কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
বাঁকুড়া শহরের পুজো উদ্যোক্তা সৌমেন পাল বলেন, সাধারণত দুর্গাপুজোর সপ্তাহখানেক আগে আমরা পুজোর ফুলের অর্ডার দিয়ে থাকি। সেইমতো শহরের একটি ফুলের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে অন্যান্য ফুল পাওয়া গেলেও পদ্ম ছিল না। ৫০টাকা প্রতি পিস পদ্মের দাম পড়বে বলে বিক্রেতা জানিয়েছেন। তবে জোগান কম থাকায় তিনি অর্ডার নিতে চাননি। শহরের মাচানতলার ফুল ব্যবসায়ী বরেণ সরকার বলেন, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকা থেকে আমাদের দোকানে পদ্ম আসে। পাশাপাশি কোলাঘাটের ফুল বাজার থেকেও পদ্ম পাইকারি দরে আনা হয়। এদিন কোলাঘাটের বাজারে লাল পদ্ম প্রতিপিস ৫০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ওই দামে ফুল এনে বিক্রি করা মুশকিল। তাছাড়া, সেখানে অন্যান্য সময় রাশি রাশি পদ্ম বিক্রি হয়। এদিন গুটিকয় ব্যবসায়ী ৫০-৬০টি করে পদ্ম নিয়ে বসেছিলেন। ফলে খুচরো বিক্রেতারা ওই পদ্মে হাত দিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ায় লাল পদ্মের পাশাপাশি সাদা পদ্মও বিক্রি হয়। লাল পদ্মের চাহিদা ও দাম বেশি থাকে। তবে তা ৫-১০টাকার মধ্যেই সাধারণত ঘোরাফেরা করে। পুজোর সময় তা বেড়ে ১৫টাকা পর্যন্ত হয়। তবে এবারের বন্যায় হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জলাশয় ভেসে যায়। দীর্ঘদিন ধরে জলের তলায় থাকার কারণে পদ্ম ফুল নষ্ট হয়ে যায়। পদ্মপাতাও পচে যায়। সেই কারণে ফলন মার খায়। বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাও এবার ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়। নিম্নচাপের বৃষ্টিতেও অনেক জায়গায় জল জমে যায়। ফলে গাঁদা সহ অন্যান্য ফুলের বাগানও নষ্ট হয়ে যায়।
সেই কারণে পদ্ম সহ অন্যান্য ফুলের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী, হিমঘরে মজুত ফুল বাইরে এনেও চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।