পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কিন্তু খেলাটার নাম ক্রিকেট। ফরম্যাট টি-২০, যেখানে দ্রুত বদলায় ছবি। সেই ভরসাতেই চরম দুঃসময়েও ভুল শুধরে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে দিল্লি ক্যাপিটালস। শক্তির নিরিখে দুই দলের মধ্যে ফারাক খুব বেশি নয়। পৃথ্বী সাউ ফেরার পর দিল্লির ব্যাটিং শক্তিশালী হয়েছে। তবে ডেভিড ওয়ার্নারের খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। বরং প্রশংসা করতে হবে বাংলার অভিষেক পোড়েলের। তারকাদের মঞ্চে তিনি লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। গত ম্যাচেও পেয়েছেন বড় রান। তাই লখনউয়ের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা থাকছে।
দিল্লির ব্যাটিং অর্ডারে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। ট্রিস্টান স্টাবস মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বলে করেছিলেন অপরাজিত ৭১। তাঁকে মূলত ফিনিশার হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঋষভ পন্থ যদি ফর্ম ধরে রাখতে পারেন, তাহলে কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন লখনউয়ের বোলাররা। মিডল অর্ডারে ললিত যাদব ও অক্ষর প্যাটেলের মতো অলরাউন্ডার আছেন। বোলিংয়ে দিল্লি কিছুটা দুর্বল। খলিল আহমেদ, ঝাই রিচার্ডসন ও বর্ষীয়ান ঈশান্ত শর্মাকে দিয়ে বড় কিছু আশা না করাই ভালো। অ্যানরিখ নর্তজেও ফর্মে নেই। লখনউয়ের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে কুলদীপ যাদবের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
লখনউ সুপার জায়ান্ট হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ঠিকই, তবে ভুল শুধরে তারা দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে লোকেশ রাহুলদের। তবে সমস্যা হল লখনউয়ের শুরুটা ভালো হচ্ছে না। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হচ্ছেন কুইন্টন ডি’কক। চোটমুক্ত হলেও লোকেশের ব্যাটে সেই ঝাঁঝ চোখে পড়ছে না। সেদিক থেকে মিডল অর্ডার টানছে দলকে। মার্কাস স্টোইনিস, নিকোলাস পুরান শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান যোগ করছেন। এছাড়া আছেন দেবদূত পাদিক্কাল, অলরাউন্ডার ক্রুণাল পান্ডিয়া এবং আয়ূষ বাদোনি।
মজার ব্যাপার হল লখনউয়ের বোলিংয়ে বড় তারকা নেই। কিন্তু মায়াঙ্ক যাদব, যশ ঠাকুরের মতো তরুণ পেসাররা গতির বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আছেন নবীন-উল-হক। ক্রুণালের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে রবি বিষ্ণোইকে খেলানো হতে পারে।