুষের দেশ ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে পশ্চিম এখন সমর্থন করছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমি শক্তির সঙ্গে ইমরান খান প্রশাসনের দূরত্ব ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন এবং মোদি সরকারের এতটা কাছাকাছি আসার রহস্য আপাতত একটাই—চীন। ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লি উভয়েরই চোখে চীন এক সন্দেহভাজন। ভয়ানক গোলমেলে দেশ। কোভিড-১৯ ইস্যুতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এশিয়া, আফ্রিকার অনেক দেশ চীনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। কিছু দেশ চীনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতেও সরব হয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু' চীনের কথায় চলছে। এই ব্যাপারে কিছুদিন আগে বিষোদ্গারসহ ট্রাম্প সাহেব ঘোষণা করে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতি বছর দেয়, এবার থেকে তা আর দেবে না। হু-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমেরিকা কটাক্ষ করার আগেই বহু দেশ ঝুঝে গিয়েছে, এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি আপাতত এক নিধিরাম সর্দার। বিশেষত কোভিড পরিস্থিতিতে হু বিশ্বকে গাইড করার নামে অনেকাংশে বিভ্রান্ত করেছে। হু-র এই অবনমনের পিছনে চীনের দায় কতটা তা নিয়ে গবেষণা নিশ্চয় হবে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, চীন যাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে তারই হাড়ির হাল হচ্ছে।
চীন এবার ভীষণভাবে ভর করেছে পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তানকে সরাসরি লালফৌজের সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ইমরান সরকার। জিনপিং খোয়াব দেখছেন, নড়বড়ে দেশটির মাটি-জল-আকাশ ব্যবহার করেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাবেন। সেনা বাহিনী এবং কুখ্যাত আইএসআইয়ের কথায় নেচে আধমরা দেশটাকে ইমরান সাহেব নতুন কোনও সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন না তো? দেশ গেলে তাঁর অবশ্য কিছু যায় আসে না। পূর্বসূরি পারভেজ মোশারফ বা নওয়াজ শরিফের মতো বিদেশে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে পারবেন। কিন্তু দেশটা গৃহযুদ্ধে আরও রক্তাক্ত হবে না তো? পাকিস্তানের নাগরিক সমাজকে এখনই ভাবতে হবে এই দিকটা।
একই ভয় হয় নেপালকে নিয়েও। নেপালের কমিউনিস্ট সরকার চীনের হাতে তামাক খেতে শিখেছে। একটু-আধটু না হয় ঠিক আছে। উপর্যুপরি দমক লাগলে ওলি সরকার সামলাতে পারবে কি? না—সেটা এখনই হলফ করে বলে দেওয়া যায়। রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথটা নেপালের মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশবাসী বহু রক্ত দিয়েছেন। চীনের কথায় আর কয়েক কদম হাঁটার পরিণাম নেপালের পক্ষে সুখকর নাও হতে পারে। ইতিমধ্যেই নেপালের শাসক গোষ্ঠী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছে। সুন্দর দেশ নেপালের ভূমিতে জিনপিংয়ের ছায়া যত দীর্ঘ হবে এই অস্থিরতা তত বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
চীনের অন্যতম বৃহৎ বাজারের নাম ভারত। পণ্য রপ্তানি থেকে শিল্পে লগ্নি—দু'দিক থেকেই। বিশ্রী রকমের এই সীমান্ত বিরোধের পরিণামে চীনের সেই বাজার যে নষ্ট হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বুঝেছে চীন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত ইংরেজি দৈনিক ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর নিত্যনতুন বিষোদ্গার আর শূন্যগর্ভ আস্ফালনেই এটা বেশি ধরা পড়ছে। সাম্রাজ্যবাদী চীন এই বাণিজ্য ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ভারতের সবক’টা প্রতিবেশী দেশকে টার্গেট করেছে। বিশেষভাবে টার্গেট করেছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের কিছু মানুষ এখনও মনে করে, একাত্তরে দেশটা স্বাধীন হয়নি। আসলে পাকিস্তান দু’টুকরো হয়েছিল। যাকে ‘ইসলামি উম্মাহ’ (জাতিগত একতা)-র উপর ‘হিন্দু ইন্ডিয়া’র চরম আঘাত বলে মনে করে। তারা এখনও নিজেদের ‘পাকিস্তানি’ ভেবে গর্ব বোধ করে। এই লোকগুলোকে বাগে রাখা হাসিনা সরকারের কাছে আজও এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই বিপথগামী শক্তির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশকে আর একটা উপনিবেশ করার চক্রান্তে লিপ্ত চীন। সেক্ষেত্রেও দোসর পাকিস্তান।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে ১৯৬৫-র সেপ্টেম্বরের কথা। হার্ড লাইনার পলিটিশিয়ানদের চক্করে পড়ে কাশ্মীর দখলের খোয়াব দেখেছিল পাকিস্তান। তুরন্ত মুখতোড় জবাব দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশের ভিতরে প্রবেশ করে। জুলফিকার আলি ভুট্টো তখন বিদেশমন্ত্রী। অগ্নিশর্মা ভুট্টো সাহেব রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জ্বালাময়ী ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে ‘হাজার বছরের যুদ্ধ’ (fight for a thousand years) ঘোষণা করে দিলেন! যদিও ১৯৬৫ ও ১৯৭১-সহ সবক'টি যুদ্ধেই পাকিস্তান গোহারা হয়েছে ভারতের কাছে। তারপরেও ভুট্টোর উত্তরসূরি জিয়া-উল-হক তাল মিলিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন ‘ভারতকে দগ্ধে দগ্ধে মারো’ (bleed India through a thousand cuts)। তস্করদের ছায়াযুদ্ধে ভারতের অনেক ক্ষতি নিশ্চয় হয়েছে। কিন্তু ভুট্টো এবং জিয়া-উল-হকের কী নির্মম পরিণতি হয়েছিল, ইমরান সাহেব ইতিহাসের পাতা উল্টে একবার দেখে নেবেন না এই সুযোগে? বাংলাদেশের সুশীল সমাজকেও আশা করি এটা ভাবাচ্ছে। 
02nd  July, 2020
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চোটের কারণে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছেন না কেকেআরের মিচেল স্টার্ক

07:28:29 PM

দেখে নিন ৫টা অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): বিকেল পাঁচটা অবধি গোটা দেশে গড়ে ...বিশদ

07:25:25 PM

আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের (বিপক্ষ কেকেআর)

07:15:19 PM

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৩ আসনে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৫টা অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

06:35:21 PM

সন্দেশখালিতে গেল এনএসজি টিম

05:12:03 PM

দেখে নিন ৩টে অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): দুপুর ৩টে অবধি গোটা দেশে মোট ...বিশদ

04:16:36 PM