বিদ্যায় অস্থির মানসিকতা থাকবে। কর্মপ্রার্থীদের কোনও শুভ যোগাযোগ হতে পারে। রাগ বা জেদের বশে কারও ... বিশদ
সংবাদে প্রকাশ, গোরু পাচারে বাধা দেওয়ায় গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে বিএসএফের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারীরা। তাদের ছোঁড়া শক্তিশালী বোমার আঘাতে এক বিএসএফ জওয়ানের ডান হাত উড়ে গিয়েছে। এছাড়াও ওই জওয়ানের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। তিনি এখন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। পাচারকারীদের একজন জখম হলেও সে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।
বিএসএফ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, ২৫ জন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারী এ দেশের আংরাইল সীমান্তে আসে। তারা এ পারের কয়েকজন ব্যক্তির সহায়তা নিয়ে ওই সীমান্ত দিয়ে ১০-১৫টি গোরু এপার থেকে ওপারে পাচার করার চেষ্টা করছিল। ওই পাচারকারীরা শক্তিশালী বোমা, দা, হাঁসুয়া, হকি স্টিক, জোরাল টর্চ সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। সন্দেহজনকভাবে সীমান্তে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে বিএসএফের ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাদের গতিরোধ করে। বিএসএফের তাড়ায় পিছু হটার বদলে তারা টর্চ দিয়ে বিএসএফ জওয়ান আনিসুর রহমানকে দেখতে পায়। তারপরই তাঁকে লক্ষ্য করে একটি বোমা ছোঁড়ে। কিন্তু, সেই বোমা সরাসরি তাঁর শরীরে লাগেনি। তাঁর কাছেই বিকট শব্দে বোমাটি ফাটে। বোমা ছুঁড়ছে দেখেই আত্মরক্ষার স্বার্থে ওই বিএসএফ জওয়ান পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। ঠিক তখনই গোরু পাচারকারীরাও ওই জওয়ানকে খুন করার জন্য তাঁকে লক্ষ্য আরও একটি শক্তিশালী বোমা ছোঁড়ে। সেই বোমা উড়ে এসে আনিসুর রহমানের ডান হাতে লেগে ফাটে। বোমার আঘাতে তাঁর ডান হাতের কবজি সম্পূর্ণ উড়ে যায়।
এই ঘটনার পর বিএসএফের কর্তাব্যক্তিরা প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটিকে তাঁরা খুবই গুরুত্বের চোখে দেখছেন। সীমান্তে পাচারকারী ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাতে এভাবে বিএসএফের উপর হামলা আর না হয়। পাশাপাশি, এই ঘটনায় বাংলাদেশের বিজিবিকেও (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে সীমান্তে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে তাদের কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছে ভারত।
কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে যে— আমাদের দেশের রাজনীতি ও ভোটব্যাঙ্ক। অনেক সময়েই আমাদের দেশের সরকারি কর্মী হোক বা পুলিস, মিলিটারি কিংবা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান—দুষ্কৃতী বা রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হাতে বেদম মার খেলেও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় তারা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে না, বলা ভালো দমনের নির্দেশ জোটে না। আর সে কারণেই পড়ে পড়ে মার খেতে হয় তাঁদের। ফলে, এই ব্যবস্থার বদল প্রয়োজন। অবশ্য প্রয়োজন। তা না হলে, বাহিনীগুলির মনোবলই ভেঙে পড়বে। বাহিনীগুলিকে ঠুঁটো করেই যদি রাখা নীতি হবে, তাহলে তাদের হাতে গাণ্ডীব ধরিয়ে রেখে লাভ কী?