বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
একবার যা দান করা হয়, তার ওপর কি কোনো অধিকার থাকে? ঈশ্বরকে তোমার জীবন অর্পণ করেছ—তখন তাঁর জিনিষ তিনি ইচ্ছামত গড়বেন। তাঁর কাজে যদি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে পার তা হলে অপরূপ হয়ে উঠবে তোমার জীবন। যাদের জীবনে দুঃখ নেই, কোনো মহৎ অভাববোধ নেই, তারা জীবনের কথা ভাবে না। বিশেষ করে যৌবনে স্বাস্থ্য, রূপ, ধন থাকলে মানুষ সাধারণত উদ্ধত, দাম্ভিক ও ঈশ্বরবিমুখ হয়। ঈশ্বর যাকে ভালবাসেন, এই সময়ে তাকে নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ফেলে দুঃখ আঘাত দিয়ে আপন করে নেন। একটু সম্পন্ন ঘরের রূপবান ছেলের যৌবনে অযাচিতভাবে নানাদিক থেকে প্রলোভন আসে। কুসঙ্গের অভাব হয় না। কিন্তু সুন্দর সঙ্গের প্রভাব অসাধারণ। প্রেক জলে ডুবে যায়, কিন্তু যখন কাঠে সংলগ্ন হয় তখন সহজে ভেসে থাকে। তেমনি সৎসঙ্গ পেলে সাধারণ মানুষের জীবনও পরম সুন্দর হয়ে ওঠে। আবার অসৎসঙ্গে সাধু সংস্কার সম্পন্ন ছেলেরাও বিপথগামী হয়, অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
আমি আপনাদের ঘরের মানুষ নই, দূরের মানুষও নই—আমি আপনাদের প্রাণের মানুষ। আমি অকৃত্রিম অন্তরে আপনার কল্যাণ কামনা করি। আমি চাই, আপনি অক্ষয় আনন্দ-সম্পদ লাভ করুন—আপনার মধ্যে এমন ত্যাগ, প্রেম ও পবিত্রতার আলো জ্বলুক যা আপনার জীবনকে করবে সার্থক, স্মরণীয়—এতোখানি আপনার পিতামাতাও এমন করে চান নি। তাঁরা চেয়েছেন আপনার সুখ ও সুখের শরিক হতে। আমি কোন সুখ আপনাদের কাছে চাই না; আমাকে সম্মান করুন—সেও আমার আকাঙ্ক্ষা নয়। আপনাদের মধ্যে দেবত্বের পূর্ণ প্রকাশ হোক—আপনি বহুর জন্য বাঁচবেন, বহুর অন্তরে বাঁচবেন—এই আমার চাওয়া। আপনার অন্তরের আলোয় আমি স্নান করে পবিত্র হবো—আনন্দের পথে এগিয়ে যাবো—আপনার ক্ষমা, প্রেম, সত্যনিষ্ঠা, সাধুতার কাছে বারবার ঋণী হয়ে ধন্য হতে চাই। আমার ঠাকুরকে আপনি বহুভাবে সেবা করেছেন, এ জন্য চিরদিনের মানুষ আপনার জয়ধ্বনি করবে—তিনি কারো নিকট ঋণী থাকেন না, সহস্রগুণ ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু আমি কাঙাল, আমি কিছু দিতে পারব না—আমি শুধু নিতে জানি। আপনার জীবন সকলের কাছে এক মহৎ প্রেরণার আলো হোক, আমি এই ভিক্ষা চাই।
লোক পদে-পদেই কথার খেলাপ করে—ইহা অত্যন্ত বেদনাজনক। তবে অনেকসময় মানুষ নিরুপায় হয়েও তা করে। সম্প্রতি জনৈক ভদ্রলোককে এই কারণে যে চিঠি দিয়েছিলেন—তার ভাষা বড়ই কড়া হয়েছিল। অন্যের মনে বিশেষ আঘাত লাগলে এতে অনেক সময় গুরুতর ক্ষতি হয়।