Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

গালভরা নাম দিয়ে প্রকল্পটিকে বলা হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর ‘সিল্ক রোড’। এই প্রকল্পের ফলে সংযুক্ত হবে ৭০টিরও বেশি দেশ। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার অনেকগুলো দেশ সংযুক্ত হবে এই নেটওয়ার্কে। সংযুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা পুরো পৃথিবীর অর্ধেক। আর দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি পৃথিবীর চার ভাগের একভাগ। বুঝুন অবস্থা! এর পোশাকি নাম ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’, উদ্যোক্তা চীন। জি জিনপিংয়ের দেশ বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে। তবে শুরুর পাঁচবছর পর এসে প্রশ্ন উঠছে —এটি কি উন্নয়নের পথ, নাকি ঋণের ফাঁদ? চীন এই প্রকল্প দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর উপকার করতে চাইছে, নাকি গলায় পরাতে চাইছে ফাঁস? নিন্দুকরা বলছেন, ঋণের ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে চীন।
চীন তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে বহু দেশকে ঋণের নাগপাশে বেঁধে ফেলছে, আমেরিকাসহ বহু পশ্চিমী দেশ এই অভিযোগ করে আসছে বহু দিন ধরে। আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিভাষায় চীনের এই নীতিকে বলা হচ্ছে ‘ডেবট ট্র্যাপ ডিপ্লোমেসি’ বলেও। কিন্তু সমস্যা হল, বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে চীনের এই ঋণের পরিমাণটা ঠিক কত, এই ঋণের শর্তগুলোই বা কী, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান পাবলিক ডোমেইনে কখনও তেমন একটা ছিল না। এই জাতীয় তথ্য প্রকাশ করার ব্যাপারে চীনের তেমন আগ্রহ নেই, ফলে এই ঋণের জালে আটকে ফেলার বহরটা ঠিক কত, তাও অজানাই রয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র যখন ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে শ্রীলঙ্কার মতো দেশকে হামবানতোতা বন্দর চীনের হাতে তুলে দিতে হয়েছে, কিংবা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার ভয়ে মালয়েশিয়া বাতিল করে দিয়েছে চীনা রেল প্রকল্প, তখনই হইচই হয়েছে চীনের ঋণ নিয়ে। পরে আবার তা চীনের কৌশলী কূটনীতিতে থিতিয়েও গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চীনের দেওয়া ঋণের সঠিক পরিমাণ কত, সেই তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে নানা সূত্রে। কোথাও সে দেশের সরকার নিজেই তা কবুল করছে, কোথাও আবার অনুসন্ধানী গবেষণায় তা বেরিয়ে আসছে। প্রকাশ্যে এসে পড়ছে, পাকিস্তান থেকে শুরু করে মালদ্বীপ, নেপাল, বাংলাদেশ কীভাবে চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে এবং কোন দেশ কীভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে।
চীনের ‘অল-ওয়েদার ফ্রেন্ড’ বলে পরিচিত পাকিস্তান স্বীকার করেছে, শুধু চলতি আর্থিক বছরেই তারা চীনের কাছ থেকে ৬৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছে। গত ১০ মাসে তাদের মোট বৈদেশিক ঋণের যা পরিমাণ, তার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি এসেছে শুধু চীন থেকেই। তবে পাকিস্তান এই তথ্য নিজে থেকে প্রকাশ করেনি। আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপেই তাদের এ কথা জানাতে হয়েছে। ইসলামাবাদের পত্রিকা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানাচ্ছে, আইএমএফের ৬০০ কোটি ডলার বেল-আউট প্যাকেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে দেওয়া প্রধান শর্তই ছিল চীনা ঋণের সব শর্ত ও পরিমাণ তাদের প্রকাশ করতে হবে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আর্থিক উপদেষ্টা ড. আবদুল হাফিজ শেখ এই তথ্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আরও বলছে, পাকিস্তান তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চীনের দেওয়া আমানতকে সেখানে যোগ করে দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু এই প্রথম সে দেশের অর্থ মন্ত্রকের বৈদেশিক ঋণের পরিসংখ্যানে (ডেবট স্ট্যাটিসটিকস) সেটা প্রতিফলিত হল। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নির্মাণে চীনের দেওয়া ঋণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে এর আগেও প্রতিবাদ হয়েছে, নতুন করে সেই ঋণের ব্যাপকতা সামনে আসার পর সে দেশে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জ মালদ্বীপের চীনের কাছে মোট ঋণের পরিমাণ ১৪০ কোটি ডলারের বেশি। মালদ্বীপের অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আমিরকে উদ্ধৃত করে গত বছরের ডিসেম্বরে এই তথ্য জানিয়েছে নিক্কে এশিয়ান রিভিউ। কয়েক মাস আগে টোকিও সফরে গিয়ে মালদ্বীপের নতুন অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, এরইমধ্যে তার দেশ প্রায় ৬৭ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে ফেলেছে। আরও একটা খুব দামি তথ্য প্রকাশ করেছিলেন তিনি, সেটা হল, চীনের দেওয়া ঋণে সুদের হার কত। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সহজ শর্তে দেওয়া ঋণে চীনের সুদের হার হল ১.৫ থেকে ২ শতাংশ। তবে সভেরেন গ্যারান্টি স্কিমে দেওয়া ঋণগুলোতে সুদের হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। গত নভেম্বরে মালদ্বীপের নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রাক্কালে ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনে গবেষক রোনক দেশাই এমন কথাও লিখেছিলেন, ‘এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের জন্য মালদ্বীপের উপর বেজিংয়ের চাপ এতটাই প্রবল হবে যে, নতুন প্রেসিডেন্ট চাইলেও ভারতের দিকে তেমন একটা ঝুঁকতে পারবেন না!’
বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, গত কয়েক বছর ধরে শ্রীলঙ্কাকে তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা তাদের দক্ষিণ উপকূলের হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’ পত্রিকায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ ও গবেষক উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক ও বিপর্যয়কর। সেটার জন্য চীনের ঋণ একা দায়ী নয়, বরং এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার মোট বিদেশি ঋণের মাত্র ১০ শতাংশ চীনের কাছ থেকে এসেছে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বছর দুয়েক আগে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনেও জানানো হয়েছিল, শ্রীলঙ্কা সরকারের মোট রাজস্বের ৯৫ শতাংশই খরচ হয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধে, যা থেকে আন্দাজ পাওয়া যায় ওই ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রের সংকট আসলে কত গভীরে। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কার মোট বিদেশি ঋণের ৬০ শতাংশই এসেছে চীন থেকে, আজ যার চড়া মাশুল দিতে হচ্ছে দেশটিকে।
নেপালে গত বছর কে পি শর্মা ওলি’র নেতৃত্বে যে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, চীনের প্রতি তাদের নরম মনোভাবের কথা কে না জানে। পুরনো বন্ধু দিল্লির দিক থেকে বেশ কিছুটা সরে এসে কাঠমান্ডু যেভাবে বেজিংয়ের দিকে ঝুঁকেছে, তা ভারতকেও সম্প্রতি বেশ বিচলিত করেছে। নেপাল ও চীনের প্রস্তাবিত যে যৌথ প্রকল্পটির দিকে এখন এই অঞ্চলের নজর কেন্দ্রীভূত, সেটি হল—ট্রান্স হিমালয়ান রেলওয়ে। বেজিং থেকে তিব্বতের লাসা (পরে শিতাসে) পর্যন্ত বিস্তৃত রেলপথকেই সম্প্রসারিত করে হিমালয়ের বুক চিড়ে কাঠমান্ডুতে এনে ফেলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। আর এর ভালোমন্দকে ঘিরে নেপালের ভিতরেও এখন বিতর্ক তুমুল। কেউ বলছেন, এটা নেপালের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, কারও মতে এটা শ্বেতহস্তী হয়েই পড়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার কারটিন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণারত নেপালি অর্থনীতিবিদ জগন্নাথ অধিকারী তার এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে (‘দ্য কনভারসেশন’) বলেছেন, চীনের ঋণ তারা আদৌ শোধ করতে পারবে কি না, এই আশঙ্কার মধ্যেও অনেক ছোট দেশই প্রবল উৎসাহে চীনের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভে যুক্ত হওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে, নেপালও তাদের অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী ওলি বেজিং সফরে গিয়ে চীনের সঙ্গে ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের আর্থিক সমঝোতায় সইও করে এসেছেন, যার মধ্যে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র অনেক কিছুই আছে। ট্রান্স হিমালয়ান রেলওয়ে (যা বেল্ট রোডেরই অংশ) বাস্তবায়নে চীন পুরো টাকাটা অনুদান হিসেবেই দিক, প্রধানমন্ত্রী ওলি এখন সেটাই চান। তবে চীন বলছে, তারা খুব সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে, কিন্তু অনুদান নয়। এই জটটা খোলেনি বলেই এখনও ওই রেলপথ নির্মাণের কাজও থমকে আছে। গবেষক জগন্নাথ অধিকারীর কথায়, ‘নেপালের পরিণতি যাতে শ্রীলঙ্কার মতো না হয়, সেজন্য খুব সাবধানে তাদের পা ফেলতে হবে। নেপালও চীনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে কি না, সেটা বোধহয় আমরা খুব শীঘ্রই টের পাবো।’
অন্যদিকে, বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে চীনের কাছ থেকে এরমধ্যেই ৫৭০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই ঋণের অর্থে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনায় নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে পদ্মা ব্রিজ রেলওয়ে লিঙ্ক, দাসেরকান্দি স্যুয়ারেজ লাইন, কর্ণফুলীর নীচে টানেল, টেলিকম খাতের আধুনিকীকরণ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝু দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশ বা কোনও দেশকেই ঋণের ফাঁদে ফেলা তাদের লক্ষ্য নয়। আমরা সবাইকে সহযোগিতারই চেষ্টা করছি, কাউকেই ঋণের জালে ফেলতে চাইছি না।’ তবে চীনের যে কোনও আর্থিক সহায়তা যে মোটেই অনুদান নয়, বরং তার বেশিরভাগটাই আসলে মোটামুটি সহজ শর্তে ঋণ, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরাও এক্ষেত্রে ‘দেখেশুনে পদক্ষেপ নেওয়ার’ পক্ষেই মত দিয়েছেন।
উপরের তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে মোটামুটি পরিষ্কার, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট-বড় প্রায় সব দেশেরই যথেষ্ট পরিমাণে চীনের ঋণ নেওয়া আছে। কারও পরিমাণ কিছুটা কম, কারও বেশি। সংকটের মাত্রাতেও ফারাক আছে। কে না জানে, ‘ফ্রি লাঞ্চ’ বলে কিছু হয় না। চীনের ঋণে সুদের হার হয়তো ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের চেয়েও কিছুটা কম, কিন্তু একেবারে শূন্য তো নয়। কাজেই ছোট উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে অতি সতর্ক থাকতেই হবে, বিশেষ করে যেসব দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টের সমস্যা আছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনও দেশই এই মুহূর্তে চীনকে চটাতে চাইছে না। এর মূল কারণ হল—চীনের সামরিক শক্তি ও কাঁড়ি কাঁড়ি ইউয়ান। আর সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই কিস্তিমাত করতে চাইছেন জি জিনপিং। এখন চীনকে কেউ ‘চেক’ দিতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
05th  July, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM