পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নদীয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘আমরা এনিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছি। যেখানে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রশাসনের আধিকারিকরাও ছিলেন। প্রতিটা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত যাতে কমিয়ে আনা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ লাগোয়া ব্লকগুলিতে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।’
নদীয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ দাস বলেন, ‘উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এবছর আমাদের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। ভিআরপি, ভিসিটিদের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে কারও জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গতবছর নদীয়া জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। সেই তুলনায় চলতি বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। নদীয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে নভেম্বর মাস পর্যন্ত নদীয়া জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছ’হাজার অতিক্রম করেছিল। সেখানে ২০২৪ সালে নদীয়া জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছুঁই ছুঁই। পরিসংখ্যান বলছে, মুর্শিদাবাদ লাগোয়া ব্লকগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। চলতি বছরে করিমপুর-১ ব্লকে ৪৬জন, করিমপুর-২ ব্লকে ৬৯ জন, তেহট্ট-১ ব্লকে ৪৭ জন, তেহট্ট-২ ব্লকে ৭২ জন, কালীগঞ্জ ব্লকে ৫০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
সচরাচর দেখা যায়, বর্ষাকালে জমা জল থেকে ডেঙ্গুর মশা জন্মায়। সেখান থেকেই ডেঙ্গু রোগের উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু, শীতের মরশুমে জমা জল নিয়ে সমস্যা সেভাবে থাকে না। যার ফলে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় না। কিন্তু, চলতি মরশুমে দেখা যাচ্ছ শীতেই ডেঙ্গুর গ্রাম ঊর্ধ্বমুখী। ৪৭তম সপ্তাহে করিমপুর-১ ব্লকে পাঁচজন, করিমপুর-২ ব্লকে চারজন, তেহট্ট-১ ব্লকে সাতজন, কালীগঞ্জ ব্লকে ছ’জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে এই ব্লকগুলিতেই নদীয়া জেলার মধ্যে সর্বাধিক ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরেই এখানে বিশেষভাবে ডেঙ্গুর মোকাবিলায় নেমেছে স্বাস্থ্যদপ্তর।