Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। অথচ চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে গত ছ’বছরের তলানিতে ছুঁয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস যথেষ্ট ছেঁটেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ এমনকী স্বনামধন্য মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজও। গত অক্টোবরে শেষ রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে ৬.৯ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে। আইএমএফ ৭ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশ। মুডিজ ৬.২ শতাংশ থেকে ৫.৮ শতাংশ।
নোটবন্দির ঠিক পরে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারেরই জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার (এনএসএসও) রিপোর্টে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছিল গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। অতি সম্প্রতি গত ১ নভেম্বর স্বনামধন্য উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি)-র রিপোর্ট তুলে ধরল অর্থনীতির চাকা বসে যাওয়ার জেরে দেশে কাজের বাজারের আরও বিবর্ণ ছবি। দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশ। এই সংস্থার রিপোর্টে ২০১৬-র পরে সর্বোচ্চ। এমনকী ২০১৭ সালের এনএসএসও-র রিপোর্টের (৬.১ শতাংশ) থেকেও যথেষ্ট বেশি। বেকারত্বের বিবর্ণ ছবি গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট শিল্প পর্যন্ত বিস্তৃত। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসেই উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) শিল্প সমৃদ্ধির অর্ধেকের দাবিদার গাড়ি ও যন্ত্রাংশ শিল্পে ছাঁটাই চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই তিন লক্ষেরও বেশি। অবস্থা আরও অনেক বেশি সঙ্গিন অসংগঠিত ক্ষেত্রে।
সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা গত ৩০ অক্টোবর সর্বশেষ রিপোর্টে জানাল অক্টোবরে দেশের ৮টি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রে (কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারজাত পণ্য, ইস্পাত, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, সার) উৎপাদন সরাসরি কমেছে ৫.২ শতাংশ। গত ১৪ বছরে সব থেকে কম। উল্লেখ্য যে, শিল্পোৎপাদন সূচকে এই ৮টি ক্ষেত্রের অবদান ৪০.২৭ শতাংশ। শিল্পোৎপাদনেরও সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে গত আগস্টে শিল্পোৎপাদন কমেছে ১.১ শতাংশ যা গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন। গত জুনে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ গত ১৫ বছরে সর্বনিম্ন।
কৃষির সমৃদ্ধির হারও হ্রাস পেয়ে প্রায় ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কার্যত প্রায় সর্বক্ষেত্রে চাহিদার অভাবে যেখানে বেসরকারি লগ্নি তলানিতে, অর্থনীতির ঝিমুনি নিয়ে শিল্প থেকে অর্থনীতিবিদ প্রায় সবাই যেখানে চরম উদ্বিগ্ন সেখানে অর্থমন্ত্রী দাবি করে চলেছেন অর্থনীতি ঠিকঠাক চলছে। নগদের অভাব কোথাও নেই। বাজারে কেনাকাটা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় যথেষ্ট চাহিদা। ব্যাঙ্কগুলি দরাজ হাতে ঋণ বিলি করছে। গাড়ি বিক্রি কমার দায় চাপাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের পরিবর্তিত পছন্দের উপর। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খারাপ অবস্থার দায় দিচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের উপর। তথাপিও স্বীকার করতে রাজি নন যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবর্ণ। কিন্তু বাস্তবটা উল্টো। সত্যকে স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছেন।
তবে পরোক্ষভাবে সত্যটা স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তরের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। সম্প্রতি আমেরিকার শিকাগোর একটি অনুষ্ঠানের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি গত এক দশকে ভারতের লগ্নির বিপুল ধাক্কা খাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন ভারতে ৫ বছরে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে লগ্নিই মূল হাতিয়ার। তিনি বলেছেন যে ২০০৮ সালে দেশে লগ্নির হার ছিল জিডিপির ৪০ শতাংশ। সেখানে ২০১৮ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে জিডিপির ২৯ শতাংশ। কৃষ্ণমূর্তির মতে, ২০২৫ অর্থ বছরে অর্থাৎ আগামী ৫ বছরে ৫ লক্ষ ডলার মোদির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে দেশে লগ্নি বাড়ানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। বর্তমান বছরে বাজেট পেশ করার সময়ে এই বছরের আর্থিক সমীক্ষায়ও কৃষ্ণমূর্তি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, যে দেশে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার বজায় রাখা তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানি গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় রাখা যায় (‘‘High Growth Rate Can Only be Sustained by a ‘Virtuous Cycle’ of Saving, Investment and Export’’)।
সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে গৃহস্থের সঞ্চয় ছিল জিডিপির ২৩.৬ শতাংশ। ২০১৭-১৮-তে কমে ১৭.২ শতাংশ। মোট স্থির মূলধন গঠনের অনুপাত ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপির ৩৬.৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮-তে কমে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানির অবস্থাও মোদির আমলে খুবই বিবর্ণ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় ছিল ৩১৪.৪ আমেরিকান বিলিয়ন ডলার। মোদি সরকার তার প্রথম ৪ বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সময়কালেও ইউপিএ আমলের শেষ বছরের পণ্য রপ্তানি আয়ের সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। শুধুমাত্র গত অর্থবর্ষেই (২০১৮-১৯) ২০১৩-১৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের সীমা অতিক্রম করতে পেরেছিল। বর্তমান বছরেও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির আশা ক্ষীণ। বিশ্ব শুল্ক যুদ্ধে ভারতের পক্ষে সুবিধা পাওয়াও যথেষ্ট দুষ্কর। অন্যদিকে আমেরিকার চাপে আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকছে কোথায়?
প্রশ্ন হল, দেশে সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির চাকা ঘুরবে কীভাবে? কীভাবে দেশে লগ্নি বাড়বে? বর্তমান বছরে বাজেটের পরে ৪ দফা দাওয়াই দেওয়ার পরেও অর্থনীতিতে লগ্নির গ্যারান্টি দেবে কে? চতুর্থ দফা দাওয়াইয়ে কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড়ের ফলে বর্তমান বছরেই রাজস্ব আয় প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কমতে চলেছে। এছাড়াও কমানো হয়েছে বিভিন্ন পণ্য পরিষেবায় জিএসটির হার। এমনকী বর্তমান অর্থবছরেই মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই দেশে ঋণের জোগান বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ১৩৫ বেসিক পয়েন্ট কমিয়েছে— যা একটি রেকর্ড। এর ফলে প্রবীণ নাগরিক সহ দেশের স্থায়ী সুদের আয়ের উপর নির্ভরশীল দেশের অধিকাংশ নাগরিকদের ব্যাঙ্ক ও স্বল্প সঞ্চয়ে আমানতি সুদ যথেষ্ট কমেছে। আমানতি সুদের উপর নির্ভরশীল অধিকাংশ জনগণের যথেষ্ট কষ্ট সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে একের পর এক ছাড় দিয়ে চলেছে দিল্লি। এত সুবিধা দেওয়ার পরেও নতুন লগ্নির কথা কার্যত মুখে আনছেন না লগ্নিকারীরা।
মূল সমস্যা হল অর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাহিদার চরম বিবর্ণ অবস্থা। আধুনিক অর্থবিদ্যার জনক জন মেনার্ড কেইনস-এর ‘‘The General Theory of Employment, Interest and Money (১৯৩৬)’’ গ্রন্থের প্রধান উপপাদ্য বিষয় ছিল ‘‘The Principle of Effective Demand’’ বা কার্যকরী চাহিদার নীতি। এর মূল বিষয় হল সারা বিশ্বে প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম মৌলিক বিষয় হল জনগণের কার্যকরী চাহিদা। দেশে দ্রব্য ও সেবাকার্যের জন্য জনগণের কার্যকরী চাহিদার প্রসার ঘটলেই উৎপাদন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি সবকিছুরই প্রসার ঘটবেই। ১৯৩০ সালের বিশ্বমন্দার অন্যতম প্রধান কারণ যে জনগণের কার্যকরী চাহিদার চূড়ান্ত অভাব তা তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থে তুলে ধরেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে দেশের চাহিদার এরূপ বিবর্ণ অবস্থা ফেরানো সম্ভব? এ অবস্থা ফেরানোর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন কর্মসংস্থান ও চাকরির দ্রুত প্রসার ঘটানো এবং বর্তমান ছাঁটাই অনেকাংশে রদ করা। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ানো। গত ৫ বছরে বেসরকারি ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার করেও বিনিয়োগ বাড়েনি। বরং বেসরকারি ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধার মাত্রা বাড়ালেও তারা সাধারণত বিনিয়োগ করে না। বর্তমান বাজেটেই কর্পোরেটদের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা রাজস্বের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত ৮ মাসে ১৩৫ বেসিক পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর ফলে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় ঋণে সুদের হার যথেষ্ট কমেছে।
কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নূতন বিনিয়োগে কার্যত এগিয়ে আসছে না কেন? কেইনস তাঁর গ্রন্থে স্পষ্টভাবে বলেছেন, বেসরকারি বিনিয়োগের প্রধান চালিকাশক্তিই হল নিজেদের ধ্যান-ধারণা ও প্রত্যাশা যাকে কেইনস Animal Spirit হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মোদ্দা কথা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে বাজারের চাহিদা দেখে, সরকারি সাহায্য দেখে নয়। তাহলে কীভাবে দেশের বিনিয়োগ বাড়বে? বাকি রইল সরকারি বিনিয়োগ।
গত ৫ বছরে মোদির আমলে সরকারি মূলধনী ব্যয়ের মাত্রা জিডির অনুপাতে ক্রমশ কমছে। এবারের বাজেটে সরকারি মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে জিডিপির ১.৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা। এই ব্যয় যথেষ্ট কমার সম্ভাবনা। কারণ কর্পোরেট ট্যাক্সে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেওয়ায় প্রত্যক্ষ কর থেকে আদায় অন্তত প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কম হতে বাধ্য। জিএসটি থেকে আদায় এবারেও যথেষ্ট কমতে বাধ্য। প্রথম ৬ মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা গড়ে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে মাসে গড়ে ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা কোনও মাসেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। ৬ মাসে আদায় কমেছে প্রায় ৮১ হাজার কোটি টাকা। ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর মিলিয়ে এবারে রাজস্ব আয় অন্তত ৩ লক্ষ কোটি টাকা কম হবে। অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা হলেও বছরের প্রথম ৬ মাসে ঘাটতি পৌঁছেছে ৬.৫২ লক্ষ কোটিতে। ৭.৩ লক্ষ কোটির লক্ষ্যমাত্রায় প্রায় ৯৩ শতাংশ ছুঁয়েছে প্রথম ৬ মাসেই। এমতাবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকারি কোষাগারে গেলেও এই অর্থ বর্তমান বছরে বিপুল রাজস্ব ঘাটতি বা রাজকোষ ঘাটতি কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে এবারেও সরকারি মূলধনী ব্যয় হ্রাস পেতে বাধ্য।
একদিকে কর্পোরেটদের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট কর ছাড় দিয়ে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির হার কমিয়েও বেসরকারি লগ্নি বৃদ্ধির আশা ক্ষীণ, অন্যদিকে সরকারি মূলধনী ব্যয়ের অনুপাত ক্রমশ কমছে। এর ফলে সরকারি ক্ষেত্রের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান ও চাকরি সৃষ্টির আশা যথেষ্ট কম। বরং রেল থেকে শুরু করে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগামী কয়েকবছরে কয়েক লক্ষ চাকরি ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা। বর্তমান বছরে অর্থনীতির নোবেল লরিয়েট অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য মুখ্যত দায়ী বিমুদ্রাকরণ। চাহিদার এমন সঙ্কট অতীতে বহু বছর ভারত দেখেনি। ভুল নীতিই এর জন্য দায়ী। গরিবদের চাহিদা বৃদ্ধি ব্যতিরেকে ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়। এ জন্য অর্থনীতিতে ‘জোরে ধাক্কাটা’ প্রথমে দিতে হবে সরকারকেই।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক  
07th  December, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:15:00 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM

আইপিএল: ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি প্রভসিমরনের, পাঞ্জাব ৬৮/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:15:20 PM