পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
(ইউস্তে, মনবীর, অনিরুদ্ধ, সাদিকু)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দ্বিতীয়ার্ধে আট মিনিটের ঝড়। তাতেই তছনছ বেঙ্গালুরু রক্ষণ। বৃহস্পতিবার কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষকে চার গোলের মালা পরিয়ে লিগ-শিল্ড জয়ের দৌড়ে রইল মোহন বাগান। ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তোলেন যথাক্রমে হেক্টর ইউস্তে, মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা ও আর্মান্দো সাদিকু। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন সুনীল ছেত্রী। না হলে দ্বিতীয়ার্ধে এতটা একপেশে লড়াই হতো না। এই জয়ের সুবাদে ২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্টে পৌঁছল মোহন বাগান। শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের চেয়ে দু’পয়েন্টে পিছিয়ে তারা। তাই লিগ-শিল্ড খেতাবের জন্য আগামী সোমবার বাণিজ্যনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিকে হারাতেই হবে পেত্রাতোসদের।
অতীতে ভারতীয় ফুটবলে এই দুই দলের দ্বৈরথ অন্য মাত্রা পেয়েছে। এদিনও তার কোনও খামতি ছিল না। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ এবং প্রতি-আক্রমণে খেলা চলে। নবম মিনিটে রেফারি রাহুল গুপ্তা সহৃদয় না হলে লাল কার্ড দেখতে পারতেন আমনদীপ। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের বুকে পা তুলেও হলুদ কার্ড দেখেই পার পেয়ে যান তিনি। তবে প্রতিবাদ করতে এসে কার্ড দেখেন বেঙ্গালুরুর দুর্গপ্রহরী গুরপ্রীত।
মাস্ট উইন ম্যাচে গোলের জন্য শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মোহন বাগান। তবে প্রথম সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। পাঁচ মিনিটে শিভাল্ডোর সেন্টার থেকে সুনীলের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৭ মিনিটে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন হেক্টর ইউস্তে। দিমিত্রির কর্নার থেকে প্রথম প্রচেষ্টা পোস্টে লাগলেও, ফিরতি বল বাঁ পায়ের শটে জালে জড়াতে ভুল হয়নি তাঁর (১-০)। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সাদিকু সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়াতেই পারত মোহন বাগান। ২০ মিনিটে সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সুরেশ সিংয়ের শট রুখে দলের পতন আটকান বিশাল।
চলতি মরশুমে মোহন বাগানের আপফ্রন্টের দুরন্ত পারফরম্যান্স ঢেকে দিয়েছে রক্ষণের যাবতীয় দুর্বলতা। এদিন আরও একবার ডিফেন্সের ভুলে পেনাল্টি হজম করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ৩৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে সুনীলকে ফাউল করেন আনোয়ার আলি। তবে স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। জাতীয় দলের সহ-ফুটবলার বিশালকে পরাস্ত করতে আপার নেটই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা ক্রসবারে ধাক্কা খায়।
অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আমনদীপের পরিবর্তে আশিস রাইকে নামিয়ে প্রতিপক্ষের উইং প্লে’তে রাশ টানেন হাবাসের সহকারী ম্যানুয়েল। একইসঙ্গে লক্ষ্য ছিল গোল ব্যবধান বাড়ানো। ৫১ মিনিটে জনি কাউকোর ব্যাকহিল থেকে দুরন্ত প্লেসিংয়ে জাল কাঁপান মনবীর (২-০)। আর তিন মিনিট বাদেই ৩-০ করেন অনিরুদ্ধ থাপা। জনি কাউকোর শট গুরপ্রীত বিপন্মুক্ত করলেও তা পৌঁছয় অরক্ষিত দিমিত্রির কাছে। সেই বল গোলের জন্য সাজিয়ে দেন অনিরুদ্ধকে। দ্রুত গতিতে উঠে আসায় শরীর এগিয়ে গেলেও বাঁ পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত টোকায় গুরপ্রীতকে পরাস্ত করতে সফল বাগানের এই মিডিও (৩-০)। তিন গোলে পিছিয়ে পড়তেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যায় বেঙ্গালুরু। হারের আগেই বশ্যতা স্বীকার করে তারা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৯ মিনিটে বিএফসি কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সাদিকু (৪-০)।
মোহন বাগান: বিশাল, আনোয়ার, ইউস্তে (হামিল), শুভাশিস, মনবীর, অভিষেক (হামতে), অনিরুদ্ধ, আমনদীপ (আশিস), কাউকো (দীপ্যেন্দু), পেত্রাতোস ও সাদিকু (কামিংস)।