ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
জানা যায়, কর পরিবারের পূর্বপুরুষ কন্দর্প কর তীর্থ দর্শনে প্রথমে মথুরা যান। সেখানে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর পুঁটলির ভিতরে লক্ষ্মী-জনার্দনের মূর্তি। ভেবেছিলেন কেউ ভুল করে রেখে গিয়েছেন। তাই মূর্তি বাইরে রেখে তিনি রওনা দেন বৃন্দাবনের উদ্দেশে। সেখানেও একই ঘটনা ঘটে। পরে কাশীতে গিয়ে তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে মানকরে সেই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মন্দির থেকেই এখন রথযাত্রার দিন বিশেষ পুজো করে রথ বের হয়। কন্দর্প কর চাঁদ সওদাগরের সঙ্গে ব্যবসা করতেন।
কপিলমুণি বলেন, ১৩১৮ সালে কর পরিবারের মাধবচন্দ্র কর এই রথ ও রথের মেলার প্রথম প্রচলন করেন। তখন জমিদারি আমল হওয়ায় রথযাত্রা নিয়ে সমস্যা পোহাতে হয়েছিল। জমিদারের বাড়িতে রথ নেই কিন্তু প্রজার বাড়িতে রথ আছে দেখে জমিদার কর পরিবারের মন্দির ও বাড়ি নিলাম করে দেন। রথ নিয়ে তিনি চলে যান। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে রথ ফেরত দেন জমিদার।
পিতলের রথের উচ্চতা ১০ ফুট। রথের চাকা ছয়টি। রথের ঘোড়া, সারথি, গোরুড় পাখিও পিতলের। চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে এখন সবই খুলে রাখা হয়। এই দিনেই গৃহদেবতা লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির ছেড়ে রথে আরোহণ করেন। রথের উপরে পটে উপস্থিত থাকেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। এদিন রথ কর পরিবারের মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মানকর হাটতলায়। সেখানে মেলা বসেছে। রথ একটি নির্দিষ্ট ঘরে থাকলেও ওইদিন সকাল থেকেই সেটিকে সাজিয়ে সাধারণের দেখার জন্য বের করে রাখা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরে পুজোর পর রথেও হয় পুজো। বাড়ির মহিলারা পুজোর সময় রথ প্রদক্ষিণ করেন।-নিজস্ব চিত্র