কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
থিমসজ্জায় চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, দুর্গাপুর এবং বর্ধমানের মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগিতা বহু আগেই শুরু হয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বর্ধমান শহরের রাস্তায় ট্রাফিক সামাল দিতে নাজেহাল হতে হয়। ঘোড়দৌড়চটি, ইছলাবাদ, নীলপুর সহ বিভিন্ন এলাকার পুজো মণ্ডপগুলিতে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জেলার ১৫টি পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন। ঘোড়দৌড়চটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপ উদ্বোধনে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। আমবাগান জাগরণী সঙ্ঘ, ভাতারের অগ্রগামী সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনও এদিন বিকেলে হয়েছে। মণ্ডপের পাশাপাশি শেষমুহূর্তের কেনাকাটা করতে দোকানগুলিতে ভিড় দেখা যায়। শহরের বিসি রোডের কাপড়ের দোকানগুলিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতারা হাজির হয়েছিলেন। শপিংমলগুলিতেও জমজমাট ছিল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি শিল্পাঞ্চলের ১৭টি পুজোর উদ্বোধন করেন। তখনই তিনি বলেন, ‘আপনারা ভীষণ ভালো পুজোর করেন। পুজো প্যাণ্ডেলগুলি আমি দেখি। কী সুন্দর কৃষ্টি, শিল্পকলা। প্রতিমার সাজ খুব সুন্দর।’ এরপরই কলকাতার সঙ্গে তুলনা টানেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। মন্ত্রী মলয় ঘটককে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখে ধমক দেন তিনি। তিনি বলেন, তিনদিন আগে অপারেশন হয়েছে, কেন গেছো? আমি সাতদিন বিশ্রাম নিতে বলেছি। পাশাপাশি তিনি বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের খোঁজ নেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাঁর অনুপস্থিতি যে মুখ্যমন্ত্রী খেয়াল করেছেন, সেটাও বুঝিয়ে দেন। একইভাবে দুর্গাপুরে এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত ও অপূর্ব মুখোপাধ্যায় রয়েছেন কি না তারও খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দেখতে পেয়ে তাঁর নাম উল্লেখ করেন। পুজো উদ্বোধনে জামুড়িয়ার বিধায়ক রয়েছেন কি না তার খোঁজ নেন। রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুর জেলার ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কে কে হাজির থাকছেন, তা আমি লক্ষ্য রাখছি। অন্যদিকে মন্ত্রী ঘটককে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও দলের তরফ থেকে তাঁকে অসমের স্টেট ইনচার্জ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে মায়ের মতো। তিনি আমাদের সব সময়ে ভালো চান। দল দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করার চেষ্টা করব। এদিন রাতে জেলাশাসক, এডিডিএ চেয়ারম্যান, পুলিস কমিশনার সুনীল চৌধুরীর উপস্থিতিতে মার্কনি, চতুরঙ্গ সহ একাধিক পুজো কমিটির দরজা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে গিয়েছে। এদিন রাত থেকেই দুর্গাপুরের রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি আসানসোলের একাধিক বড় পুজো মণ্ডপে এসে মানুষকে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে।
(মণ্ডপে সেলফি তোলার হিড়িক। নিজস্ব চিত্র)