পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
সদ্গুরুর চরণাশ্রয় ছাড়া সাধন-ভজন বা ভগবান লাভ অসম্ভব। বৈদিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধর্মের কোন মানুষ সদ্গুরুর আশ্রয় ছাড়া ঈশ্বর লাভ করতে পারেননি। ঈশ্বরের পথে চলবার সর্ব প্রথম স্তর সদ্গুরুর কাছে দীক্ষা লাভ তথা গুরুর নির্দেশমত সাধন-ভজন করা। এইজন্য গুরুকরণ আবশ্যিক। গুরু শুধু এই জীবনের সঙ্গী নন, তিনি জন্মজন্মান্তরের সঙ্গী। যতদিন ঈশ্বরলাভ না হয়, ততদিন গুরুকৃপা এবং গুরুর আশ্রয় একান্ত প্রয়োজন। ইষ্টলাভ হলে গুরু ইষ্টে লয় হয়ে যান। যাদের জীবন একবার গুরুলাভ হয়েছে, যতদিন তাদের ঈশ্বরলাভ না হচ্ছে, ততদিন বা তত জন্মে তারা সেই গুরুর চরণাশ্রয়ই লাভ করেন। এক্ষেত্রে গুরু নির্দিষ্ট। এইজন্যে দেখা যায়, সবার কাছে সবার দীক্ষা হয় না। সমর্থ গুরু তাঁর জন্মান্তরের শিষ্যকে দর্শনমাত্রেই চিনতে পারেন। গুরু শিষ্যকে ভগবানের কাছে পৌঁছবার সদর দরজা খুলে রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে কিভাবে পথ চললে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানো যাবে তা বলে দেন। সদ্গুরুর কৃপা ছাড়া শিষ্যের দিব্যচক্ষু তথা দিব্যজ্ঞান লাভ অসম্ভব।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “প্রথমে চাই মনুষ্যত্ব—মানুষজন্ম। তারপর চাই মুমুক্ষুতা। মুমুক্ষুতা ব্যতীত ঈশ্বরের উপলব্ধি অসম্ভব। যখন ভগবানের জন্য তীব্র ব্যাকুলতা হবে, তখনই জানবে তুমি ঈশ্বরলাভের অধিকারী হয়েছ। তারপর চাই মহাপুরুষসংশ্রয়—গুরুলাভ। গুরুপরম্পরাক্রমে যে শক্তি এসেছে, তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। তাছাড়া মুমুক্ষতা থাকলেও কিছু হবে না—গুরুকরণ আবশ্যক।”
স্বামী ব্রহ্মানন্দ বলেছেন, “যাদের সদ্গুরু লাভ হয়েছে তাদের আর ভাবনা কি! রাস্তা তো তারা পেয়েছে। সে রাস্তা ধরে এখন তারা চলুক। … তিনি (নিজের গুরু ) নরশরীরে থাকুন বা নাই থাকুন শিষ্যের জ্ঞানলাভ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত গুরু যিনি, তিনি শিষ্যকে পথ দেখাবার জন্য, তার মুক্তির জন্য অপেক্ষা করেন। শিষ্যের জন্য গুরু মধ্যে মধ্যে স্থূলভাবে প্রকাশ হন।”