বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষুব্ধ জনতা মিলিতভাবে ফেরিঘাট পরিষেবা চালু করে দিলে সিটুর সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যবসায়ীরা একের পর এক দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন। ঘটনার জেরে নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর ৮ নম্বর রুটের বাস পরিষেবা, অটো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ১০টা নাগাদ নবদ্বীপ ঘাট-স্বরূপগঞ্জ ফেরি চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপগঞ্জ, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগরের অঞ্চলের তাঁত শ্রমিকদের তিরিশ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি, বোনাস সহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এই দাবিতে এর আগে এলাকায় মিছিল করে তারা। কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের কাছে তাদের ন্যায্য দাবিতে ডেপুটেশন দেয়। তারপর এদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে হঠাৎ করে ফেরিঘাট পরিষেবা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তাতে সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। মহেশগঞ্জ, তেওরখালি এলাকা থেকে কয়েক হাজার রাজমিস্ত্রি থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণ যাত্রী ও অফিস যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। তাঁরা অন্যান্য দিনে নবদ্বীপ ঘাট-স্বরূপগঞ্জ ফেরিঘাট পেরিয়ে নবদ্বীপে আসেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নবদ্বীপের তাঁত কাপড়ের হাট বসে। ফলে বহিরাগত যাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে। এদিন ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সকলে দুর্ভোগ পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছিল। দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে বচসা দেখে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিস প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সচেষ্ট হয়।
সিপিএমের নদীয়া জেলা কমিটির সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, তাঁত শ্রমিকদের দাবিগুলি যথেষ্ট বাস্তবিক। ২০১৫ সালের পর থেকে তাঁত শ্রমিকদের কোনও রকম মজুরি বাড়েনি। তাই তারা ন্যায্য দাবি নিয়ে পথে নেমেছে। ন্যায্য মুজুরির দাবি জানানোর অধিকার প্রতিটি শ্রমিকের আছে। আগামী সোমবার থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে তাঁত শ্রমিকরা। অন্যদিকে, নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, আন্দোলন করার অধিকার প্রতিটি মানুষেরই আছে। তা বলে কোনও পরিষেবা বন্ধ করে নয়। সিপিএমের অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই। তাই তারা আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করে সাধারণ মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি করছে। তাঁদের দোসর হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস বন্ধের নামে গুণ্ডামি বরদাস্ত করে না। তার জন্য যা যা করণীয় তাই করা হবে।
নবদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, নবদ্বীপের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। বাম-রাম এক হয়ে সমস্ত নবদ্বীপজুড়ে আশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে। নবদ্বীপের শান্তির বাতাবরণ অক্ষুন্ন রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।