কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
বিকেলের পর থেকে থিকথিকে ভিড় দেখা যায় বহরমপুরের বিভিন্ন শপিংমল থেকে বড় দোকানগুলিতে। কেউ হাল ফ্যাশনের জামাপ্যান্ট, আবার কেউ ট্রাডিশনাল পাঞ্জাবি পাজামা, সালোয়ার ও কুর্তি কিনতে ব্যস্ত ছিলেন। শহরের শাড়ির দোকানগুলিতেও ভালো ভিড় করেন ক্রেতারা। বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা দীপ্তি দাশগুপ্ত বলেন, দু’টি কটন কো অর্ডস কিনেছি। সেই সঙ্গে অফিসে পরার জন্য কিছু সালোয়ার কামিজ ও কুর্তি কিনলাম। কটন ট্রাউজার কিনেছি। এরপর মায়ের জন্য শাড়ি কিনতে যাব।
এদিন দুপুরে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ভিড় জমান অনেকে। বহরমপুরের রানিবাগানের একটি রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে রজত জানা বলেন, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি কেনাকাটা করব বলে। মাঝে একটু বৃষ্টি হওয়াতে আমরাও একটা ব্রেক নিয়ে নিলাম। দুপুরের জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবার বাজার করা শুরু করলাম। প্রতিবার পুজোর সময় এবং আগে বৃষ্টি হবেই, সেটা ভেবে দুঃখ করে লাভ নেই।
তবে এদিন ছোট দোকানগুলিতে বিক্রি অতটা ভালো নয় বলে আক্ষেপ করেন ব্যবসায়ীরা। শহর লাগোয়া বিভিন্ন পোশাকের হাটে নিয়মিত ভালো ভিড় হচ্ছে। সেজন্য ছোট ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, পুজোর বাজার একদম শেষের দিকে। আজ শেষ রবিবার। স্বাভাবিকভাবে ভিড় ভালোই। আগামী দু’-তিনদিন ভালো বিক্রি হবে। তবে ছোট দোকানগুলিতে কিন্তু বিক্রি অতটা ভালো নয়। শহর লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় হাট বসছে। যার অধিকাংশই অবৈধ। এই হাটগুলি পাইকারি বলা হলেও সেখানে খুচরো জিনিসও বিক্রি হচ্ছে। সেজন্য ছোট দোকানগুলিতে কেনাকাটা করার আগ্রহ মানুষের কমেছে। অনেকেই হাটে গিয়ে দু’-একটা করে জিনিস কম দামে কিনে নিয়ে চলে আসছে। খাগড়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পুজো এগিয়ে এলে ছোট দোকানগুলিতে বিক্রি কিছুটা বাড়ে। কিন্তু আশেপাশে যেভাবে হাট উঠেছে তাতে আমাদের বিক্রি এবছর অনেকটাই কম। এখন আর তিনদিন বাকি আছে, দেখা যাক কতটা বিক্রি হয়। আমরা আশায় আছি। -নিজস্ব চিত্র