বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে নতুন করে আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগপর্বের সূচনা হল বৃহস্পতিবার। সেদিন চর্মনগরীতে এক অনুষ্ঠানে কানপুর, চেন্নাই এবং কলকাতার উদ্যোগীরা শিল্প ইউনিট গড়ার জন্য ৭০ একর জমির প্লটের অধিকার পেলেন। এই জমিতে ১৮৭টি নতুন প্রকল্প গড়ে তুলবেন বিনিয়োগকারীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আরও আড়াইশো বিনিয়োগকারীকে চলতি বছরের মধ্যেই এখানে ইউনিট গড়ার জন্য জমি দেওয়া হবে বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেখানে বলেন, কানপুর থেকে আরও বহু উদ্যোগী আসছেন চর্মনগরীতে বিনিয়োগ করতে। যে পরিকাঠামো, বিনিয়োগ আর শিল্প ইউনিট নিয়ে চর্মনগরী এগিয়ে চলেছে, তা আগামীদিনে দেশের মধ্যে তো বটেই, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘লেদার গুডস হাব’ হয়ে উঠবে। ৮০ হাজার কোটি টাকার যে বিনিয়োগ প্রস্তাব কার্যকর করা শুরু হয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে পাঁচ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা ভোট ইস্তক মূল কলকাতার বাইরে এদিনই ছিল মমতার প্রথম সরকারি অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এহেন বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে কানপুর, চেন্নাই থেকে চর্মশিল্পের পাট গুটিয়ে যে বা যাঁরা ‘কর্মদিগন্তে’ বিনিয়োগ করতে আসছেন, জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের ‘বিশেষ ছাড়’ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভিনরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা এখানকার অতিথি। তাঁদের জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। কর্মদিগন্তে গোটা প্রকল্প তদারকির জন্য নোডাল এজেন্সি এবং হেল্প ডেস্ক চালু করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একই অনুষ্ঠানে বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা-পাচামি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ছাড়পত্র পাওয়া এবং সেই সঙ্গে পরিবেশগত যাবতীয় কেন্দ্রীয় মঞ্জুরির কথাও শোনান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, দেউচা-পাচামির খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ছাড়পত্র পেতে তিন-চার বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। ওখানে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সুতরাং, দেখা যাচ্ছে—এরাজ্যকে দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকায় নিয়ে যেতে তাঁর নিরলস প্রয়াসের ফল কী হতে পারে! একদিকে ধর্মীয় বিভাজনের লক্ষ্মণগণ্ডি টেনে এরাজ্যের গলায় বিষ ঢালার চেষ্টা করছে একটি রাজনৈতিক দল। তাদের লাগাতার সন্ত্রাস, গুণ্ডামি, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অসম লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে রাজ্যের প্রশাসনিক মাথা হিসেবে মমতাকেই। তারই মধ্যে উন্নয়ন বিশেষত আর্থিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শক্তিশালী করার যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দাঁড়কাকের মতো বিরোধীদের দিনভর কু-ডাকেও হয়তো বিশেষ কাজ হবে না। তাঁর এই অবিচল প্রয়াস, ভোটের রাজনীতির কাঁটাকে উপড়ে দিতে পারে।