প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
‘‘ভুলে থাকা, সে তো নয় ভোলা,
বিস্মৃতির মর্মে বসি রক্তে মোর দিয়েছো যে দোলা।’’
কিন্তু ভাব জগতের কোন সত্তাকে আত্মসাৎ করতে গিয়ে সাধারণ অবস্থায় কী হয়। না, যতটুকু সে আত্মস্থীকরণ বা নিজীকরণ করে ততটুকুকে সে নিজ সম্পদ জ্ঞানে নিজের মানসবোধটাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কোলা ব্যাঙের মত করে তোলে। কোলা ব্যাঙ যেমন অন্য ব্যাঙের চেয়ে নিজের আকারটা বড় দেখে, নিজের বৃহত্ত্বকে জাহির করবার জন্যে অহংকারে নিজেকে আরো বেশী ফুলিয়ে তোলবার প্রয়াসে শেষ পর্যন্ত পেট ফেটে মরে যায়, তেমনি ভাব-জগতের অল্প একটু তত্ত্ব যে বা যারা নিজীকরণ করে তারা অহংকারে মত্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যায়। জড় জগতের আত্মসাতের বা আত্মস্থীকরণের বা প্রাপ্তির স্পৃহা যেখানে প্রবল, সাধারণতঃ সেখানে আত্মিক জগতের বা ভাব জগতের স্পৃহা কম। সেখানে জড় জগতের ক্ষুধাটা একটু বেশী। এই জড় জগতের ক্ষুধাকে, ‘‘জগতের সকল সম্পদ সব মানুষদের মধ্যে সমভাবে বন্টন করব; অথবা সবাই সামর্থমত খাটুক ও প্রয়োজন মত পা’ক, আমি এই নীতিটাকে সমর্থন করব’’—এই মনোভাব প্রেষিত হয়ে যে সকল দর্শন দাঁড়িয়ে আছে তারা শেষ পর্যন্ত মানুষে মানুষে বৈরিতাকে প্রশ্রয় দেয়। সামূহিক তো বটেই, ব্যষ্টিগত শান্তিও বিঘ্নিত হয়। মানুষে মানুষে একে অন্যকে সোজাভাবে দেখতে পারে না—সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সন্দেহের বজ্রপ্রাচীর। বর্ত্তমান জড়বাদ মানুষকে এই অবস্থায় এনে ফেলেছে। এর পরিণাম অতি ভয়াবহ।