বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
আইএসএল’কে দেশের সর্বোচ্চ লিগ ঘোষণা করেছে প্রফুল্ল প্যাটেল অ্যান্ড কোং। এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখিয়েছিল মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল, মিনার্ভা পাঞ্জাব, আইজল এফসি, চার্চিল ব্রাদার্স, গোকুলাম কেরালার মতো ক্লাব। দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। উভয়েই এই সমস্যা নিয়ে ফিফাকে চিঠি পাঠায়। ক্লাব জোটের দেওয়া চিঠি পেয়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কাছে এই চাপানউতোরের কারণ জানতে চায় ফিফা। পাশাপাশি দুই লিগকে সংযুক্তিকরণের পরামর্শও দেওয়া হয়। তখন এআইএফএফ পাল্টা ফিফাকে জানায় যে, এই মুহূর্তে দুই লিগকে মিলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাদের পরামর্শের সঙ্গে একমত হলেও ভারতীয় ফুটবলের বাস্তবিক চালচিত্রে তা বলবৎ করার জন্য আরও দুই-তিন বছর সময় প্রয়োজন। বিদ্রোহী ক্লাবগুলির সঙ্গে করা আলোচনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। ফিফার পরামর্শ অনুযায়ী ভবিষ্যতে আইএসএলেও অবনমন চালু করার কথা ভাবছেন প্রফুল্ল প্যাটেল-কুশল দাসরা।
মিনার্ভা পাঞ্জাবের কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজকে পাঠানো চিঠিতে ফিফা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ বাস্তবায়িত করার জন্য বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তা মেটানোর জন্য ফেডারেশনের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে স্টেকহোল্ডারদের। ক্লাবজোটের সঙ্গে বৈঠকে ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল স্বল্পমেয়াদি সমাধানের কথা বলেছেন। তিনি আশা করেছেন, আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে স্থায়ী সমাধানসূত্র নিশ্চয়ই বের করা সম্ভব হবে। এআইএফএফ’এর উপর ফিফার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
বুধবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস জানিয়েছেন, ‘ফিফার পরামর্শ আমরা সবসময়েই মেনে চলতে প্রস্তুত। তবে দেশের ফুটবল সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা সমাধান সবচেয়ে দ্রুত করতে পারে এআইএফএফ। বাইরে থেকে পরামর্শ দেওয়া যায়। কিন্তু তা সার্থক রূপায়ণের জন্য প্রয়োজন বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা। যোগ্যতা অনুযায়ী ক্লাবগুলি অবশ্যই দেশের সর্বোচ্চ লিগে স্থান পাবে। আর্থিক নিশ্চয়তা না দিলে কীভাবে আইএসএলে ক্লাবগুলি খেলবে? মাঝপথে লিগ সমস্যায় পড়ুক, তা ফেডারেশন কখনোই চায় না। যাবতীয় শর্ত পূরণ করেই ক্লাবগুলিকে সর্বোচ্চ লিগে খেলতে হবে।’ উল্লেখ্য, ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল গত মাসে আই লিগ ক্লাবগুলিকে বলেছিলেন যে, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে দু’টি লিগকে এক করার ব্যবস্থা তিনি করবেন। তারপর ক্লাবগুলি আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
বুধবার এই প্রসঙ্গে মোহন বাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও চিঠি পাইনি।’