শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
প্রশ্ন: মেয়েদের স্বভাবের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনগুলি তাদের আদর্শ জীবনের পক্ষে অন্তরায়?
উত্তর: মেয়েদের কতকগুলি সংস্কারজাত স্বভাব আছে যেগুলির আধিক্য ঘটলে সত্যিই তাদের আদর্শ জীবন গঠনে যেমন অসুবিধা হবে, তেমনি চারপাশের পরিবেশকেও অসুবিধায় ফেলবে। অবশ্য সেই দোষগুলি স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে প্রায়ই সকলেরই কিছু না কিছু থাকে। কিন্তু মেয়েরা সংসার এবং সমাজের ধারয়িত্রী। কাজেই তাদের ক্ষেত্রে যে কোনও দোষেরই আধিক্য ঘটুক না কেন, সেইটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায় সুশৃঙ্খল জীবনের দিক থেকে। সেই দোষযুক্ত স্বভাবগুলি হচ্ছে খুবই সাধারণ, যেমন, কথায় কথায় অভিমান, বৃথা জিদ, ঈর্ষা, সীমিত বুদ্ধি ও ক্ষুদ্রতা, দাবি ও অধিকার বোধ, মোহিনী শক্তির বিস্তার ইত্যাদি।
দেবীত্বে বা মাতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে মেয়েদের এই স্বভাবগুলির ঊর্ধে উঠতে হবে। কি আশ্রম জীবনে, কি দিব্য-সংসার জীবনে কেউ যদি আদর্শ নারীর স্থান পেতে চায় তাহলে এগুলিকে বর্জন ক’রে চলতেই হবে।
প্রথম ধরা যাক অভিমান। অনেক সময় এটা কোমল মনের পরিচয় বলেই মনে হয়। কিন্তু অল্প স্বল্প অভিমান কোমল মনের পরিচয় হলেও সেটা যখন চরম পর্যায়ে দাঁড়ায় তখন কিন্তু তার ফল এমন ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, তখন মনে হয় এ অভিমান কোমলতার প্রকাশ নয়, অত্যন্ত কঠিন মনের প্রকাশ। কোমল মনের পরিচয় হবে—যে মনে কোনও কিছুই বেশিক্ষণ শক্ত হয়ে বাসা বাঁধতে পারে না, যে মন একটুতেই গলে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়।
কাজেই মনে রাখতে হবে, কোমলতা আর অভিমান এক নয়। অহংকারের একটু সরস প্রকাশকেই সাধারণতঃ অভিমান বলা হয়। কাজেই এটিকে মারাত্মক আকার ধারণ করতে না দেওয়াই ভাল। দিলে এর জল অনেক দূর গড়ায়।