পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
এদিন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন রাজীববাবু। জানা গিয়েছে, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও পুরসভা এলাকা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বৈঠকে প্রতিটি বুথ এলাকা থেকে লিডের পরিমাণ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজীববাবু বলেন, নির্বাচনের নানা দিক খতিয়ে দেখলাম। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে নানা তথ্য উঠে এসেছে। তবে শেষ লগ্নে যদি গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে, তবে উচ্চ নেতৃত্ব কড়া পদক্ষেপ নেবে। ভোটের পরেই ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনাও করা হবে। উপ নির্বাচনে জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
এদিন প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছি। বেশ ভালোই সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আসলে মানুষ চায় উন্নয়ন। বিরোধীদের কথা আর শুনছে না সাধারণ মানুষ। কারণ, কেন্দ্রে এত বছর ধরে বিজেপি সরকার রয়েছে। কিন্তু একটাও প্রকল্পের সুবিধা পায়নি সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। তাঁরা স্লোগানও তোলে ‘ইস বার দু’শো পার’। কিন্তু শেষমেষ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে ঘাসফুল শিবির। সেই সময় পরিস্থিতি বুঝে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আর একটিও নির্বাচনেও বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু চিন্তার বিষয়, গত লোকসভা ভোটের নিরিখে মেদিনীপুর বিধানসভার বহু এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। তার অন্যতম কারণ গোষ্ঠীকোন্দল। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় সেই কোন্দল কমাতেই কখনও জয়প্রকাশ মজুমদার আবার কখনও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি ময়দানে নেমেছেন। তবে শেষলগ্নে মাস্টার স্ট্রোক দিতেই অভিজ্ঞ নেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে ময়দানে নামানো হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
মেদিনীপুর উপ নির্বাচনের এক পর্যবেক্ষক বলেন, বৈঠকে জেলার নেতা কর্মীদের একসঙ্গে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শেষ কয়েক বছরের নির্বাচনের ডেটা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। রাজীববাবু নেতা-কর্মীদের আত্মতুষ্টিতে ভুগতে বারণ করেছেন। অপরদিকে প্রতিটি বুথ এলাকায় জনসংযোগ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে নির্বাচনের দিন বিশেষ রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয়।
জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূল নেতারা শুধু দুর্নীতি করতে জানে। শহর ও গ্রামীণ এলাকার মানুষ সবটাই বুঝতে পারছে। আর গোষ্ঠীকোন্দলের নিরিখে সবার উপরে তৃণমূল। মানুষ আর তৃণমূলকে পছন্দ করছে না।