বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমায় নদীর চর দখল করে বসতি গড়ে তোলার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যে শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর চর দখল করে বিগত বামফ্রন্ট জমানাতেই বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। এবার নদীর চর দখলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি বলেছিলেন, শিলিগুড়ি শহরকে বাঁচাতে হবে। তাই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পাশাপাশি, নদীর চর দখল মুক্ত করা হবে। এরপর শহরের বিভিন্ন এলাকায় হোর্ডিং টাঙিয়ে মন্ত্রীকে অভিন্দন জানানো হয়। এতকিছুর পরও কিন্তু অবস্থা তথৈবচ। অভিযোগ, বিভিন্ন নদীর চর দখলের পর প্লট করে বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাংশের মদতে এমন কাজ চলছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে সেচ দপ্তর ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই।
এমন প্রেক্ষাপটে পর্যটনমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, নদীর চর দখল মুক্ত করার ব্যাপারে মন্ত্রীর হুংকার ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নয়। রাজনীতির ময়দানে নিজের ইমেজ ঠিক করতে তিনি লোক দেখানো ওই হুংকার ছেড়েছেন। এই অবস্থায় এদিন শিলিগুড়ি মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, নদীর চর দখলের ব্যাপারে অনেক কথা খরচ করেছি। অনেক বুঝিয়েছি। আর কথা বলব না। এবার আইন অনুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের পাশে দল দাঁড়াবে না।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যের দ্বিতীয় মেগা সিটি হিসাবে পরিচিত শিলিগুড়ি শহর। মহানন্দা, চামটা, ফুলেশ্বরী, বালাসন প্রভৃতি নদী এই শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু, জবরদখল, বেআইনি নির্মাণ ও একের পর এক নদীর চর দখলের জেরে এই শহর গরিমা হারাচ্ছে। বিপজ্জনক হয়ে উঠছে গোটা শহর। যে কোনও দিন এই শহরে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।