Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৃষির সঙ্কট কি নির্বাচনী ইস্যু ছিল না? 
শান্তনু বসু

নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচন মোকাবিলায় নামার কিছু আগে সংবাদ মাধ্যমের একাংশের বক্তব্য ছিল, ‘‘খরকবলিত মারাঠাওয়াড়ার কৃষকরা মোদিকে আর একটি সুযোগ দিতে চান।’’ কিংবা একটি প্রখ্যাত ইংরেজি দৈনিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পরও লিখল, ‘‘নির্বাচনোত্তর সমীক্ষা: কৃষকদের সমস্যাগুলি এবার ভোটে প্রধান বিবেচ্য হয়ে ওঠেনি।’’ আবার এই প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে সারি সারি মহিলা বিশেষ করে মায়েরা, স্ত্রীয়েরা তাঁদের প্রিয়তমের ছবি বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অথবা শতমাইলব্যাপী কৃষক লংমার্চে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ কৃষকেরা আত্মহত্যা করার পর সেই ফটোগুলি গণমাধ্যমে ভেসে উঠলেও গণমাধ্যমেরই একাংশ দাবি করছে যে কৃষির সংকট নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল না! ভারতের ৬০-৬৫ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। এখানে জিডিপি বহুলাংশে নির্ধারিত হয় কৃষিউৎপাদনের ভিত্তিতে। আর সেই কৃষিব্যবস্থাই তীব্র সংকটে। এই বিপদের কথা ভারতে তো বটেই গোটা বিশ্বেও আলোচিত হচ্ছে। আর একটি মহল থেকে বলা হচ্ছে যে সেটা নাকি ভারতে নির্বাচনের ইস্যু হয়নি! ব্যাপারটি বড় বিস্ময়কর নয় কি? স্বভাবতই গুরুত্ব হারাচ্ছে কৃষির এই তীব্র সংকটের কারণ নির্ধারণের বিষয়টি। এটাই পরিতাপের।
নামী গবেষণা সংস্থা লোকনীতি বলেছে, ‘‘The majority of farmers didn’t vote or issues that concern them most.’’ যেটা কৃষকের জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটাই যদি নির্বাচনের ইস্যু না-হয় তাহলে প্রশ্ন থাকে নির্বাচনী ইস্যু কাকে বলে। এবারের লোকসভা নির্বাচনটা কি তাহলে কোনও ইস্যু ছাড়াই হল? মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ার নান্দেদ, বিদ সহ আটটি জেলার ৭৬টি তালুকের ৫ হাজারের বেশি গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলস্তর সাংঘাতিকভাবে নেমে গিয়েছে। বিদের যে কোথায় জল আছে এবং সেখানে কীভাবে ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে সেটা নির্ধারণ করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গত অক্টোবর থেকেই ১৪ হাজার গ্রামের জলস্তর নামতে থাকে। গোটা মারাঠাওয়াড়ায় সাধারণভাবে দেশান্তরী শ্রমিকের সংখ্যা থাকে প্রায় আট লক্ষ। এঁরা মূলত বিদ, আহমেদনগর, নাসিক থেকে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের চিনিকলগুলিতে কাজ করবার জন্য যান। এবার তাঁদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কারণ খরা এতটাই তীব্র যে নিজেদের গ্রামে তাঁরা কোনও কাজ পাচ্ছেন না। অথচ, গত বছরই চিনিকল শ্রমিক পাওয়াটা ছিল নিদারুণ সমস্যার। এ বছরই বন্যার মতো ভুখা শ্রমিকের মিছিল চিনিকলগুলিতে।
বিদের গিওরাই তালুকের ৯০ শতাংশ কর্মক্ষম মানুষ গ্রাম ছেড়েছেন। জালনার ভোকরদান তালুক থেকে ট্রাকভর্তি শ্রমিকেরা কাজের খোঁজে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ঔরঙ্গবাদের খুলতাবাদ তালুকের বেশ কিছু কর্মহীন মানুষ মহারাষ্ট্র শিল্প উন্নয়ন নিগমে সাময়িক বা অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ নিয়েছেন। কানাড়াগাঁও এবং মহম্মদপুর গ্রামের শ্রমিকেরা ওয়ালুজ শিল্প উন্নয়ন নিগমে কাজ নিয়েছেন। তাও অস্থায়ী। সুদূর মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়াতে রোহিলাগড় গ্রামের ৪০ বছরের চাষি বিলাস টাকলে তাঁর ৪০০টি মিষ্টি মোসাম্বি লেবু গাছে জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। জালনা জেলাতে এই কৃষকের ৩০ একরের উপর তুলো চাষের জমি ছিল। তাঁর ৫৫০টি মোসাম্বি লেবুর গাছ এবং ১১৫০টি বেদানার গাছ ছিল। কিন্তু ২০১৮-র খরার পর থেকে এইসব ফলের গাছ পরিচর্যা করার আর কোনও উপায় তাঁর ছিল না। আরও এক মরিয়া চাষি প্রহ্লাদ পাতিল তার মুমূর্ষু অবস্থা বোঝাতে গিয়ে এক অত্যন্ত করুণ গল্পের অবতারণা করেছেন। এক বাঁদর তার একটি বাচ্চাকে নিয়ে নদী পেরচ্ছিল। বাচ্চাটিকে মাথায় নিয়ে নদীতে সাঁতার দিচ্ছিল। সবাই অবাক। ওঠার সময় বাঁদরটি সেই বাচ্চাটিকে পাড়ে তুলে আনার পরিবর্তে জলেই ফেলে দিল! লোকজনের অনুমান, বাঁদরটি হয়তো ভেবেছিল যদি বাচ্চাটি বেঁচে থাকে তাহলে হয়তো তার আরও একটি বাচ্চা হতে পারে। টাকলে নামে এক কৃষকের অবস্থা বোঝাতে গিয়ে পাতিল বলছেন, ২০০৪ সালে টাকলে অনেকগুলি জলের ট্যাঙ্কার কিনেছিলেন। সেগুলিতে করে ২০ কিলোমিটার দূর থেকে জল নিয়ে এসে তাঁর জমিতে জলসেচ করতেন। অর্থাৎ যদি তিনি জলসেচটুকু করতে পারেন তবে হয়তো তিনি বেঁচে যাবেন।
মরাঠাওয়াড়া রোহিলাগড়ের তুলোচাষ এবছর দারুণভাবে মার খায়। টাকলে বলছেন, যদি টাকাই না-থাকে তাহলে তোমার জলও থাকবে না। জালনা জেলার রোহিলাগড়ের আম্বাদ তালুক গোটা ভারতে মোসাম্বি লেবু চাষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখন সেগুলি শুকিয়ে কঙ্কাল হয়ে গিয়েছে, যা আর কিছুদিনের মধ্যেই জ্বালানির জন্য কেটে ফেলা হবে। কিছু কৃষক অত্যন্ত চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ করে জলসেচ করে যাচ্ছেন কিছু গাছে। এই আশায় যে যদি আগামী বছর সেখানে কিছু ফল ধরে। রোজ চাষিরা নিজেদের আলোচনায় এটাই বলতে থাকেন যে তাঁরা কীভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছেন!
রোহিলাগড়ের প্রথম বেদানা চাষি আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আড়াই হাজার গাছ রুয়েছিলেন। তাঁকে রোজ ৯ হাজার টাকার জলসেচ দিতে হতো। কিন্তু জলসেচের পরেও ফলন হবে এমন কোনও নিশ্চয়তা ছিল না। তিনি বলেছেন, মাসের শেষ হলে জলও শুকিয়ে যায়, টাকাও শেষ হয়ে যায়। মধ্য মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের আটটি জেলা ২০১২-১৩ সাল থেকে উপর্যুপরি খরায় জ্বলে যাচ্ছে। গান্ধীনগর আইআইটির গবেষকেরা দেখিয়েছেন, গোটা দেশের ৪১ শতাংশ অঞ্চল খরায় জ্বলছে।
নান্দেদ শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরের সায়েল গ্রামের সমস্ত নলকূপ গত পাঁচবছর ধরে শুকিয়ে গিয়েছে। শুকিয়ে গিয়েছে কুয়োও। প্রায় ৪০০ ফুট খুঁড়ে নলকূপ বসানোর কাজ চলছে। এখান থেকে তিন কিমি দূরে কিছুটা জলের খোঁজ আছে। সব বয়সি মহিলাকে সেখানে যেতে হয় জলের জন্য। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে এক কিশোরী জল আনতে গিয়ে কড়া রোদে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার জ্ঞান আর ফেরেনি। ট্যাঙ্কার দিয়ে জল দেওয়া হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেগুলি খাওয়ার অযোগ্য। রান্নার জন্য বেশি দামে জল কিনতে হচ্ছে। তীব্র গরমে সমস্ত জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। কৃষকরা প্রশ্ন করছেন, এর পর কী? দু’-তিনদিন অন্তর স্নান। গোখাদ্যের নিদারুণ অভাব। মাসাধিক কাল যাবৎ গবাদি পশুদেরও স্নান নেই। জল টেনে আনার কারণে মহিলাদের শিরদাঁড়ায় প্রচণ্ড ব্যথা। মারাঠাওয়াড়ার জলচিত্র এককথায় নিষ্ঠুর। কিন্তু, সব ছাপিয়ে আরও একটি ঘটনা। তীব্র খরাতেও বিদ থেকে পারভানি যাওয়ার পথে অন্তত ২০০ বছরের পুরনো কয়েকশো বটগাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, শুধু রাস্তা চওড়া করার জন্য! কিন্তু কৃষির সংকট বা খরা কোনোটিই মারাঠাওয়াড়ার নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করেনি!
নান্দেদ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রতাপ রাও পাতিল ছিকালিকার জিতেছেন। অথচ, অনেকেরই ধারণা ছিল, এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবন জিতে যাবেন। ২০১৭ সালেই নান্দেদ ওয়াঘালা পুর নির্বাচনে অশোক চ্যবন জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। হিঙ্গোলিতেও শিবসেনা-বিজেপি জোট জয়লাভ করে। একমাত্র ঔরঙ্গাবাদেই প্রকাশ আম্বেদকরের সংগঠনের প্রার্থী সেনা বিজেপিকে হারায়। কিন্তু ব্যবধান ছিল মাত্র ছ’হাজারের। ২০১৮-র আগস্টে এই ঔরঙ্গাবাদেই মারাঠা এবং দলিতদের মধ্যেই তীব্র দাঙ্গা বেধে গিয়েছিল। ওসমানাবাদ এবং পারভানিতেও বিরোধীরা জিততে পারেনি। বিদ এবং জালনাতেও বিজেপি প্রার্থীরা তাঁদের জয়কে অক্ষুণ্ণ রেখেছেন।
কাজেই প্রশ্ন হচ্ছে, জলের অভাবে কৃষিজমি ফুটিফাটা হয়ে গেলেও এইসব অঞ্চলে অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ভোট শক্তিশালী হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে প্রো-ইনকাম্বেন্সি ভোট! অস্বীকার করার উপায় নেই যে কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষাণ সম্মান, পিএম আশা, ফসল বিমা যোজনা, কৃষিঋণ মকুব, কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি নগদ অর্থপ্রদান সহ অনেকগুলি কৃষকমুখী কর্মসূচি নিয়েছিল। এবারের ভোটে তারই প্রতিফলন দেখা গেল কি? কিন্তু খরাক্লিষ্ট কৃষকদের অভিজ্ঞতা অন্যকথা বলছে।
মারাঠাওয়াড়ার হাতনুরের কৃষক রামচন্দ্র কলের কথাই ধরা যাক। কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়া স্লোগান তাঁর কাছে নিরর্থক। কৃষক পান্ধারিনাথ বির্ভের কথায়, ৭৫ শতাংশ কৃষক অনলাইন ফর্মফিলাপ করতে গিয়ে চরম নাজেহাল হচ্ছেন। ঋণমকুবের দরখাস্ত পূরণ করবার জন্য নিকটবর্তী সেবাকেন্দ্রে, যেটা অন্তত সাত কিমি দূরে, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে দিনে চারবার ছোটাছুটি করতে হয়। কারণ আধার কার্ডের সঙ্গে তাঁদের আঙুলের ছাপের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রতিদিন অন্তত ৪০০ দরখাস্তকারী সেবাকেন্দ্রে ভিড় করায় হয় কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গিয়েছিল অথবা সার্ভার কাজ করছিল না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমতো প্রতি মাসে দু’হাজার টাকাও তাঁরা পাননি।
এতদ্‌সত্ত্বেও খরাপীড়িত মারাঠাওয়াড়া থেকে বিজেপি জয়কে অক্ষুণ্ণ রেখে দিয়েছে! পলসওয়ারি গ্রামে (খুলদাবাদ তহসিল) প্রায় ৪০০ কৃষকের ব্যাঙ্কে ২০০০ করে টাকা ঢুকলেও কৃষি দপ্তর থেকে পাঠানো অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে না-মেলায় তাঁরা টাকাই তুলতে পারেনি। এরকম উদাহরণ অগুনতি। মূল কথা হচ্ছে, এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদিজির দলের বিজয়রথ অব্যাহত। কিন্তু যে প্রশ্নটা অনিবার্যভাবে ওঠে, তা হল, নির্বাচনে ঠিক কোনটা মূল ইস্যু ছিল? কথাগুলি এই মরশুমেরও তীব্র খরা আর-একবার প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
 লেখক মালদহের চাঁচল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক 
25th  July, 2019
ঐক্য বনাম বিভাজন
সমৃদ্ধ দত্ত 

 গ্রিসে ডেমোক্র্যাটদের একটি মতবাদের সঙ্গে সক্রেটিস একমত হয়েছিলেন। সেটি হল ব্যক্তি অথবা সমষ্টির কাছে সর্বোচ্চ লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘ভালো থাকা’। বিয়িং ওয়েল। একটা সমাজের সকলেই ভালো থাকবে প্রত্যেকের মধ্যে চারটি গুণ থাকলে। সক্রেটিসের মতে, সেই চারটি গুণ হল—জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষা, বিচারবোধ, সাহস এবং আত্মশৃঙ্খলা। আমাদের পারিপার্শ্বে আমরা এই চারটি গুণ দেখতে পাই না সচরাচর। তাই রাষ্ট্রের কোনও সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস কমে আসছে। কারণ সামাজিক ঐক্য নেই। দলীয় বিভেদ আছে। ঐক্য থাকলে রাষ্ট্রের কোনও অন্যায় রীতির সকলে মিলে বিরুদ্ধাচারণ করা সম্ভব। সফলভাবে।
বিশদ

একটি মোরগের ডাক এবং গ্রামীণ অধিকার
অতনু বিশ্বাস

 ছোটবেলায় সুকান্তর ‘একটি মোরগের কাহিনী’ পড়তে গিয়ে মোরগটার পরিণতির কথা ভেবে বেশ খানিকটা দুঃখবোধ হয়েছিল নিশ্চয়ই। সেখানে অবশ্য তার জীবনের অধিকারের বেশি আর কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না। আসলে গল্পের মোরগ তো আর শুধুমাত্র মোরগ হয়েই থাকে না।
বিশদ

25th  July, 2019
একশো পঁচিশে সংসদের বাঙালি পণ্ডিত
হারাধন চৌধুরী

কাটমানি আর ব্ল্যাকমানির তরজায় দেশের রাজনীতি আজ বিপন্নপ্রায়। রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা ও আগ্রহ নষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের, বিশেষত শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের। এ লক্ষণ সুখের নয়—মানুষের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য—কারও জন্যই নয়।
বিশদ

23rd  July, 2019
৫, ১০, ২০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির পথে
পি চিদম্বরম

রাজ্যসভায় ২০১৯-২০ বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বলেছিলাম, ‘‘যদি জিডিপির স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হয় তবে প্রতি ছ’বছরে জিডিপির আকারটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আর বৃদ্ধির হারটা যদি নমিনাল ১১ শতাংশ হয় তবে জিডিপি দ্বিগুণ হতে সময় নেবে সাত বছর।
বিশদ

22nd  July, 2019
২১ জুলাই সমাবেশ: মমতা কী বার্তা দেন জানতে উৎসুক বাংলা
শুভা দত্ত

ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিনটিতে বড়সড় সমাবেশের আয়োজন করে তাঁর প্রয়াত সহযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বিশদ

21st  July, 2019
ছোটদের বড় করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সব থেকে ভালো হয়, যদি আপনার ‘বাছা’কে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দেন। আনন্দে বেড়ে উঠুক। আলো চিনিয়ে দিন, অন্ধকার চিনিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখুন, ঠিকঠাক এগচ্ছে কি না! সামনে পিছনে কত ফাঁদ, চোরাবালি। আপনিই ঈশ্বর, ওকে রক্ষা করুন। ছোটদের ‘বড়’ করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে। দয়া করে ওর উপর মাতব্বরি করবেন না, হ্যাঁ আমরা মাতব্বরিই করি।
বিশদ

20th  July, 2019
জন্ম এবং মৃত্যুর দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি অকস্মাৎ আমার একটি বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এই উপলক্ষে জগতে সকলের চেয়ে পরিচিত যে মৃত্যু তার সঙ্গে আর-একবার নূতন পরিচয় হল। জগৎটা গায়ের চামড়ার মতো আঁকড়ে ধরেছিল, মাঝখানে কোনো ফাঁক ছিল না। মৃত্যু যখন প্রত্যক্ষ হল তখন সেই জগৎটা যেন কিছু দূরে চলে গেল, আমার সঙ্গে আর যেন সে অত্যন্ত সংলগ্ন হয়ে রইল না।
——— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

20th  July, 2019
অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন
মৃণালকান্তি দাস

 মই বেয়ে লুনার মডিউল ঈগল থেকে চাঁদের বুকে নামতে নামতে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘একজন মানুষের এই একটি পদক্ষেপ হবে মানবজাতির জন্য এক বিরাট অগ্রযাত্রা।’ সেই ছিল চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন আর মানবজাতির সেদিনের প্রমিথিউস ছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে নিলের পা ফেলার মাধ্যমে মানুষ চাঁদকে জয় করেছিল।
বিশদ

19th  July, 2019
বাঙালির যে সংস্কৃতি হারিয়ে গেল
জিষ্ণু বসু

ইদানীং রাজ্যে একটা গেল গেল রব শোনা যাচ্ছে। বাঙালি তার সংস্কৃতি হারাচ্ছে। বিজেপি ও আরএসএসের দৌরাত্ম্যে বাংলা যে চেহারা নিচ্ছে সেটা এ রাজ্যের সংস্কৃতির পরিপন্থী। বাঙালি বড়জোর ‘জয়দুর্গা’ বলতে পারে, কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ বলার প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

18th  July, 2019
পরিবারতান্ত্রিক সঙ্কট 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছবিটা খুব পরিচিত। নিজের দলের বিরুদ্ধেই ধর্নায় বসেছেন ইন্দিরা গান্ধী। ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস। আর তার নেপথ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার সংঘাত। একদিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা। অন্যদিকে কামরাজ, মোরারজি দেশাই, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি নিজলিঙ্গাপ্পা। 
বিশদ

16th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

নয়া শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দুই হল এই ভারতীয়ত্বের নাম করে মধ্যযুগীয় বাতিল চিন্তা ভাবনার জাবর কাটার প্রচেষ্টা। পঞ্চতন্ত্র, জাতক, হিতোপদেশের গল্পকে তাঁরা স্কুল পাঠ্য করতে চাইছেন, সংস্কৃত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অথচ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠ্যতালিকায় বহু ব্যক্তির জীবনীচর্চার উল্লেখ আছে, কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নাম সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে। রামমোহন-বিদ্যাসাগরই যে এদেশে প্রথম ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য লড়াই করেছিলেন তা কারোর অজানা নয়। ভারতীয় নবজাগরণের এই মনীষীরা যে আরএসএস-বিজেপির চক্ষুশূল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

15th  July, 2019
সাত শতাংশ বৃদ্ধির ফাঁদে
পি চিদম্বরম

 কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটগুলির মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত জট খুলল। মানুষের মধ্যে এই বাজেট নিয়ে কিংবা আগের বাজেট প্রস্তাবটি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। অতিশয় ধনীরা (সুপার রিচ ৬৪৬৭) বিরক্ত, তবুও ভয়ে স্পিকটি নট। ধনীদের স্বস্তি এখানেই যে তাঁদের রেয়াত করা হয়ে থাকে।
বিশদ

15th  July, 2019
একনজরে
 বুয়েনস আইরেস, ২৫ জুলাই: গত মাসে মেক্সিকান ক্লাব ডোরাডোসের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। সেই সময় তাঁর শরীর একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। হাঁটু ও ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই: বন্ধ হচ্ছে না উত্তরবঙ্গের ধুমচিপাড়া চা বাগান। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সংসদ সদস্য রাজু বিস্তার প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপির এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল স্বীকার ...

পাটনা, ২৫ জুলাই (পিটিআই): ইলেকট্রিক গাড়িতে বিধানসভায় এলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বার্তা দিতেই তাঁর এই কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবন থেকে ...

 দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই: পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বাংলাকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রেল। আর তাই ডানকুনির পর রেলের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরে (ডিএফসি) যুক্ত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের আরও দুটো শহর। কলকাতা এবং খড়্গপুর। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত পণ্য পরিবহণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৬: আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’র জন্ম
১৮৬৫: কবি ও সুরকার রজনীকান্ত সেনের জন্ম
১৯৫২: কবি মোহিতলাল মজুমদারের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.২০ টাকা ৬৯.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৫৭ টাকা ৮৭.৭১ টাকা
ইউরো ৭৫.৩৬ টাকা ৭৮.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৫৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,২৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ শ্রাবণ ১৪২৬, ২৬ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ৩৬/৫৯ রাত্রি ৭/৫৬। ভরণী ৩৪/২৯ রাত্রি ৬/৫৭। সূ উ ৫/৮/৫৯, অ ৬/১৭/৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩২ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৪৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২১ মধ্যে।
৯ শ্রাবণ ১৪২৬, ২৬ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, নবমী ২৬/১৩/২৪ দিবা ৩/৩৬/৩৭। ভরণীনক্ষত্র ২৬/৫৩/৩২ দিবা ৩/৫২/৪০, সূ উ ৫/৭/৪৬, অ ৬/২০/২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৪/২৬ গতে ৬/২১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ৩/১ গতে ৩/৪৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৫/৩৫ গতে ১০/৪/৪৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/৪/৪৫ গতে ১১/৪৩/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/২/১৫ গতে ১০/২৩/৫ মধ্যে।
২২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। বৃষ: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৬: আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’র জন্ম১৮৬৫: কবি ও সুরকার ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন উঠল 
তাঁদের দাবি মেনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করার ...বিশদ

07:28:00 PM

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা 

06:42:00 PM

শান্তিমিছিলে একসঙ্গে বিমান-সোমেন 
ভাটপাড়ায় কংগ্রেস এবং বামেদের যৌথ উদ্যোগে শান্তিমিছিলে একসঙ্গে হাঁটলেন বিমান ...বিশদ

06:12:20 PM

রবীন্দ্রসদন আপ লাইনে সমস্যা, ব্যাহত মেট্রো চলাচল 

04:49:54 PM