পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
২০০০ সালের পর থেকে তেহট্টেও আড়ম্বরের সঙ্গে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়। বেশিরভাগ পুজোই বড় বাজেটের। ছোটবড় প্রায় সমস্ত পুজোয় নজরকাড়া থিম ও আলোকসজ্জা থাকে। তেহট্টের বিভিন্ন পাড়ায় জাঁকজমকের সঙ্গে ৬০টি জগদ্ধাত্রীপুজো হচ্ছে। এই পুজোর দৌলতে তেহট্টের নাম জেলার বাইরেও ছড়িয়েছে। তাই জেলার মানুষের পাশাপাশি ভিনজেলার মানুষও তেহট্টে জগদ্ধাত্রীপ্রতিমা ও আলোক সজ্জা দেখতে আসেন। কিন্তু গাইড ম্যাপ না থাকায় তাঁরা অনেকসময় ভালো পুজো দেখতে পান না। রাজ্য সড়কের পাশে কয়েকটি হাতে গোনা পুজো দেখে ফিরে যান। পুজো আয়োজকরা জানান, গাইড ম্যাপ প্রকাশ হলে বাইরের এই দর্শনার্থীদের সুবিধা হবে।
জিতপুর মোড়, হাউলিয়া পার্ক মোড় ও পিডব্লুডি মোড়ে সুলভ শৌচাগার রয়েছে। বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই তা জানেন না। ফলে তেহট্টে জগদ্ধাত্রীপুজো দেখতে এসে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। পুজো মণ্ডপে জলের ব্যবস্থা থাকলেও আশপাশে শৌচাগার থাকে না। তিন-চারঘণ্টা ধরে তেহট্টে ঠাকুর দেখতে হয়। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের শৌচাগারে যাওয়ার দরকার হলে তাঁরা মুশকিলে পড়েন। সেজন্য বিভিন্ন মণ্ডপের কাছে অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে।
পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, জগদ্ধাত্রীপুজোয় হাজার হাজার মানুষ তেহট্টে আসেন। তাঁদের সুবিধার জন্য কিছু এলাকায় স্লাইড স্ক্রিনে নো এন্ট্রি জোন ও পুজো-সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কোথায় কোন পুজো হচ্ছে, সেবিষয়ে গাইড ম্যাপ দেওয়া থাকলে অনেকের সুবিধা হবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের সেই মণ্ডপে যেতে সুবিধা হবে। কোন কোন জায়গায় পুলিস বুথ থাকবে, তা গাইড ম্যাপে প্রকাশ করা হলে নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) উত্তমকুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।