কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি যুব সমিতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্ড ডেপুটি কালেক্টর নির্মিতা সাহা, শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এদিকে, রামপুরহাট মহকুমার ছ’টি দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুরারই মহিরাপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো, পাইকর স্বামীজি ক্লাব, মারগ্রাম বাজারপাড়া দুর্গোৎসব কমিটি, রামপুরহাটে কুসুম্বা পশ্চিম বাউড়িপাড়া মনসাতলা দুর্গাপূজা কমিটি, নলহাটির লোহাপুর সর্বজনীন পুজো কমিটি ও ময়ূরেশ্বরের ছামনা রায়পাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পুজোর উদ্বোধন হয়। প্রতিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিস প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কুসুম্বা গ্রামের পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমার গ্রামের পুজো। এখানে আমার জন্ম, আমি চিনি। আশিসদা, নীহাররা সবাই দাঁড়িয়ে আছেন। পশ্চিম বাউড়িপাড়া মনসাতলা দুর্গাপুজো এটা। ক্ষ্যাপাকালীর পুজোটা হচ্ছে তো? নীহার ওটা হচ্ছে তো? ওখানে পুজোগুলো যেন ঠিকঠাক হয়। সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকেও দেখতে পাচ্ছি। লালমাটির জেলাকে অনেক অভিনন্দন। সবাই ভালো করে পুজো কাটান। অন্যদিকে, সাঁইথিয়া শিবেশ্বর ধাম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে বিধায়ক নীলাবতি সাহা, চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি দেখা যায় চতুর্থীতেও বাজারে ব্যাপক ভিড়। দুপুরের দিকে এক পশলা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলকাদা হলেও কেনাকাটায় খামতি ছিল না। সিউড়ির সস্তা বাজার হিসাবে পরিচিত কোর্ট বাজার সারাদিনই ছিল ভিড়ে ঠাসা। সকাল থেকে রাত অবধি কেনাকাটা চলে। সেই সঙ্গে খাবার দোকানগুলিতেও ভালো ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই বিকেলের দিকে বাজারে কেনাকাটা সেরে সন্ধ্যায় দু’-একটা পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। রাতে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফেরেন। রবিবার ছুটির দিন থাকায় এই ভিড় যেন আরও বেশি ছিল। প্রতিমা তৈরি শেষ না হলেও মানুষ এখনই মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ছবি তুলতে থাকেন। সিউড়ির দুই তরুণী অদিতি ঘোষ, পর্ণা ঘোষ বলেন, চারিদিকেই পুজোর গান, ঢাক বাজতে শুরু করেছে। শহর থেকে গ্রাম আলোয় সেজ উঠেছে। এই সময় কার আর বাড়িতে বসে থাকতে মন চায়? সেই কারণে কেনাকাটা, প্রতিমা দর্শন সবই হচ্ছে। এদিকে দেখছি আগের দিনের থেকে আবহাওয়ার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মানুষ বাইরে বেরিয়ে ভালোভাবে ঘুরতে পারছেন। পঞ্চমী থেকে ব্যাপক ভিড় হবে বলেই মনে হচ্ছে।