বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
প্রেম কারও কাছে কিছু চায় না বলে ভগবানও তাকে চান।
কোন দিন কাটবে ব্যথা-বিষণ্ণতায়? একটি সোনার চাবি রয়েছে কাছে, —মনের দুয়ার খুলে মুক্ত আলোর অঙ্গনে বেরিয়ে এলেই হয়।
এই জীবনকে মন্থন করে পেতে হয় সুধা, আকাশে ডানা ভাসিয়ে স্নান করতে হয় আলোয়। কত স্বপ্ন, কত সোনার ফুল ছড়িয়ে আছে—একে অতি যত্নে কুড়িয়ে নিতে হয়। অন্য কোথাও আনন্দের অন্বেষণ করতে হয় না, এই জীবনেই রয়েছে তা, কত রসে, রহস্যে কানায় কানায় পূর্ণ। আত্মস্থ হয়ে জীবনের গভীরে ডুব দিলেই মিটে সকল পিপাসা।
আত্মার স্বরূপই হ’ল চির আনন্দময়। বহু বাসনায় তাকে আচ্ছন্ন করে আছে। এই বাসনার নির্মোক নির্মল নামাগ্নিতে নিঃশেষে দগ্ধ হয়ে গেলে—সৎ, চিৎ, আনন্দকে লাভ করে মানুষ ধন্য হয়।
দেহযন্ত্রটি যাতে অকালে বিকল না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন। এই দেহ এক অমূল্য সম্পদ—দেহ সুস্থ না থাকলে জীবনসাধনা কিংবা সংসারধর্ম কোনটিই সুচারুরূপে সম্পন্ন করা যায় না, জীবন বিস্বাদ, নিরানন্দ হয়ে ওঠে। আর সমস্ত জীবন তো এখন প্রভুর চরণে সমর্পণ করে ফেলেছেন—তিনি যে দেহ-মন্দিরে বাস করেন, তাকে পবিত্র সুন্দর সুস্থ রাখা আপনার কর্তব্য—এতে অবহেলা করলে তাঁর কাছে অপরাধী হতে হবে।
জীবন বিফলে গেল—এ-কথা ভাবছেন। আপনাকে ভগবান যে ভাবসম্পদের উত্তরাধিকার দিয়েছেন, তা ক’জনে পায়। এ সংসারে ক’জনে সুন্দরের স্বপ্ন দেখে, অপূর্বের দীপ জ্বেলে অন্তরে তাঁর প্রতীক্ষা করে, বেদনার মণিতে গাঁথে স্মরণের মালা! ঈশ্বর অনেক দূরে নন, অনেক পথ খুঁজে তাঁকে অন্বেষণ করতে হবে না। সেই পরম প্রার্থিতকে আপনার পতির মধ্যে অন্বেষণ করুন, একান্তমনে যদি তাঁকে ভালবাসতে পারেন, এতেই মিটে যাবে প্রাণের সকল পিপাসা। অবশ্য, ভালোবাসা গাছের ফল নয়, ইচ্ছা করলেই তা লাভ করা যায় না। অনেক মূল্যে কোনো কোনো ভাগ্যবান এই দুর্লভ ধন পেয়ে থাকেন।