প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য যখন বোঝাচ্ছেন, ব্রহ্ম বস্তুটি কি, তখন এই রকম হেঁয়ালির মধ্য দিয়ে বোঝাচ্ছিলেন: তিনি দূরে থেকেও কাছে; তাঁর গতি আছে, আবার নেই। তখন একজন ঋষি বললেন, “এই রকম হেঁয়ালির মধ্যে দিয়ে বললে চলবে না। এটা একটা ‘গরু’, এটা একটা ‘ঘোড়া’ এই ভাবে বললে যেমন বস্তুকে স্পষ্ট বোঝা যায়; সেইভাবে বোঝাতে হবে।” তখন যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন, “ন দৃষ্টের্দ্রষ্টারং পশ্যের্নশ্রুতেঃ শ্রোতারং শৃণুয়াঃ”—দৃষ্টির যিনি দ্রষ্টা তাঁকে তুমি দর্শনেন্দ্রিয় দিয়ে জানতে চেও না; শ্রুতির যিনি শ্রোতা, তাঁকে শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে জানতে চেও না; সেই রকম মনের পিছনে যিনি মন্তা, তাঁকে মনের সাহায্যে জানতে চেও না। তা হ’লে আমরা সেই বস্তুকে জানব কি ক’রে? অথচ তাঁকে না জেনে ঝুড়ি ঝুড়ি গ্রন্থ লিখছি তাঁকে নিয়ে।
বিদ্যাসাগর-মশাই মহাপণ্ডিত হয়েও ভগবান সম্বন্ধে কোন কথাই বলতেন না। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, “আপনি এত বিদ্যা অর্জন করেছেন, কিন্তু ভগবান সম্বন্ধে কোন জায়গায় কিছু বলেন না কেন?” তিনি উত্তর দিলেন “বাপু, আমার চাবুক খাবার ভয় আছে।” অর্থাৎ যে বস্তু নিজে বুঝি না, সেই বস্তু সম্বন্ধে বলতে গেলে চাবুক খেতে হবে। কিন্তু তবু বন্ধু-বান্ধবরা ছাড়েন না। তখন নেহাত ধরাধরির জন্য “বোধোদয়” বই-এর গোড়াতেই লিখলেন “ঈশ্বর নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ”।