পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
টর্নেডো যেমন মুহূর্তে সব কিছু তছনছ করে দেয়, যশপ্রীত বুমরাহর দুটো ওভার সেভাবেই টলিয়ে দিল আরসিবি’র ভিত। শুরুতে বিরাট কোহলি ও জ্যাকসের উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আরসিবি। অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসি ও রজত পাতিদার তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন। রান রেটও গতি পাচ্ছিল। দুশোর গণ্ডি টপকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল স্কোরবোর্ড। কিন্তু ১৭ এবং ১৯তম ওভারে দু’টি করে উইকেট নিয়ে আরসিবি’কে জোর ধাক্কা দেন বুমরাহ। সুযোগ ছিল হ্যাটট্রিকের। ঘরের ছেলের বিস্ফোরক বোলিংয়ে ওয়াংখেড়ের গ্যালারি গর্জে উঠছিল বুম বুম বুমরাহ ধ্বনিতে। তারই মধ্যে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দীনেশ কার্তিক পাল্টা প্রত্যাঘাত হানেন। ২৩ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ডু’প্লেসির সংগ্রহ ৬১। রজত আউট হন ৫০ রানে। ত্রয়ীর ব্যাটে ভর করে প্রায় দুশোর কাছে পৌঁছে যায় আরসিবি’র স্কোর।
টস জেতার পর মুম্বইয়ের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া প্রথমে ফিল্ডিং নেন। শুরুটা ভালো হয়নি আরসিবি’র। প্রথম থেকেই নড়বড়ে লাগছিল কোহলিকে। শেষ পর্যন্ত বুমরাহর বলে ৩ রানে কট বিহাইন্ড হন তিনি। তুলে মারতে গিয়ে ৮ রানে ফেরেন উইল জ্যাকস। জোড়া ধাক্কা সামলে দলকে টেনে তোলেন ডু’প্লেসি ও রজত পাতিদার। তবে আবারও ব্যর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (০)। চাপের মুখে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখালেন দীনেশ কার্তিক। মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে বুমরাহ একাই ২১ রান দিয়ে নিলেন পাঁচটি উইকেট।
জবাবে শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাটিংয়ের পথ বেছে নেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার ঈশান কিষান ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ১০১ রান তুলে জয়ের ভিত গড়ে দেন তাঁরাই। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৬৯ রান করে আউট হন ঈশান। রোহিতের সংগ্রহ ৩৮। তিন নম্বরে নেমে নামের প্রতি সুবিচার করলেন সূর্যকুমার যাদবও। চোট সারিয়ে ফেরার পর গত ম্যাচে হতাশ করেছিলেন তিনি। তবে এদিন চেনা মেজাজে মাত্র ১৯ বলে উপহার দিলেন ৫২ রানের ইনিংস। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে ফেলেন অধিনায়ক হার্দিক (অপরাজিত ২১) ও তিলক ভার্মা (অপরাজিত ১৬)। হারের হ্যাটট্রিক সামলে টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে উঠে এল মুম্বই।