বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্যকে হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেনি নতুন করা বাণভাসি হওয়ার আশঙ্কায় কার্যত বিনিদ্র রাত কাটানো রতুয়া ১ ব্লকের ফুলহার নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই।
উল্লেখ্য, দিন তিনেক আগেই মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের যে অংশটি ফুলহারের প্লাবন থেকে বিস্তীর্ণ জনপদকে রক্ষা করে তার একটি বড় অংশকে গ্রাস করেছিল ফুলহারে ভাঙন। বর্ষার শুরুতেই ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠছিল ফুলহার। উপচে পড়া চলে প্লাবিত হয়েছিল রতুয়া ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বেশকিছু এলাকা। এরপরে হঠাৎই ধীরে ধীরে নামতে থাকে ফুলহারের জলস্তর। কিন্তু স্বস্তি অধরাই থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শুরু হয় তীব্র ভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়ে ধীরে ধীরে ফুলহারের গর্ভে চলে যেতে থাকে একের পর এক আমবাগান ও জমি। শেষ পর্যন্ত ভাঙনের ধাক্কা এসে পৌঁছয় মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের গোড়াতেও। স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি প্রমাদ গুণতে শুরু করেন সেচ দপ্তরের কর্তারাও।
কিন্তু ভাঙনের ধাক্কায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় ওই বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার অংশ। তবে জলস্তর কম থাকায় ফুলহার সাময়িকভাবে রেয়াৎ করেছিল সংলগ্ন জনপদকে। কিন্তু বুধবার থেকে ফুলহারের জলস্তর আবার আগের মতোই বাড়তে শুরু করলে তীব্র হতে থাকা আশঙ্কা। সেই আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল বৃহস্পতিবার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে জনপদে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ফুলহার।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে প্রশাসনের লোকজন এলাকায় ছুটে যান। তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচ দপ্তর সময়ে সংস্কার করেনি বাঁধের। জনপদের দিক থেকে ফুলহারের মুখ ঘুরাতে তৈরি হয়নি ক্যানাল। এখন বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী রিং বাঁধ তৈরি করে ফুলহারের গ্রামে প্রবেশ রুখতে যা করা হচ্ছে তাতে বিপদ আরও বাড়বে। স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, অস্থায়ী রিং বাঁধ সঙ্কট আরও ঘনীভূত করবে। ওই বাঁধ ফুলহারকে রোখা তো দূরস্থান, ফ্ল্যাশ ফ্লাড হলে দ্রুত ঢুকে পড়বে নদীর জল। সভাধিপতি ও জেলাশাসক বলেন, আপাতত জল আটকাতে এই রিং বাঁধ তৈরি জরুরি। আপনারা সেচ দপ্তরের পাশে থাকুন। বর্ষার মরশুম শেষ হলেই ফুলহারের জলকে চ্যানেল করার চেষ্টা শুরু হবে। সংস্কার করা হবে বাঁধটিকেও।
এদিকে এদিন সকালে মানিকচকের ভূতনির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন সভাধিপতি ও জেলাশাসক। হীরানন্দপুরের বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা। দু’জনেই জানিয়েছেন, ভাঙনের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই করা হচ্ছে ভূতনিতেও।