পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া সঙ্ঘের এ বছরের থিম ‘হন্টেড সার্কাস’। এটি একটি ভৌতিক থিম। পাঁচ কাঠা জায়গাজুড়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মূলত শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্যই এই ভাবনা। এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, একটি সার্কাসে শো চলাকালীন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে বেশ কিছু সার্কাসের কলাকুশলীর মৃত্যু হয়। ভূত হয়ে তারা সার্কাস চালিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখা যাবে। এখানে সার্কাস দেখতে আসা দর্শকদের জন্য একটি টিকিট কাউন্টার থাকবে। তবে সেই টিকিট কাউন্টারটিও চালাবে ‘ভূত’। এই দৃশ্যগুলি তুলে ধরবে সাতজন জীবন্ত ভূত! আলো ও শব্দের মাধ্যমে পুরোপুরি ভৌতিক পরিবেশ গড়ে তোলা হবে মণ্ডপ। এই সার্কাসের শামিয়ানার ভিতরে থাকবে পুরনো একটি মন্দির। সেখানেই পূজিত হবেন গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া।
গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া সঙ্ঘের সম্পাদক শ্যামল দেবনাথ বলেন, আমরা একটা সময় গৌর বিষ্ণুপ্রিয়ার বড় মূর্তি পুজো করতাম। পুজোর পর সেই মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা অর্থাৎ আড়ং-এ অংশ নিতাম। কিন্তু, শোভাযাত্রায় এত সংখ্যক প্রতিমা অংশ নিত যে দীর্ঘ সময় শোভাযাত্রা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত। দর্শনার্থীরা ঠিকমতো প্রতিমা দর্শন করতে পারতেন না। পরবর্তীকালে আমরা ২০১৭ সাল থেকে এই থিম পুজো করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির কলাকুশলীরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে যতক্ষণ দর্শনার্থীরা থাকবেন, ততক্ষণ এই জীবন্ত ভূতের অভিনয় করবেন। রাস পুজোর আগের দিন ১৪ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন এই থিম দেখতে পারবেন দর্শকরা। পুজোকে কেন্দ্র করে পাশের মাঠে আয়োজন করা হয় মেলাও। ক্লাবের অন্যতম দুই সদস্য অজয় দেবনাথ ও পিন্টু চক্রবর্তী এবার আমাদের থিমের পরিকল্পনা দেন। আশা করি, শিশু সহ সকলের তা ভালো লাগবে।
পুজো কমিটির সভাপতি কৃষ্ণগোপাল দেবনাথ ও সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এখানেই রয়েছে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সহধর্মিনী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্মভিটা। সেই জন্যই আমাদের এই গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া পুজোর আয়োজন। বিষ্ণুপ্রিয়া জন্মভিটা মন্দিরে গৌর-বিষ্ণুপ্রিয়া পাশাপাশি বসে আছেন। আর এখানে গৌর দাঁড়িয়ে আছেন, বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী তাঁর চরণে ফুল দিচ্ছেন।