মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
তাৎপর্যের হল, ভারতের দশটি উইকেটই নিয়েছে পেসাররা। তার মধ্যে বাঁ-হাতি মিচেল স্টার্কের একার শিকার সংখ্যা পাঁচ। শুভমান গিল দিয়ে শুরু। তারপর একে একে রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, লোকেশ রাহুল ও মহম্মদ সিরাজকে ফেরান তিনি। এই নিয়ে ৯বার ওয়ান ডে’তে পাঁচ উইকেট নিলেন স্টার্ক। ওয়াংখেড়েতে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ভারত অধিনায়ক রোহিত বলেছেন, ‘একজন বিশ্বমানের বোলার ফর্মে থাকলে উইকেট নেবেই। আমাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের ফেরাতে বদ্ধপরিকর ছিল স্টার্ক। ও বাঁ-হাতি না ডান-হাতি, সেটা কোনও ব্যাপার নয়। অতীতে ডান-হাতি পেসাররাও তো আমাদের ঝামেলায় ফেলেছে! আসল কথা হল, উইকেট হারানো মানেই চাপ বেড়ে যাওয়া। আমরা কীভাবে আউট হচ্ছি, তা দেখছি। এটা কাটাতে হলে আরও ভালো পরিকল্পনা দরকার। সিমারদের কীভাবে সামলাব, তা ঠিক করতে হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যখন কোনও কিছু ঠিকঠাক হয় না, তখন অনেক ভাবনাই উঠে আসে। তবে আমরা সেরা দলই মাঠে নামিয়েছি। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটা নেওয়া যায়নি রবিবার। কে বলতে পারে, চেন্নাইয়ে অন্যরকম হবে না!’ রোহিত সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগের ছয়টি ম্যাচেই টপ-অর্ডার ছন্দে ছিল। উপরের সারির ব্যাটাররা প্রচুর রান করেছে। তাই খুব একটা উদ্বেগের কিছু দেখছি না। ঠিক সময়েই এগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব।’
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েছেন সূর্যকুমার। সিরিজের দু’টি ম্যাচেই প্রথম বলে আউট হয়েছেন তিনি। এই ঘরানায় মোট ২০ ইনিংসে তাঁর গড় মাত্র ২৫.৪৭। দু’বারের বেশি পঞ্চাশের গণ্ডি টপকাতে পারেননি সূর্য। এই সিরিজে দু’বারই তিনি স্টার্কের শিকার। প্রশ্ন উঠছে, আর কত সুযোগ দেওয়া হবে তাঁকে? রোহিত অবশ্য আড়াল করেছেন সূর্যকে, ‘ওকে টানা আট-দশটা ম্যাচে খেলানো দরকার। তবেই ও স্বচ্ছন্দ হবে এই ঘরানায়। এখন কেউ অসুস্থ হলে বা স্কোয়াডে না থাকলে তবেই সুযোগ পায় সূর্য। একটানা খেলানোর পরও রান না পেলে তখন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। সেই সময় এখনও আসেনি। আর সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের প্রতিভা আগেই মেলে ধরেছে ও।’ উল্লেখ্য, বুধবার চেন্নাইয়ে হবে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় ওয়ান ডে। সোমবার দুই দলই পৌঁছে গিয়েছে সেখানে।