Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি সরকারের অভূতপূর্ব কাশ্মীর পদক্ষেপ পরবর্তী ভারতীয় কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতা
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপ করে মোদি-শাহ জুটি এক অর্থে মাস্টার্স স্ট্রোক দেওয়ার পর একমাস অতিক্রান্ত। অথচ বিতর্কের পারদ নামার লক্ষণ এখনও পর্যন্ত নেই। কেউ বলছেন এটা একতরফা। আবার কেউ আরও কড়া সুরে এটাও বলছেন যে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ। সর্বোচ্চ আদালতে কড়া নাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই কাশ্মীর নিয়ে ঝড় তোলা কোনও না কোনও প্রতিবেদন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই অবস্থায় এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ৩৭০ ধারা বিলোপ পর্বের প্রাথমিক অবস্থাটা আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি। এই উদ্বেগের প্রধান কারণ অবশ্যই ভারতের প্রধান শত্রু—পাকিস্তানের দিক থেকে ধেয়ে আসা একের পর এক উস্কানিমূলক বাচনিক শক্তিশেল; তার কথায় আমরা পরে আসব, তবু কেবল সেটাই নয়, বরং চীনা ড্রাগনের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতের এই সাংবিধানিক পরিবর্তন। বস্তুত দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক মানচিত্রে চীন যখন তার অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করতে উদ্‌গ্রীব, তখন ভারতের এই পদক্ষেপে চীনের ইমপেরিয়াল মনোভাব যেন একটা মোক্ষম ধাক্কা খেয়েছে।
সেই ইগোর আঘাত থেকে চীনের দিক থেকে ধেয়ে এসেছে তিনটি প্রতিক্রিয়া: (১) চীন মনে করছে এই পরিবর্তনের ফলে তার ভৌগোলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয়েছে, বিশেষত সংখ্যাগুরু বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সন্নিবিষ্ট লাদাখ-কে ভারত নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করায় চীনের কাছে মনে হয়েছে ভারতের এই চাল তিব্বত ইস্যুকে ইন্ধন জোগাবে। অথচ খুঁটিয়ে দেখলে আমরা দেখব ভারত স্বাধীনতার পর থেকে তিব্বত নিয়ে যতটা ভেবেছে, তার বিন্দুমাত্র চিন্তাও সে লাদাখ-নীতি প্রণয়নে ব্যয় করেনি। যদি তাই হতো তাহলে পূর্ব লাদাখের বিস্তৃত ক্ষেত্র, এমনকী যা কৈলাসের মানস সরোবর পর্যন্ত সম্প্রসারিত, তাকে নিয়ে এখনকার মতো ভারতকে নতুন করে চিন্তা করতে হতো না। (২) ভারত-পাক বিবাদে চীন খানিকটা বড়দার মতো উভয়পক্ষকে সংযত হতে বলেছে। (৩) এখানেও না থেমে চীন ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও নালিশ ঠুকেছে।
অবশ্য এসব কিছুকে উপচে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আরও তিনটি কড়া আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া। প্রথমেই বলা যেতে পারে ইরানের কথা। ইরানের কথা আসতেই ভারতের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক যোগসূত্রের প্রসঙ্গটি এসে পড়ে। আবার ভারত বরাবরই তার অপরিশোধিত তেল আমদানির সিংহভাগই ইরানের থেকে করে আসছে। এই ভারত-ইরান বাণিজ্যিক বোঝাপড়া এতটাই উভয় পক্ষের বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে যে, ভারতীয় মুদ্রায় তেলের দাম নিতে ইরান রাজি হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে বাইপাস করে আফগানিস্তানে পৌঁছানোর ভারতীয় নকশার বড় সহায় ইরানের চাবাহার বন্দর-শহর। তাছাড়া গত জুলাই মাসে হরমুজ স্ট্রেটে ইরান যখন একটি ব্রিটিশ তৈল জাহাজকে আটক করে, যা নিয়ে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা ইরান কর্তৃক মার্কিন নজরদারি ড্রোনকে গুলি করে ভূপতিত করার বিতর্কে নতুন ইন্ধন জোগায়, সেই অবস্থাতেও ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রিয়াধ নয়জন ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিয়েছিল। এহেন ইরানের কাছে যেটা প্রত্যাশিত ছিল না, সেই অনভিপ্রেত বার্তাই ধেয়ে আসে যখন ভারত ৩৭০ ধারা লোপ করে। খোমেইনির ইরান ভারতের পদক্ষেপে উষ্মা ব্যক্ত করতে দ্বিধা করেনি।
দ্বিতীয়ত, ভারতের পদক্ষেপকে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে এরদোগানের তুর্কিকে। তুর্কি কেবল ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অনন্য স্থান অধিকার করেই নয়, বরং ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির মধ্যেও তার বিশেষ প্রভাব রয়েছে।
তৃতীয়ত, ভারতের দিক থেকে বিশেষ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া। দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষত আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে যখন মার্কিন বিদেশনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে, তখন খানিকটা ইমরানের পাকিস্তানকে তোয়াজ করতেই ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বসেন। ভারতের দিক থেকে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া ঘটে ট্রাম্পের ২৩ জুলাইয়ের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয় মোদির কথাতেই তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। ফলে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে হঠাৎ এতটাই পারদ চড়তে শুরু করেছিল যে, কেবল সামরিক আঁট-দরাজে আর কাজ হচ্ছিল না। সংবিধান সংশোধনের রাজনৈতিক ভাবনার সূত্রপাত সেখান থেকেই।
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যেটা উচিত ছিল তা হল ভারতের নমনীয় শক্তির ব্যবহার তথা কূটনৈতিক কাঠামোর মাধ্যমে এই পদক্ষেপের সমর্থনে পোক্ত জমি তৈরি করা। ৩৭০ ধারার মতো এত বড় মাপের পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে ভারত আমেরিকা, রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তিগুলিকে অবহিত করলেও ভারতের উচিত ছিল আরও গুছিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ করা। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখলাম এই অসময়ে ভারতের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে অবতীর্ণ হলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। দোভাল যখন কাশ্মীরে, তখন জয়শঙ্কর কূটনৈতিক দৌত্যের জোয়াল কাঁধে নিয়ে হাজির চীনে। তাতেও যে চিঁড়ে ভেজেনি, তার প্রমাণ মিলল যখন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হোক—চীনের এমন প্রস্তাবে বেশ বিব্রতভাবেই, যদিও মুখে হাসি নিয়ে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত ঋজুতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করলেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন।
বস্তুত একটা সময় মনে হয়েছিল সরকার কতটা এই নার্ভের উপর চাপ নিতে প্রস্তুত? কারণ কাশ্মীরকে ঘিরে কেবল উপত্যকার রাজনীতিই যে আবর্তিত হয়েছে—এমনটা নয়, বরং গত সাত দশকে কাশ্মীর নীতি যেভাবে কেন্দ্র-রাজ্য পারস্পরিক দোষারোপের ও রাজনীতির পাশা খেলার একটা মুখ্য ঘুঁটি হয়ে উঠেছিল, তাতে করে কাশ্মীরবাসীর উন্নয়ন তো দূর অস্ত, বরং ‘দশচক্রে ভগবান ভূতের’ মতো অবস্থা হয়েছিল। পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল তা বোঝা গিয়েছিল পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনা কনভয়ের উপর জঙ্গি-হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে। আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি যতটাই দুর্বল হয়ে পড়ছিল, ততই আমরা দেখছিলাম কাশ্মীরের যে ভাবাবেগ তাকে কাজে লাগিয়ে সেখানে ইসলামিক ক্যালিফেট গড়ে তোলার ভয়ঙ্কর অপচেষ্টা। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের মোক্ষম চালের মাধ্যমে যখন ৩৭০ ধারা রদ হল, তখন অচিরে বোঝাই গিয়েছিল যে সঙ্কট কাটিয়ে অচিরে উপত্যকায় নতুন সূর্যোদয় হবে। কিন্তু বাহ্যিক পরিস্থিতিকে খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য মনে হয় না এতটা জোরালো পরিকল্পিত আয়োজন আমাদের ছিল। এর কারণ:
প্রথমত, আমরা বারবার আমেরিকাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি যে, দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে এক আসনে বসানো চলে না।
দ্বিতীয়ত, ভারতের এই পদক্ষেপের ঠিক পরে পরেই পাকিস্তানের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে বাতিল করা থেকে ভারতীয় কনভয়ের বহিষ্কার, সমঝোতা এক্সপ্রেস, বাস-সার্ভিস বাতিলের মতো একতরফা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হিড়িক আমরা লক্ষ করি। এখানেও না থেমে পাকিস্তান তার ঘনীভূত অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে ভারতের বিরুদ্ধে পুনরায় জঙ্গি আক্রমণের হুমকি দিতে থাকে। কাশ্মীরের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে পাঞ্জাব সীমান্তে কর্তারপুর করিডরকে খালিস্তানি জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করার চরম হুঁশিয়ারিও দিতে থাকে।
তৃতীয়ত, পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শেষ অবধি আসরে নামতে দেখা গেল প্রবীণ রাজনাথ সিংকে। মঞ্চে অবতীর্ণ হয়েই তিনি কূটনৈতিক ভঙ্গিমায় এমন বার্তাও দিলেন যে, ভারত প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার স্ব-ঘোষিত 'No First use doctrine' থেকে সরে আসতে পারে।
চতুর্থত, উপমহাদেশের রাজনীতিতে কাশ্মীর ইস্যুর মহিমা মালুম হল যখন আমরা দেখলাম ভারতের এ-স্যাট উৎক্ষেপণ ও চন্দ্রযান-২ অভিযান পাবলিক ডোমেনে আলোচনার মধ্যে যে বৌদ্ধিক ঝোঁক সম্প্রতি নিয়ে এসেছিল, তার রং পুরো পাল্টে গেল। পুনরায় আমরা যেন একটা নিরাপত্তা সঙ্কটের মধ্যে বাস করছি এমন হবসীয় বাতাবরণ প্রকাণ্ড পর্দার মতো আমাদের অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা, আঞ্চলিক সহযোগিতা যা বাণিজ্যিক ভ্যালু চেনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত—এইসব বিষয়গুলোকে মুহূর্তে যেন অন্তরালে ঠেলে দিল। বলা বেশ কঠিন ভারতীয় কূটনীতি সেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশে কতটা আলোর দিশা দেখাতে পারবে।
 লেখক অধিকর্তা, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়
14th  September, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআর ৭০/০ (৫ ওভার) (বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:59:05 PM

আইপিএল: কেকেআর ৭/০ (১ ওভার)(বিপক্ষ পাঞ্জাব)

07:47:09 PM

আইপিএল: চোটের কারণে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছেন না কেকেআরের মিচেল স্টার্ক

07:28:29 PM

দেখে নিন ৫টা অবধি দেশের কোন অংশে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪(দ্বিতীয় দফা): বিকেল পাঁচটা অবধি গোটা দেশে গড়ে ...বিশদ

07:25:25 PM

আইপিএল: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের (বিপক্ষ কেকেআর)

07:15:19 PM

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৩ আসনে কত ভোট পড়ল
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়, বিকেল ৫টা অবধি বাংলার ৩ আসনে ...বিশদ

06:35:21 PM