প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সাধক মহারাজের উপলব্ধিতে কালী করালবদনা সর্বগ্রাসী হলেও তিনি শিবা ও মঙ্গলময়ী। তাঁর মতে কালী জীবের যেমন মোহভঙ্গ করেন তেমনি তিনি মঙ্গল প্রদায়িণী সর্বমঙ্গলাও বটে। সাধক মহারাজ দেবী তারার পরিচিত প্রসঙ্গে বলেছেন— “বোধ বিকাশের দ্বিতীয়স্তরে যেভাবে উপনীত হওয়া যায় জ্ঞানবাহী প্রতীক ঋষিশিল্পে মা তারা। তিনি অজ্ঞান তিমিরহরা। মায়ের হস্তস্থিত অসির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি লিখছেন—“এই অসি জড়তার মহাপক্ষে নিমজ্জিত মায়াবদ্ধ জীবের স্থূলদেহে যে অহংবোধ ঐ অহংবোধের সুদৃঢ় সংস্কার খণ্ডন করবার উপযোগী মায়েরই মহাশক্তি। “শক্তি প্রয়োগের ফলে জীবের ভাঙ্গে মোহ হৃদয়ে উদিত হয় জ্ঞান ভানু।”
দেবী ষোড়শী ব্যাখ্যায় “আমাদের মৃন্ময় দেহের অধিষ্ঠাত্রী আধ্যাত্মশক্তি দেবী চিন্ময়ী, আধার ষোড়শ।” এই জন্যই দেবী ষোড়শী। দেবী ভুবনেশ্বরীর প্রতি ভক্তি প্রণতি নিবেদন করে সাধক মহারাজ বলছেন, বিশ্ব ভূবনে তুমি সর্ব্বরূপে পরিপ্রাপ্তা, তুমি সর্ব্বশক্তি সমন্বিতা, অতএব সর্ব্বকারিনী দেবী ভৈরবী “ভক্তের অহিতকারী, দুষ্টজনের দণ্ডবিধানকারিনী।” দেবী ছিন্নমস্তার মাহাত্ম্য রজ তম গুণকে বর্জন করে সত্বগুণ অর্জন করা। দেবী ধূমাবতী “অলক্ষ্যশক্তি চালিকা আত্মশক্তি”। দেবী মাতঙ্গী “ভববন্ধন দুঃখহারিনী।” দেবী কমলা “চিন্ময়ীর বিকাশ মাধুরী”। দশমহাবিদ্যার মূলবিষয় হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে দেবী শক্তি জাগ্রত হয়। ইন্দ্রিয় দমনের মাধ্যমেই এই শক্তি অর্জন করা যায়। ইন্দ্রিয় দমনের জন্য যোগাভ্যাসের প্রয়োজন।