ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
বাকযুদ্ধ শুরু করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। গত শনিবার সেই কন্ধমালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি কাগজ না দেখে নবীন ওড়িশার সবকটি জেলার নাম ও জেলার রাজধানীর নাম বলুন। যদি মুখ্যমন্ত্রী তা না পারেন তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন তো কী ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আপনারা? নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ কি এদের হাতে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন?’ মোদি আরও বলেন, ‘ওড়িশার খনিজ সম্পদ গুজরাতের চেয়ে একশোগুণ বেশি। অথচ গুজরাত সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে সুযোগ দিলে ওড়িশা এক নম্বর হবে।’ ওড়িশার সংস্কৃতি, ভাষা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর জবাবে তিন মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় একাধিক বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী নবীন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সংস্কৃত ভাষার জন্য আপনি এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, কিন্তু ওড়িয়ার মতো একটি ধ্রুপদী ভাষার জন্য একটি পয়সাও ব্যয় করেননি। শাস্ত্রীয় ওড়িশি সঙ্গীতের স্বীকৃতির জন্য দু’বার প্রস্তাব পাঠালেও প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’ মোদি ওড়িশার বীর সন্তানের কথা বললেও কেন একজনও ‘ভারতরত্ন’ পাওয়ার যোগ্য হলেন না সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, কয়লা ওড়িশার প্রধান খনিজ সম্পদ। অথচ গত দশ বছরে কয়লার রয়্যালটি বাড়ানোর কথা ভুলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী! নবীনের অভিযোগ, কৃষকের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দ্বিগুণ করা, উপকূল অঞ্চলে হাইওয়ে তৈরি, জিনিসপত্রের দাম কমানো, বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরির মতো একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মমতার মতো তাঁরও অভিযোগ, প্রাপ্য থেকে রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। মোদিকে পাল্টা কটাক্ষ করে নবীন আরও বলেছেন, ওড়িশার মানুষের মন জয় করতে পারবে না বিজেপি। ষষ্ঠবারের মতো সরকার গঠন করবে বিজেডিই।
বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে আসলে মমতার ‘ইকো’ই শোনা গিয়েছে নবীনের গলায়। রাজ্যে অন্য দলের সরকার, অতএব রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে মোদি সরকার যে ‘ভাতে মারার’ কৌশল নিয়ে চলেছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলা। এ রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দিল্লির কাছে পাওনা হয়েছে মোট এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার কোটি টাকা। নানা অজুহাতে সেই টাকা দিচ্ছে না মোদি সরকার। এরমধ্যে ১০০ দিনের কাজের তিন বছর ধরে মজুরির টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ উপভোক্তার টাকা দেয়নি কেন্দ্র। মমতা অবশ্য রাজ্যের তহবিল থেকেই ১০০ দিনের বকেয়া মিটিয়েছেন, ঘর বানাতে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বঞ্চনার নিত্যনতুন নজিরও তৈরি করেছে মোদি সরকার। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রং কেন গেরুয়া করা হয়নি সেই অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে দিয়েছিল দিল্লি। অবশ্য নবীনের মতো মমতাও আত্মবিশ্বাসী যে, বিজেপিকে এই বঞ্চনার জবাব দেবেন বাংলার মানুষ।