সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
শনিবার গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএলের খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল এটিকে মোহন বাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। ভারতীয় ফুটবলে এই দুই দলের দ্বৈরথ সবসময় আলাদা মাত্রায় পৌঁছেছে। শনিবার ফাইনালে আরও একবার একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে মরিয়া তাঁরা। আর এই দ্বৈরথে দুই কোচের স্ট্র্যাটেজি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। মরশুমের শুরু থেকে একাধিক খামতি মেটানোর জন্য ফেরান্দোর অস্ত্র টিম গেম। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ তৈরি মোহন বাগানের ইউএসপি। সবুজ-মেরুনের প্রান্তিক আক্রমণও বেশ জোরদার। পক্ষান্তরে, লিগের ফিরতি পর্বে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার ছকেই সফল বিএফসি ব্রিটিশ কোচ সিমোন গ্রেসন। ফাইনালেও সেই কৌশলেই বাজিমাত করতে চান তিনি।
লিগ পর্বের লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিয়েছে মোহন বাগান ও বেঙ্গালুরু। প্রথম লেগে বাগিচা শহরে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল হুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ফিরতি পর্বে যুবভারতীতে শেষ হাসি হাসেন রয় কৃষ্ণা-সুনীল ছেত্রীরা। এবার পালা খেতাব জয়ের। একটা সময় দু’দলের কাছেই প্লে-অফে পৌঁছনোর পথটা বেশ কঠিন মনে হয়েছিল। লিগ টেবিলে ন’নম্বরে নেমে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তারপর টানা ১১টি ম্যাচ জিতে গোয়ায় পা রেখেছে সিমোন গ্রেসনের দল। আর মোহন বাগান টানা পাঁচটি ম্যাচে অপরাজিত। সেমি-ফাইনালে দু’দলই টাই-ব্রেকারে জিতে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তাই ফাইনালে ৯০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ করা লক্ষ্য দুই কোচের।
চলতি আইএসএলে দলে দক্ষ স্কোরারের অভাব নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এটিকে মোহন বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। ফাইনালের আগেও সেই ভূত তাড়া করল তাঁকে। শনিবার বেঙ্গালুরুর জাল কাঁপানোই বড় চ্যালেঞ্জ বাগান অ্যাটাকারদের সামনে। তবে ডিফেন্ডারদের পারফরম্যান্স অবশ্যই স্বস্তি জোগাচ্ছে কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে। লিগ পর্বে ১৭টি গোল হজম করেছেন প্রীতমরা। বিশেষত স্লাভকো ডামজানোভিচ আসার পর মোহন রক্ষণকে অনেক বেশি জমাট দেখাচ্ছে। শেষ চারটি ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে সফল তারা। ফাইনালে কৃষ্ণা-সুনীলদের দুরন্ত দৌড় থামিয়ে এই ছন্দ ধরে রাখাই লক্ষ্য সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের। চোটের জেরে সেমি-ফাইনালে খেলতে পারেননি আশিক কুরুনিয়ান। তবে ফাইনালে দলে ফিরতে পারেন এই তরুণ উইঙ্গার। পাশাপাশি এদিন বাড়তি নজর ছিল দুই ‘লোকাল বয়’ লিস্টন কোলাসো ও গ্লেন মার্টিন্সের উপর।
দুরন্ত ছন্দে রয়েছে বেঙ্গালুরুও। রক্ষণ থেকে আপফ্রন্ট— সব বিভাগেই বেশ জমাটি তারা। শনিবার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া সিমোন গ্রেসনের দল। গত কয়েকটি ম্যাচে সুনীলকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেছেন গ্রেসন। ফাইনালেও সম্ভবত বেঞ্চে বসেই শুরু করবেন তিনি। তবে মেগা ম্যাচের কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় বদল এলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।